“প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘটনার সময় ওই লিফটের ভেতরে কোন লিফটম্যান বা কোন অপারেটর ছিল না।”
Published : 13 May 2024, 05:18 PM
গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লিফটে আটকা পড়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত দল সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিন সদস্যের তদন্ত দলের নেতৃত্ব দেন কমিটির প্রধান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (ডেন্টাল) ডা. মাহমুদা বেগম।
কমিটির বাকি দুই সদস্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. খায়রুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাহমুদা বেগম বলেন, রোববার সকালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকা পড়ে নিহত হওয়ার খবর মিডিয়ায় প্রচার হওয়ার পর এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঘটনার তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ তদন্তের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, “সোমবার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম, উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স, লিফটের অপারেটর, ওয়ার্ড বয় ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
“তদন্তে লিফট বন্ধের কারণ, তা কতক্ষণ বন্ধ ছিল, লিফটে আটকা পড়া লোকজন কিভাবে উদ্ধার হলো ও রোগী মৃত্যুর ঘটনায় কারও কোনো অবহেলা ছিল কী-না সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে লিফটে আটকে রোগীর মৃত্যু
লিফটে রোগীর মৃত্যু: 'আটকে পড়াদের ধাক্কাধাক্কিতে দরজা খোলেনি'
তদন্ত টিমের সদস্য উপপরিচালক মো. খায়রুজ্জামান বলেন, “রোগীর স্বজনদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলা হবে। তাদের সঙ্গে টেলিফোনে বা ফোন করে নিয়ে এসে কথা বলা হবে।”
সহকারী পরিচালক মো. মাসুদ রেজা খান বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে ৩ নম্বর লিফটি থেমে যায়। লিফটের ভেতর নিহত রোগীসহ তার স্বজন ও অন্যান্যরা ১০ মিনিটের মতো আটকে ছিল। ১০ মিনিট পরে তাদের উদ্ধার করে আনা হয়।
“রোগীর স্বজনরা ৪০মিনিট ভেতরে আটকে থাকার কথাও আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ঘটনার সময় ওই লিফটের ভেতরে কোন লিফটম্যান বা কোন অপারেটর ছিল না। আমরা নিহতের স্বজনদের সঙ্গেও কথা বলার জন্য তাদের মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছি।”
এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে। তারাও তদন্ত শুরু করেছে বলে হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান।