চট্টগ্রামে দুই মাস আগে যুবলীগ কর্মী মারুফ হোসেন চৌধুরী হত্যামামলার চার আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 20 Jan 2021, 03:50 PM
বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেয়।
আত্মসমর্পণ করা আসামিরা হলেন- মোস্তফা কামাল টিপু, মো. মাহবুব, ফয়সাল খান ও মো. রাব্বি।
গত ১২ নভেম্বর রাতে নগরীর কর্মাস কলেজের সামনে যুবলীগের দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে মারামারিতে মারুফ (৩০) মাথায় আঘাত পান।
সেদিন রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারুফকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন সন্ধ্যায় মারুফের মৃত্যু হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিল। তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
“সে অনুসারে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
মামলার আরেক আসামি শাহেদ গত ১২ জানুয়ারি রাতে পাঠানটুলি এলাকায় আজগর আলী বাবুল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। তার পক্ষেও বুধবার মারুফ হত্যামামলায় জামিন আবেদন করা হলেও সেটিও নাকচ করেন বিচারক।
এর আগে এই খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি রমজান আলীকে ১৭ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার ফেরিঘাট এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মারুফের ছোট ভাই ডবলমুরিং থানায় সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের মধ্যে নাহিদ নামের একজন এখনও পলাতক।
নিহত মারুফ হোসেন চৌধুরী ডবলমুরিং থানার দাম্মা পুকুরপাড় এলাকার সালেহ আহমেদ চৌধুরী বাড়ির কামাল চৌধুরীর ছেলে।
মারুফের ভাই ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন আলো।
আরও পড়ুন