"এখানে কোনো নতুন স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে৷ এখানে আবারও পাখি ডাকবে,” বলেন তিনি।
Published : 07 Nov 2024, 10:05 PM
চট্টগ্রাম নগরীর বিপ্লব উদ্যানে গড়ে তোলা নতুন অবকাঠামো ভেঙে এটিকে ‘সবুজ পার্কে’ রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন নতুন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার নগরীর দুই নম্বর গেইটে বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, “সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। উনি বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি।
“উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সেদিন উনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেটার জন্য এ বিপ্লব উদ্যান ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থান।”
মেয়র শাহাদাত বলেন, “বিপ্লব উদ্যানে মার্কেটের জন্য যে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে সেগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এখানে কোনো নতুন স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে৷ এখানে আবারও পাখি ডাকবে। এখানে একটি গ্রিন পার্ক করব।”
বিপ্লব উদ্যানে অতিরিক্ত অবকাঠামো করা হয়েছে অভিযোগ তুলে তা ভেঙে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন কোভিড কালে সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম সুজন।
পরে নগর আরেক আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র হওয়ার পর আবার নতুন করে বিপ্লব উদ্যানে কিছু অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
গৃহকর খেলাপিদের তালিকা চান শাহাদাত
এদিকে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে শীর্ষ ১০০ জন করে গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স) খেলাপিদের তালিকা করার নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর দায়িত্ব নেওয়া মেয়র শাহাদাত।
বৃহস্পতিবার টাইগারপাসের অস্থায়ী নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) রাজস্ব বিভাগের সঙ্গে সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
তিনি বলেন, “সিটি করপোরেশনের যে সমস্ত মার্কেট আছে, হাট-বাজার-ঘাট আছে সেগুলো থেকেও রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে হবে। কোথাও কোন মামলা থাকলে জানাবেন, সেগুলোও নিস্পত্তি করতে উদ্যোগ নিব।
“হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর পরিবর্তে, যারা কর দিচ্ছেনা তাদের কাছ থেকে কর আদায় নিশ্চিত করতে হবে। কর প্রদান আটোমেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের কর প্রদান সহজ করতে হবে।“
নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্জ্য ফেলার ঝুড়ি নিশ্চিত করার কথা বলেন তিনি। বলেন, “প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল যা করা প্রয়োজন করতে হবে।”
বারইপাড়া খাল প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশনাও দেন মেয়র।