চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতাকে স্ত্রীসহ আটকের জের ধরে নগরীর সদরঘাট এলাকায় ভাংচুর চালিয়েছে সংগঠনের কর্মীরা।
Published : 19 Mar 2016, 07:52 PM
শনিবার বিকালে সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লু ও তার স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ছেড়েও দেয়।
সদরঘাট থানার ওসি মাইনুল ইসলাম ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকালে হোটেল আল ইসলামে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হোটেল থেকে তরুণীসহ এক যুবককে আটক করা হয়।”
“থানায় আনার পর ওই যুবক নিজেকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সম্পাদক আব্দুর রহিম জিল্লু ও ওই তরুণীকে তার স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। পরে জিল্লু ওই তরুণীকে তার স্ত্রী বলে কাবিননামা দেখানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।”
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিল্লু বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির ঘটনায় চট্টগ্রামের সাংসদ এমএ লতিফের বিরুদ্ধে করা একটি মামলার বাদী। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর এই অনুসারী ছবি বিকৃতির প্রতিবাদে গঠিত ‘জাগ্রত ছাত্র, যুব, জনতা’ সদস্য সচিব।
রাতে আব্দুর রহিম জিল্লু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে টেলিফোনে বলেন, “ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা কয়েকজন বন্ধুসহ আমরা দুপুরে আমার আল ইসলাম হোটেলের লবিতে বসে গল্প করছিলাম।”
এসময় হোটেল ব্যবস্থাপক তাদের ২০১ নম্বর রুমে বসার জন্য ব্যবস্থা করে দেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা চলে আসার সময় দেখি ওসি মাইনুল কয়েকজন পুলিশ নিয়ে গিয়ে হোটেল ম্যানেজারকে গালিগালাজ ও মারধর করছে।
“এসময় ওসিকে নিজের পরিচয় দিয়ে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে এমপি লতিফের বিরুদ্ধে মামলার বাদী কিনা জিজ্ঞাসা করেন।”
পরে মোটর সাইকেলে উঠতে অস্বীকৃতি জানালে স্ত্রীসহ তাকে একটি অটোরিকশা করে থানায় নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, এ ঘটনার পর কয়েকশ যুবক ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে সদরঘাট এলাকায় মিছিল করে বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করে।এরপর থেকে অমর চাঁদ রোড থেকে সদরঘাট মোড় পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
তবে এক পর্যায়ে থানায় পরিচয় নিশ্চিত হয়ে জিল্লু ও তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
সদরঘাট থানার একই কম্পাউন্ডে নগর পুলিশের ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কার্যালয়।