“অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে।”
Published : 31 May 2024, 07:22 PM
আগামী ১০ জুনের মধ্যে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ঈদুল আযহার বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরাম।
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে সংগঠনের এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ফোরামের আহ্বায়ক শ্রমিক নেতা তপন দত্ত বলেন, জাহাজভাঙা শ্রমিকেরা যে মজুরি পায় তা দিয়ে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করাই কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাছাড়া জাহাজভাঙা খাতে ২০১৮ সালে ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি কাঠামো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
“ইতোমধ্যে ন্যূনতম মজুরি ঘোষোণার পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ায় শ্রম আইন অনুসারে নতুন মজুরি বোর্ড ঘোষণারও সময় হয়ে গেছে। তাই অবিলম্বে নতুন মজুরি বোর্ড গঠন করে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে।”
শ্রমিকদের ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখার স্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধের আহ্বান জানিয়ে ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন দেশের সকল দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং জাহাজভাঙা শ্রমিকসহ সকল খাতের শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা এবং সারাদেশে শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকায় টিসিবির অধীনে ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করার দাবি জানান।
বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালার বিধি ১১১(৫) অনুসারে জাহাজ ভাঙা শ্রমিকদের মূল বেতনের সমপরিমাণ উৎসব বোনাস, মে মাসের পূর্ণ বেতন এবং জুন মাসের আংশিক বেতন ১০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করার দাবি জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
সংগঠনের সদস্য সচিব ফজলুল কবির মিন্টুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের সদস্য এবং জাতীয় শ্রমিক লীগ সীতাকুণ্ড আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল আলম, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন- চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য দেন।