রেলের জায়গায় সরছেন রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ঠেকাতে চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সরিয়ে নিচ্ছে পুলিশ।

বাজারের জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের পার্কিং এলাকা। রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুবচরা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী দোকান বাজারের জন্য প্রস্তুত চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের পার্কিং এলাকা। রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুবচরা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি হয়েছে অস্থায়ী দোকান

চট্টগ্রাম নগরীর বাজার সরছে খোলা মাঠে

শুক্রবার থেকে রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা বেচাকেনা চলবে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের পার্কিং এলাকায়। স্বরাষ্ট্র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন দুপুরে অস্থায়ী এ বাজারের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কেতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পুলিশের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান নির্মাণ শেষ হয়েছে। এসব দোকানে রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বিকিকিনি করবেন।

“শুক্রবার থেকে রেল স্টেশন পার্কিং এলাকায় শুরু হওয়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার সদাই করবেন। পাশাপাশি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।”

অস্থায়ী এ বাজারে নগর পুলিশের সার্বক্ষণিক নজরদারি করার জন্য অস্থায়ী নিয়ন্ত্রণ কক্ষও থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনার নোবেল।

চট্টগ্রামে সবজি, মাছ, মাংসের সর্ববৃহৎ পাইকারি ও খুচরা বেচাকানা হয় রেয়াজউদ্দিন বাজারে।

কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রেল স্টেশন পার্কিং এলাকায় ইতোমধ্যে অস্থায়ী ২০০ দোকান তৈরি করা হয়েছে। তারপরও বিক্রেতাদের স্থান সংকুলান না হলে আরও দোকান তৈরি করা হবে।

“রেয়াজউদ্দিন বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতাদের সমাগম হওয়ায় সেখানে ভিড় লেগে থাকে। জনসমাগম ঠেকাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও বাজার কমিটির সাথে আলোচনা করে রেল স্টেশন পার্কিং এলাকায় খুচরা বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।”

তবে পাইকারি ক্রেতারা আগের মতো রেয়াজউদ্দিন বাজারের আড়ৎ থেকে বেচাকেনা করবেন বলে জানান ওসি।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল নগরীর চকবাজারের সবজি, মাছ, মাংস বিক্রেতাদের প্যারেড মাঠে স্থানান্তর করে খোলামাঠে বাজার সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে নগর পুলিশ। এরপর থেকে নগরীর কলেজিয়েট স্কুল মাঠসহ বিভিন্ন মাঠে পাশ্ববর্তী বাজারগুলো স্থানান্তর কাজ শুরু করা হয়।

ওই সময় পলোগ্রাউন্ড মাঠে রেয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টার কথা জানিয়েছিল পুলিশ।

ওসি মহসিন বলেন, “সবার সাথে আলোচনা করে রেল স্টেশনের পার্কিং এলাকাকে বেছে নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও জানিয়েছেন পলোগ্রাউন্ড মাঠে বাজার সরিয়ে নিলে সেটা দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি সেখানে শিল্পপণ্য মেলার জন্য করা স্টলগুলো সরিয়ে নিতেও সময়ের প্রয়োজন হবে।”

তাই ক্রেতা বিক্রেতাদের সুবিধা বিবেচনা রেল স্টেশন পার্কিং এলাকা বেছে নেয়া হয়েছে।