বর্জ্যের মধ্যে ছিল প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেটজাত পণ্যের মোড়ক, পলিথিন এবং নাইলনের বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার জাল।
Published : 17 Feb 2025, 10:15 PM
প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের ছেঁড়া দ্বীপে পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় পরিচ্ছন্ন অভিযান চালিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’।
শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী সংগঠনের সদস্যরা ছেঁড়া দ্বীপে অভিযান চালিয়ে প্লাস্টিকজাত বর্জ্য সংগ্রহ করে। পরে তা নৌকায় সেন্ট মার্টিন জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়।
সংগৃহীত বর্জ্যগুলো পরবর্তীতে টেকনাফে পাঠানো হয় বলে জানান সংগঠনের সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন।
বর্জ্যের মধ্যে ছিল প্লাস্টিক বোতল, প্যাকেটজাত পণ্যের মোড়ক, পলিথিন এবং নাইলনের বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরার জাল। অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যদের মতে, মাছ ধরার জাল ছাড়া এসব বর্জ্যের বেশিরভাগই পর্যটকদের ব্যবহার করা সামগ্রী।
‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’ এর পরিচালক মুনতাসির মামুন বলেন, “আমরা একটি জরিপের কাজে ছেঁড়া দ্বীপে গিয়েছিলাম, সেখানে অসংখ্য প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য দেখে অবাক হয়েছি। আমাদের মনে হয়েছে, এটি দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত, না হলে এ বর্জ্যগুলো সমুদ্রে গিয়ে মিশে গিয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে পারে। যার কারণে আমরা এটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি।”
পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেওয়া বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের সভাপতি সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, সেন্ট মার্টিন দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। সেন্ট মার্টিনের দক্ষিণে ছেঁড়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্য বিস্ময়কর। এখানে প্রাকৃতিক কেওড়া বন রয়েছে। প্রবাল, ঝিনুক, লোবস্টার, কাঁকড়া, শামুক দেখতে পাওয়া যায়।
“প্লাস্টিক দূষণ এই জীববৈচিত্র্যকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আমাদের উচিত হবে, সিঙ্গেল ইউজড প্লাস্টিকের ব্যবহার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। ব্যবহৃত প্লাস্টিক বোতল বা পলিথিন কোনোভাবেই সমুদ্রে ফেলা উচিত নয়।”
মানুষই প্রকৃতির সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে উঠেছে। যেটা পীড়াদায়ক। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মুনতাসির মামুন।