ইয়াবা সরবরাহের অভিযোগে চট্টগ্রামে একব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 03 Jan 2021, 06:25 PM
গ্রেপ্তার মো. নাসির উদ্দিন (৪২) ‘অর্গানিক হেলথ কেয়ার’ নামে একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শনিবার রাতে তাকে আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নভেম্বরে ইয়াবার বিনিময়ে অস্ত্র সংগ্রহকারী টেকনাফের যে দুই বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের একই চক্রের সাথে জড়িত নাসির। ‘ওষুধ সরবরাহের আড়ালে নাসির কয়েক বছর ধরে ইয়াবা পাচারের; কাজ করে।
চক্রটি টেকনাফের পাশাপাশি চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকেও ইয়াবা সংগ্রহ করত জানিয়ে তিনি বলেন, “আনোয়ারা এলাকায় ট্রলারে করে আসা ইয়াবা সংগ্রহ করে নগরীর শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত নিয়ে আসেন নাছির। তার কাছ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে এ চক্রের সদস্যরা।”
ওসি নেজাম বলেন, ১৩ নভেম্বর বহদ্দার হাটের নতুন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে ফোরকান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ২৩ হাজার ২০০টি ইয়াবা ও নগর আট লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
“আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ফোরকান জানিয়েছিল তিনি ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করেছিল নাসিরের কাছ থেকে। সে তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে আনোয়ারা থানা পুলিশের সহায়তায় নিজ বাড়ি থেকে নাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
রোববার নাসিরকে আদালতের মধ্যে কারগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ওসি নেজাম।
গত ৫ নভেম্বর নগরীর শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে বিদেশী পিস্তলসহ গ্রেপ্তার হয় রাজ্জাক নামে এক যুবককে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে পুলিশকে জানায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে সেখানে অস্ত্র পাঠায় তারা।
পরে তাকে নিয়ে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে কামাল নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ। তারা পুলিশকে জানিয়েছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক মাস্টারের (রোহিঙ্গাদের উপ-গ্রুপের নেতা) হয়ে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করে ক্যাম্পে পাঠায়। সেখানে নিজেদের অধিপত্য বিস্তারে রোহিঙ্গারা এসব অস্ত্র ব্যবহার করে।
এদিকে রিমান্ডে রাজ্জাক ও কামালের দেয়া তথ্যে গত ১৩ নভেম্বর বিকালে নগরীর বহদ্দারহাট নতুন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় অভিযান চালায় বাকলিয়া থানা পুলিশ। সেখান থেকে মো. ফোরকান ওরফে মাসুদ (৩১), তার স্ত্রী শামীম আরা শমী (২৮), মোবারক হোসেন (৩৮) ও মো. রাসেল (১৮) নামে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উদ্ধার করা হয় ২৩ হাজার ২০০টি ইয়াবা ও আট লাখের ৮৩ হাজার ৫২৩ টাকা ও তিনটি ব্যাংকের ১২টি চেক বই উদ্ধার করে।
তাদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছিল চক্রটি ধর্মীয় লেবাসে ইয়াবার কারবার করেন।
ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, এ চক্রটির সাথে বাস চালক থেকে শুরু করে অনেকেই জড়িত আছেন। তাদের মধ্যে নাসিরসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।