চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি বাগান থেকে পরিত্যক্ত আরেকটি গ্রেনেডও উদ্ধার করা হয়েছে।
Published : 19 May 2024, 10:15 PM
ড্রেনের পানিতে ভাসমান লোহার বস্তু দেখে তুলে এনে নিজের ঘরে রেখেছিলেন এক যুবক। পরে সেটি ‘গ্রেনেড’ জানতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে জানালে পুলিশ সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে।
রোববার মিরসরাইয়ের হিংগুলী ইউনিয়নের তানভীর হোসেন নামে ওই যুবকের বাড়ি থেকে এ গ্রেনেড উদ্ধারের পাশাপাশি এদিন সকালে পাশের উপজেলা সীতাকুণ্ডের একটি বাগান থেকে পরিত্যক্ত আরেকটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
পুরানো দুইটি গ্রেনেডই নিষ্ক্রিয় করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা।
নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ লিয়াকত আলী খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিষ্ক্রিয় করা গ্রেনেডগুলো স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্বর্তী সময়ের। এসব গ্রেনেড আগুনের স্পর্শ এবং আঘাত না পেলে বিষ্ফোরণ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে আগুন কিংবা আঘাত লাগলে ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থানে মাটি খোড়াখুঁড়ির কারণে এ ধরনের পুরানো গ্রেনেডগুলো পাওয়া যাচ্ছে বলে ধারণা করছেন তারা।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিটের ইনচার্জ সঞ্জয় গুহ বলেন, সীতাকুণ্ডের সৈয়দপুর এবং মিরাসরাইয়ের হিংগুলী ইউনিয়নে গ্রেনেডগুলো পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মাধ্যমে সংবাদ এলে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
তিনি বলেন, হিংগুলী ইউনিয়নের গ্রেনেডটি গত ১২ মে তানভীর হোসেন নামে এক যুবক তার বাড়ির পাশে ড্রেনের পানিতে ভাসমান অবস্থায় পেয়েছিলেন। পরে সেটি তিনি নিজ বাড়িতে নিয়ে রেখে দেন।
এর আগে গত ১৪ মে ওই এলাকায় কবর খোঁড়ার সময় আরেকটি গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছিল। পরদিন সেটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় বলেন, “গতকাল (শনিবার) রাতে তার বাসায় রাখা লোহার বস্তুটি গ্রেনেড জানতে পেরে তানভীর জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে জোরারগঞ্জ খানা পুলিশকে অবহিত করে। থানা পুলিশ গিয়ে গ্রেনেডটি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রেখে দেয়।
“আজ বিকালে আমরা সেটি নিষ্ক্রিয় করি।”
সীতাকুণ্ডের বাগানে পাওয়া পরিত্যক্ত গ্রেনেডের খবরও ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো হয়।
সঞ্জয় বলেন, গ্রেনেডগুলোতে মরিচা পড়েছে। সেগুলো ব্রিটিশ হ্যান্ড গ্রেনেড নামে পরিচিত। ১৯১৫ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে সেগুলো তৈরি।
”আমাদের ধারণা স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে গ্রেনেডগুলো ব্যবহার করা হলেও অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে ছিল।”
এ নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির পরামর্শ দিয়ে উপ-কমিশনার লিয়াকত বলেন, যাতে এ ধরনের গ্রেনেড সদৃশ্য কোনো বস্তু পাওয়া গেলে পুলিশকে অবহিত করা হয়। কারণ এগুলো স্বাভাবিকভাবে বছরের পর বছর রেখে দেওয়া যাবে। কিন্তু আগুনের স্পর্শ কিংবা আঘাত পেলেই ভয়াবহ বিষ্ফোরণ ঘটে প্রাণহানীর মত ঘটনা ঘটতে পারে।