সিটি করপোরেশনকে পৌরকরের ১০০ কোটি টাকা দিল চট্টগ্রাম বন্দর

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (সিসিসি) পৌরকর বাবদ ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে এই পৌরকর পরিশোধ করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মুনিরুজ্জামান ১০০ কোটি টাকার চেক মেয়রকে দেন।

বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, সচিব মো. ওমর ফারুক এবং সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সরোয়ার কামাল, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্দরের কাছ থেকে সিটি করপোরেশনের পাওয়া সর্বোচ্চ পৌরকর এটি।

চেক হস্তান্তরের সময় মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “বর্তমানে নগরবাসীর মৌলিক অধিকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বছরে ৭০ কোটি টাকার বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি আমরা। দায়িত্ব গ্রহণের পরই সিটি করপোরেশনের এ ধরনের সেবাগুলো সচল রাখতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে জোর দিই।

“বন্দর থেকে পৌরকর আদায়ের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে তদবির করি। মন্ত্রণালয় এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তা এই ১০০ কোটি টাকা পাওয়ার ফলে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি নাগরিক সেবা বাড়াতে পারবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।”

এসময় বন্দরের যোগাযোগ ব্যবস্থার মানোন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করেন মেয়র ও বন্দর চেয়ারম্যান।

বন্দর চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়র বন্দরকেন্দ্রিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানকে নির্দেশনা দেন।

বন্দরকে সচল রাখতে সিটি করপোরেশন সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদে বন্দরের পৌরকর পুনঃমূল্যায়েন পর ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

কিন্তু ২০১৭ সাল থেকেই নির্ধারিত এ পৌরকরের বিপরীতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিশোধ করে আসছিল ৪৫ কোটি টাকা।

শাহাদাত হোসেন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্ধারিত পৌরকর আদায়ের উদ্যোগ নেন। পাওনা পরিশোধে বন্দরকে চিঠি দেয় সিটি করপোরেশন।

পরে মেয়র নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দারস্থ হন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক) শাখা সম্প্রতি এক অফিস আদেশে আপাতত ১০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশনকে দেওয়া যেতে পারে বলে মত দেয়। তারপরই পৌরকরের প্রত্যাশিত এই টাকা পেল সিটি করপোরেশন।