চোটের ধাক্কা কাটিয়ে সাড়ে সাত মাস পর ম্যাচ খেলতে নামবেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক।
Published : 12 Oct 2023, 04:11 PM
প্রেস কনফারেন্স শুরুর আগে আলোচনার কেন্দ্রে কেন উইলিয়ামসন। এই ম্যাচ দিয়েই কি ফিরবেন তিনি, নাকি অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হবে আরেকটু? এসব নিয়েই কথা চালাচালি চলছিল। এর মধ্যেই হাজির হয়ে গেলেন স্বয়ং তিনি। সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে এলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক। ব্যস, উত্তরটাও পাওয়া হয়ে গেল সবার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই শেষ হচ্ছে উইলিয়ামসন ও নিউ জিল্যান্ডের দীর্ঘ প্রতীক্ষা।
নিউ জিল্যান্ডের অনু্প্রেরণাদায়ী অধিনায়ক ও গত বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার এবারের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছেন এই ম্যাচ দিয়েই। শেষ হচ্ছে সাড়ে সাত মাসের যন্ত্রণাময় এক অপেক্ষার।
চেন্নাইয়ে শুক্রবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড।
টিম সাউদির অবশ্য ফেরা হচ্ছে না এখনই। উইলিয়ামসন জানিয়েছেন, সাউদির দ্রুত অগ্রগতি হচ্ছে, তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়া যাবে না অভিজ্ঞ এই পেসারকে।
উইলিয়ামসন এই চোটে পড়েছিলেন গত ৩১ মার্চ। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে ছিটকে যান তিনি। পরে অস্ত্রোপচরার করানো হয় তার। তখন ধারণা করা হয়েছিল, বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনাও তার শেষ। তবে শারীরিক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হওয়ায় তিনি দলের ভাবনায় চলে আসেন।
গত মাসে দলের সঙ্গে ইংল্যান্ড সফরেও যান তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এবং দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে। এরপর তাকে বিশ্বকাপ দলেও রেখে দেওয়া হয়। লম্বা পুনবার্সন ও নানা প্রক্রিয়া পেরিয়ে অবশেষে তিনি ফিরছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।
নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন তিনি আট মাস আগে। মাঠে ফিরতে এখন আর তর সইছে না তার।
“বেশ লম্বা একটা ভ্রমণ ছিল! বেশ ভালোই ছিল তা, ভালোই অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়াটাই রোমাঞ্চকর ছিল। আজকে এখানে বসে থাকতে পারা ও কালকে খেলতে পারাও হবে দারুণ। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। নতুন ভেন্যু, নতুন প্রতিপক্ষ… বিশ্ব মঞ্চে এরকমই হয়। আমরা মুখিয়ে আছি মাঠে নামার জন্য।”
মাঠের কিছু কিছু জায়গায় ফিল্ডিং করতে তাকে এখনও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে জানালেন উইলিয়ামসন। তবে মূল আসর শুরুর আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং করে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তিনি। ব্যাট হাতে রানও পেয়েছেন কিছু। পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচে করেন অপরাজিত ৫৪ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৭।
এখন চূড়ান্তভাবে ফেরার ঠিক আগে পেছন ফিরে তাকালেন তিনি।
“প্রাথমিক পর্যায়ে (বিশ্বকাপ) বিবেচনায়ই ছিল না। মূলত পুনবার্সনে মনোযোগ দেওয়া ও তাড়াহুড়ো না করাটা ভালো ব্যাপার ছিল। আমি সৌভাগ্যবান যে আমার সঙ্গে খুব ভালো একটি গ্রুপও ছিল (দেখভাল করার জন্য)।”
“পুনবার্সন প্রক্রিয়ায় একটির পর একটি ছোট ছোট পদক্ষেপে এগোতে হয়েছে। হাঁটুর শক্তি বাড়ানো, রেঞ্জ বাড়ানো, এসব নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। একটু একটু করে চাপ বাড়ানোর সময় ব্যথাকে সঙ্গী করে এগোতে হয়েছে। সারাদিন এটা নিয়ে কথা বলতে পারি। তার চেয়ে বরং দ্রুত এগিয়ে যাই। আজকে এখানে থাকতে পারা ও প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে থাকতে পারা দারুণ উপভোগ্য।”
নিউ জিল্যান্ডের এ দিন ঐচ্ছিক অনুশীলন। সংবাদ সম্মেলনের পর ফিল্ডিং অনুশীলন করেন উইলিয়ামসন এবং নেটে শেষবারের মতো ঝালিয়ে নেন নিজেকে।