আফগানিস্তানকে হারিয়ে যাত্রার শুরু। পরের ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেলে শঙ্কায় পড়ে যায় ইংল্যান্ডের সেমি-ফাইনালে খেলা। সেখান থেকে টানা চার ম্যাচ জিতে তারা এখন টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ট্রফি সামনে নিয়ে অধিনায়ক জস বাটলার বললেন, তারাই এর যোগ্য।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে রোববার ৮০ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিশ্ব জয়ের হুঙ্কার দেয় ইংল্যান্ড।
দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভিত গড়ে দেন স্যাম কারান ও আদিল রশিদরা। ব্যাট হাতে নিখুঁতভাবে বাকিটা সারেন বেন স্টোকস।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দল নিয়ে গর্বের কথা শোনালেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বাটলার।
“অসাধারণ! দারুণ এক টুর্নামেন্ট শেষ হলো। এখন এই ট্রফি সামনে নিয়ে বসতে পারা... এই যাত্রায় যারা সঙ্গে ছিল এবং এতদূর পর্যন্ত আসতে সাহায্য করেছে, সবাইকে নিয়ে গর্বিত। আমি মনে করি, আমারই এই শিরোপার যোগ্য।”
গত জুনে ওয়েন মর্গ্যানের অবসরের পর সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পান বাটলার। তার অধীনে শুরুটা ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই সংস্করণেই সিরিজ জিততে ব্যর্থ হয় তারা।
তবে দলটির কক্ষপথে ফিরতে সময় লাগেনি। গত সেপ্টেম্বরে প্রায় ১৭ বছর পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৪-৩ ব্যবধানে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। চোটের কারণে সেই সিরিজের একটি ম্যাচও খেলতে পারেননি বাটলার। তবে ছিলেন দলের সঙ্গেই।
ইংলিশ অধিনায়কের মতে, পাকিস্তান সফরে নিজেদের মধ্যে যে বোঝাপড়া তৈরি হয়েছে, সেটিই পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও বিশ্বকাপে দলকে এগিয়ে দিয়েছে।
“আমার মতে, সম্পর্কে তৈরি হতে সময় লাগে। কাউকে ভালোভাবে চেনা-জানার পরই তার ওপর বিশ্বাস তৈরি হয়। আমি বলব, শুধু আমার বা কোচের জন্য নয়, পুরো দলের জন্য পাকিস্তান সফরটা দারুণ ছিল। (ওই সফরে) অনেক বন্ধন তৈরি হয়েছে।”
“আমার মতে, সেখানেই (পাকিস্তান সফরে) আমরা ভালো ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি। পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পা রাখি আমরা। আমি মনে করি, বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটিতে আমরা সত্যিই অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি।”