পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের ওই বিশাল জমি দখলে রেখে গয়ালের খামার, পুকুর ও রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা হয়েছিল।
Published : 26 Aug 2024, 10:13 PM
সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদের ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদের ‘দখলে থাকা’ ৫৫ একর জমি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার দিনভর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব জমি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ।
পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের ওই বিশাল জমি দখলে রেখে গয়ালের খামার, পুকুর ও রেস্তোরাঁ গড়ে তোলা হয়েছিল।
তবে অভিযানে খামারে কোনো প্রাণীর দেখা পাননি বন বিভাগের কর্মীরা। খামারের ছয়টি ঘর ও অন্যান্য অবকাঠামো ভেঙে দিয়ে নিজেদের জমির দখল নেয় বন বিভাগ।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশনায় সহকারী বন সংরক্ষক মারুফ হোসেন এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে বনবিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জ, খুরুশিয়া রেঞ্জ ও চট্টগ্রাম শহর রেঞ্জের কর্মীরা অংশ নেন।
বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সুখবিলাস এলাকায় বন বিভাগের এই জমি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এরশাদ মাহমুদের দখলে ছিল। বন বিভাগের এই জমিতে গয়াল খামারের জন্য ছয়টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।
“এছাড়া রাঙ্গামাটি-বান্দরবান সড়কের পাশে দশমাইল এলাকায় বন বিভাগের জমি দখল করে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ও রেস্টুরেন্ট গড়ে তোলা হয়েছিল। সেসব উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় পানি আটকে তিনটি পুকুর তৈরি করা হয়েছিল। আজ আমরা নালা কেটে পুকুরের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি।”
দখল থেকে মুক্ত হওয়া এসব জমিতে পর্যায়ক্রমে বনায়ন করা হবে জানিয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন, “আজ মোট ৫৫ একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। এখানে বন বিভাগে বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছিল খামার ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য।
“আশপাশে আরো কিছু পাহাড়ি জমি এরশাদ মাহমুদের দখলে ছিল। সেগুলোর বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পাহাড়ি এলাকায় এরশাদ মাহমুদের খামার গড়ে তোলার বিষয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে বেশকিছু প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। ৫ অগাস্ট সরকারের পতনের পর ওই খামার থেকে গয়ালগুলো স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।