বোলার ব্লকহোলে বল করবেন, জানতেন ইয়াসির। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি খুলনা অধিনায়ক।
Published : 28 Jan 2023, 06:37 PM
শেষ বলটিতে বোলার ইয়র্কার ধরনের ডেলিভারি করার চেষ্টা করবেন, জানতেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। মানসিক প্রস্তুতিও তার সেরকমই ছিল। আশায় ছিলেন, যদি লেংথ একটু সামনে-পেছনে হয়ে যায়, তাহলেই কাজে লাগাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলটি হলো ইয়র্ক ধরনেরই। খুলনা অধিনায়ক পারলেন না দলকে জেতাতে।
বিপিএলে শনিবার সিলেটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সঙ্গে খুলনার লড়াইয়ের ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় শেষ বলে। যেখানে স্ট্রাইকে ছিলেন ইয়াসির। শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ছক্কা। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের ডেলিভারিতে ইয়াসির নিতে পারেন স্রেফ ১ রান। তার দল হেরে যায় ৪ রানে।
শেষ দিকে ইয়াসিরের ব্যাটেই টিকে ছিল খুলনার জয়ের আশা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। ওয়াহাব রিয়াজ প্রথম বলে রান নিতে ব্যর্থ হন। পরের বলে নেন সিঙ্গেল। ইয়াসির এরপর চার মারেন টানা দুটি। পঞ্চম বলে নিতে পারেন দুই রান। শেষ বলে পারেননি ছক্কার দাবি মেটাতে। ১৯ বলে ৩০ রান করে মাঠ ছাড়েন ম্যাচ হেরে।
শেষ বলের ভাবনা নিয়ে প্রশ্নে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসিরের ছোট্ট উত্তর, “(পরিকল্পনা ছিল) বল দেখব, মারব…অলআউট চেষ্টা করব…।”
পরে আরেকটু ব্যাখ্যা করে বললেন, বোলারের লেংথ হেরফের হওয়ায় আশায় ছিলেন তিনি।
“তার পরিকল্পনা আমি জানতাম যে ব্লকেই করবে। তবে ব্লকে করার পরিকল্পনা সবসময় বাস্তবায়ন করা কঠিন স্পিনারদের জন্য… আমার ভাবনা ছিল, একটি যদি এদিক-সেদিক হয়, তাহলে ছক্কা মেরে দিতে পারি।”
১৬৬ রান তাড়ায় শেষের সমীকরণ অতটা কঠিন হয়তো হতো না, যদি শেই হোপ আরেকটু দ্রুতগতিতে রান তুলতে পারতেন। তিনে নেমে ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান লম্বা সময় উইকেটে থাকলেও পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি। ১৯তম ওভারের শুরুতে নাসিম শাহর বলে তিনি বোল্ড হয়ে যান ৩২ বলে ৩৩ রান করে।
ইয়াসির অবশ্য হোপকে দায় দিলেন না।
“আসলে ওভাবে কিছু বলার নেই। ও ছিল বলে হয়তো আমার জন্য খেলাটা সহজ হচ্ছিল। ও থাকলে অন্যরকম চিত্র হতে পারত। খেলাটা তো ক্রিকেট, কেউ ইচ্ছে করে খারাপ খেলতে চায় না, ইচ্ছে করে আউটও হয় না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সে আউট হয়ে গেছে, আমার জন্য কাজটা কঠিন হয়ে গেছে।”