চট্টগ্রামে স্ত্রীসহ আটকের পর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সদরঘাট থানার ওসিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা।
Published : 23 Mar 2016, 01:43 PM
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লু বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম আদালতে ‘নির্যাতন ও হেফাজত মৃত্যু নিবারণ’ আইনে মামলা করেন বলে তার আইনজীবী বিপ্লব কুমার দাশ জানান।
মামলায় সদরঘাট থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া, এসআই মো. সালেহ ও অজ্ঞাত পরিচয় দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
বিপ্লব কুমার দাশ বলেন, মহানগর হাকিম ফরিদ আলম শুনানি করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আর নগর পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনারকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৯ মার্চ নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়া হোটেল আল ইসলাম থেকে স্ত্রীসহ জিল্লুকে আটক করে পুলিশ। এরপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে ভাংচুর চালায়।
পরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় পাওয়ার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে ওসি মাইনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন।
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিল্লু নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে সাংসদ এমএ লতিফের বিরুদ্ধে করা একটি মামলার বাদী জিল্লু। ছবি বিকৃতির প্রতিবাদে গঠিত ‘জাগ্রত ছাত্র, যুব, জনতা’র সদস্য সচিব তিনি।
ঘটনার দিন রাতে আব্দুর রহিম জিল্লু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে বলেন, “ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কয়েকজন বন্ধুসহ আমরা দুপুরে আল ইসলাম হোটেলের লবিতে বসে গল্প করছিলাম।
“এসময় হোটেল ব্যবস্থাপক ২০১ নম্বর রুমে বসার জন্য ব্যবস্থা করে দেন। আমরা চলে আসার সময় দেখি ওসি মাইনুল কয়েকজন পুলিশ নিয়ে গিয়ে হোটেল ম্যানেজারকে গালিগালাজ ও মারধর করছে।
“এসময় ওসিকে নিজের পরিচয় দিয়ে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে এমপি লাতিফের বিরুদ্ধে মামলার বাদী কি না জিজ্ঞাসা করেন।”
পরিচয় পেয়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রেখে সাদা পোশাকের কয়েকজন পুলিশ মারধর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেন জিল্লু।
পরে মোটরসাইকেলে উঠতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে থানায় নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।