চট্টগ্রামের একটি পরিবহন সংস্থায় চুরির একমাস পর দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
Published : 25 May 2019, 04:59 PM
নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিং ও ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রী পাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে চুরি করা দুইটি মোবাইল সেট ও নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
গ্রেপ্তার মো. খোকন (২৮) ও মো. রুবেল (৩০) পেশাদার গ্রিল কাটা চোর। কয়েকবছরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসাবাড়ি ও অফিসে শতাধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশকে জানায়।
গত ২৩ এপ্রিল সদরঘাট থানার কদমতলী শুকতারা টান্সপোর্ট অফিসে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে অফিসে ঢুকে নগদ পাঁচ লাখ ২৩ হাজার টাকা, প্রায় ছয় ভরি ওজনের চারটি স্বর্ণের চেইন, বিভিন্ন ব্যাংকের ২০টি চেকের পাতা ও নোকিয়া এবং সিম্ফোনি ব্রান্ডের তিনটি মোবাইল সেট নিয়ে যায় বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে সদরঘাট থানা পুলিশ চোরদের ধরতে কাজ করে। শুক্রবার রাতে ইপিজেড থানার নিউমুরিং ও ডবলমুরিং থানার মিস্ত্রী পাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার খোকনের কাছ থেকে চুরি করা নগদ ৫০ হাজার টাকা ও চুরি করা দুইটি সিম্পোনি সেট উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
খোকন পুলিশকে বলেছেন, অনেকদিন ধরে বেকার থাকায় ২৩ এপ্রিল ঘটনার দিন আসামি খোকন, রুবেল ও তাদের আরেক বন্ধু মিলে কদমতলী এলাকায় রিকশা নিয়ে কাজের সন্ধানে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে কদমতলী শুকতারা ট্রান্সপোর্টের অফিস বন্ধ দেখে চুরির পরিকল্পনা করেন তারা।
পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, খোকনের কাছ থেকে সিস্ফনি মোবাইল সেট দুটি ও চুরির টাকায় কেনা মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রুবেল চুরিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও তার কাছ থেকে কিছুই উদ্ধার করা যায়নি।
রুবেল শুকতারা ট্রান্সপোর্টে চুরির কয়েক মাস আগে পাঁচলাইশ থানার আতুরার ডিপো এলাকায় একটি বাসায় ও মনছুরাবাদ এলাকার একটি গার্মেন্টেসে চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা রুহুল আমিন আরও বলেন, পাঁচ/সাত বছর ধরে তারা চুরির সাথে জড়িত থাকলেও চুরির ঘটনায় কখনও গ্রেপ্তার হয়নি। ২০১৭ সালে হালিশহরে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল।