কর্ণফুলী সংলগ্ন খালে ভেসে উঠেছে মৃত ডলফিন

এবার কর্ণফুলী নদীর শাখা খালে একটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে, যেটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বোয়ালখালী উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকায় কর্ণফুলী নদীর ছন্দারিয়া খালে ভেসে উঠে ডলফিনটির মৃতদেহ।

নমুনা সংগ্রহের পর মৃত ডলফিনটি মাটি চাপা দেওয়া হয়। পূর্ণবয়স্ক ডলফিনটি লম্বায় সাত ফুট। ওজন ১০০ কেজির বেশি।

এর আগে ৬ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চানখালী খালের ব্রিজের কাছ থেকে আরেকটি মৃত ডলফিন উদ্ধার হয়েছিল। তবে সেটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে ২৯টি মৃত ডলফিনের সন্ধান মেলে। সাম্প্রতিক সময়ে কর্ণফুলী নদীতে ডলফিনের মৃত দেহ পাওয়ার প্রথম ঘটনা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভোগের অধ্যাপক ও হালদা রির্সাচ কেন্দ্রের সমন্বয়ক মনজুরুল কিবরীয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডলফিনটির পিঠের দিকে আঘাত আছে। এরা সাধারণত খালে থাকে না। যেখানে এটিকে পাওয়া গেছে তা কর্ণফুলী থেকে এক কিলোমিটার ভিতরে।

হালদায় ভেসে উঠল মৃত ডলফিন  

“হালদা ও কর্ণফুলীর ডলফিন একই প্রজাতির। এটি কর্ণফুলী থেকে এসেছে বলে মনে হচ্ছে। যদিও দূষণের কারণে কর্ণফুলীতে ডলফিনের বিচরণ তুলনামূলক কম। বর্ষায় হয়ত দূষণ কমায় বিচরণ করছে। কোনো নৌযান বা কিছুতে হয় আঘাত পেয়েছে।”

মৃত ডলফিন পাওয়ার খবরে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, প্রাণী সম্পদ বিভাগ, বন বিভাগের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান। পরে তাদের উপস্থিতিতে ডলফিনটি মাটি চাপা দেওয়া হয়। 

বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, “সংবাদ পেয়ে বন ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের লোকজন গিয়েছিল। কিভাবে ডলফিনটি মারা গেছে সে বিষয়ে তারা প্রতিবেদন দেবে, তখন নিশ্চিতভাবে বলতে পারব।”

এর আগে ৬ জুলাই মৃত ডলফিন মিলেছিলহা টহাজারীর মেখল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চানখালী খাল থেকে, যা হালদা নদীতে যুক্ত।

আগে হালদা নদীর তীরে বেশিরভাগ সময় মৃত ডলফিনের দেখা মিললেও গত দুই সপ্তাহে হালদা ও কর্ণফুলীতে যুক্ত খালে মৃত ডলফিন পাওয়া গেল। যদিও ডলফিন সচরাচর খালে বিচরণ করে না।

২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত হালদায় পাওয়া ২৯টি মৃত ডলফিনের মধ্যে সাতটিতে কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরি। সেগুলোর ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ হয়েছে বলেই তারা ধরে নিয়েছেন।

বাকি ২২টির মধ্যে একটি ডলফিন চর্বি চুরির জন্য হত্যা করা হয়েছিল। আর তিনটি নদীতে বসানো জালে আটকে মারা গিয়েছিল। অন্য ডলফিনগুলো বিভিন্ন নৌযানের ধাক্কায় আঘাত পেয়ে মারা যায়।