গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে নিয়ে বিভিন্ন দেশের ৪০ ব্যক্তির দেওয়া ‘চিঠিতে’ আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেছেন, “হঠাৎ করে বাংলাদেশ বিরোধী আন্তর্জাতিক লবিস্টদের প্রধান ক্রীড়নক নোবেল বিজয়ী নীল শৃগাল ড. ইউনূস সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। এভাবে রাজনীতিতে হঠাৎ ইউনূসকে নিয়ে উত্তাপ ছাড়ানোতে আরেকটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি।
“ড. ইউনূসকে আমাদের চিনতে বাকি নেই। বাংলাদেশে যাতে পদ্মা সেতু হতে না পারে, সেজন্য বিশ্ব ব্যাংকের তহবিল বরাদ্দ বাতিলের মূল ঘটক তিনিই।”
শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নাছির বলেন, “এই মানুষটি (ড. ইউনূস) সেনা সমর্থিত ১/১১ সরকারকে বৈধতা দিতে বিশাল ভূমিকা রেখেও ব্যর্থ হয়েছেন। তার কেলেঙ্কারির ইতিহাস দীর্ঘ এবং তার হাতও লম্বা।"
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে বাঙালি জাতিকে যে উচ্চতায় তুলে ধরেছেন, সেখান থেকে যেকোনো উপায়ে আমাদেরকে টেনে নামাতে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের আলামত সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ থেকে পরিত্রাণের আমাদেরকে প্রতিক্ষণ সতর্ক ও সক্রিয় থাকতে হবে।”
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বিএনপি-জামাত চক্র এখন ঘরে-বাইরে বাংলাদেশের শত্রুদের এক জায়গায় জড়ো করে গুপ্ত ঘাতকদের ঘাঁটি তৈরি করতে তৎপর। দেশের মাটিতে তাদের আন্দোলন গতি হারিয়েছে এবং শুকিয়ে যাওয়ায় স্রোতহীন মরা নদীর মতই প্রাণহীন।
“এ কারণে তাদের গলার দম ফুরিয়ে যাবার আগে বিদেশিদের দ্বারে দ্বারে ভিখারিদের মত হাত পাতছে এবং বলছে যেকোনভাবে একবার ক্ষমতায় যাবার সুযোগ করে দাও। এর চেয়ে আর বড় লজ্জা কী হতে পারে “
সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও খোরশেদ আলম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, হাজী জহুর আহমদ।