তামিম ইকবালদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানের লিড নিয়েছে সিলেট।
Published : 11 Oct 2022, 07:57 PM
দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তৌফিক খান। পরে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন অমিত হাসান ও জাকির হাসান। এই তিন জনের ফিফটিতে প্রথম ইনিংসে বড় লিডের পথে ছুটছে সিলেট বিভাগ।
জাতীয় লিগের ম্যাচে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন শেষে সিলেটের রান ৭ উইকেটে ৩০৩। প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানে গুটিয়ে যাওয়া চট্টগ্রাম বিভাগের চেয়ে তারা এগিয়ে ১৬২ রানে।
ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৮ রান করেন ওপেনার তৌফিক। ১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৭৯ রান করেন অমিত। ৮৭ রান করা জাকিরের ইনিংসে ১ ছক্কার সঙ্গে চার ৭টি।
বল হাতে বাকিদের ব্যর্থতার দিনে একাই লড়াই করেন হাসান মুরাদ। সিলেটের আউট হওয়া ৭ ব্যাটসম্যানের ৫টিই চট্টগ্রামের এই বাঁহাতি এই স্পিনারের শিকার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যা তার ষষ্ঠ পাঁচ উইকেট।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা সিলেটের শিবিরে প্রথম ছোবল দেন মুরাদই। এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি ইমতিয়াজ হোসেনকে। এরপর অমিতকে নিয়ে ৬১ রানের জুটি গড়েন তৌফিক। সৈকত আলির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে থামেন তিনি।
ইনিংসে সবচেয়ে বড় ১৫৪ রানের জুটি পায় সিলেট এরপর। জাকির ও অমিতের ৩২৫ বল স্থায়ী এই জুটি ভাঙেন মুরাদ। তার স্পিনে বোল্ড হন অমিত। কিছুক্ষণ পর মুরাদের বলে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন জাকির।
আসাদুল্লাহ আল গালিব ও শাহানুর রহমানকে ফিরিয়ে মুরাদ পূর্ণ করেন পাঁচ উইকেট। ইফতেখার সাজ্জাদ বিদায় করেন তানজিম হাসানকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ১৪১
সিলেট ১ম ইনিংস: ৯৫ ওভারে ৩০৩/৭ (আগের দিন ১৫/০) (ইমতিয়াজ ১৯, তৌফিক ৬৮, অমিত ৭৯, জাকির ৮৭, গালিব ১৭, আবু বকর ১৩*, শাহানুর ৭, তানজিম ১, আবু জায়েদ ০*; মেহেদি রানা ১৫-২-৪৪-০, মুরাদ ৩৮-৮-১১২-৫, ইয়াসিন ৯-৪-২৫-০, শরিফ ৬-১-২০-০, ইফতেখার ২৫-১-৯৩-১, সৈকত ২-২-০-১)
বোলারদের দাপটের ম্যাচে প্রান্তিকের ফিফটি
প্রথম ইনিংসে ঢাকা মেট্রোকে বেশিদূর যেতে দিল না খুলনা বিভাগ। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামা দলটিকে ভালো শুরু এনে দিলেন প্রান্তিক নাবিল। তার ফিফটিতে ঢাকা মেট্রোকে বড় লক্ষ্য দেওয়ার পথে এগোচ্ছে খুলনা।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ১০৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে খুলনা। প্রথম ইনিংসে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় তারা। পরে প্রতিপক্ষকে ১৫৬ রানে থামিয়ে দিয়ে এখন ৮৩ রানে এগিয়ে দলটি।
৩ উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে খেলতে নামা ঢাকা মেট্রো নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। শুরুটা ভালো করলেও তাদের ব্যাটসম্যানরা বড় করতে পারেননি ইনিংস।
দলের ৭ ব্যাটসম্যানই যান দুই অঙ্কে। কিন্তু সর্বোচ্চ ইনিংস কেবল ২৫ রানের, আসে শরিফুল্লার ব্যাট থেকে।
খুলনার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন সালমান হোসেন ও আব্দুল হালিম।
২৫ রানে পিছিয়ে থাকা খুলনাকে ৫৬ রানের উদ্বোধনী জুটি এনে দেন অমিত মজুমদার ও প্রান্তিক নাবিল। অমিত ২৩ রান করে ফিরলেও ফিফটি তুলে নেন প্রান্তিক।
অমিতের বিদায়ের পরের ওভারে মানিক খান পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন ইমরানুজ্জামান ও শেখ মেহেদি হাসানকে। চাপে পড়া দলকে টানেন প্রান্তিক। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন নাহিদুল ইসলাম।
দিনের শেষ দিকে ৬ চারে ৫২ রান করা প্রান্তিককেও হারায় খুলনা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা ১ম ইনিংস: ১৩১
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৬০.১ ওভারে ১৫৬ (আগের দিন ৩৭/৩) (শামসুর ২৪, আমিনুল ২১, জাহিদুজ্জামান ১৯, শরিফুল্লাহ ২৫, আবু হায়দার ১০, কাজী অনিক ২২, রকিবুল ২৩, মানিক ০*; আল আমিন ১৩-৪-২২-১, জিয়াউর ১১-৫-২০-২, সালমান ১১-১-৩৬-৩, আব্দুল হালিম ১২.১-৩-৪১-৩, টিপু ৭-৪-১৪-০, শেখ মেহেদি ৪-১-১৯-১, নাহিদুল ২-২-০-০)
খুলনা ২য় ইনিংস: ৪৪ ওভারে ১০৮/৫ (অমিত ২৩, প্রান্তিক ৫২, ইমরানুজ্জামান ০, শেখ মেহেদি ০, নাহিদুল ১৯, টিপু ৬*, জিয়াউর ১*; আবু হায়দার ৮-০-১৭-০, কাজী অনিক ৭-১-৩৫-০, শরিফুল্লাহ ১৫-৭-২১-২, মানিক ৯-১-২২-২, রকিবুল ৫-২-৬-১)
প্রিতমের ফিফটিতে লড়ছে রাজশাহী
ভালো শুরু পেলেন জহুরুল ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিক। কিন্তু কেউই পারলেন না ইনিংস বড় করতে। ধুঁকতে থাকা রাজশাহী বিভাগকে টানছেন প্রিতম কুমার।
রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগকে ২৮১ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিং করছে রাজশাহী। ৬ উইকেটে ১৮৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে তারা। এখনও পিছিয়ে আছে ৯৫ রানে।
৭ চারে ৬১ রানে ব্যাটিং করছেন প্রিতম। উইকেটে তার সঙ্গী সানজামুল ইসলামের রান ২২।
৯ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা বরিশালের ইনিংস শেষ হয়ে যায় দিনের দ্বিতীয় ওভারে।
ব্যাটিংয়ে নেমে ষষ্ঠ ওভারে মিজানুর রহমানকে হারায় রাজশাহী। কিছুক্ষণ দলকে টেনে বিদায় নেন জহুরুল (৪ চারে ২৯)। ফরহাদ হোসেন ও মেহরব হাসান পারেননি দুই অঙ্কে যেতে।
অনেকটা সময় উইকেটে কাটিয়ে ১ চারে ৩২ রান করে বিদায় নেন জুনায়েদ। ১০৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলের হাল ধরেন প্রিতম।
বরিশালের হয়ে দুটি করে শিকার ধরেন রুয়েল মিয়া ও তানভির ইসলাম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৯১.৪ ওভারে ২৮১ (আগের দিন ২৬৯/৯) (তানভির ৫১, শাহিন ৯*; শফিকুল ১৩-৫-৩৮-১, নাহিদ রানা ২১-১১-৪০-৪, ফরহাদ রেজা ১৩-২-৬০-১, আসাদুজ্জামান ১০.৪-৩-৪২-১, সানজামুল ২৪-১০-৬৫-২, মেহেরব ১০-১-৩৩-১)
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৫৭.১ ওভারে ১৮৬/৬ (মিজানুর ৯, জহুরুল ২৯, জুনায়েদ ৩২, ফরহাদ হোসেন ৯, মেহেরব ৭, প্রতিম ৬১*, ফরহাদ রেজা ১৫, সানজামুল ২২*; রুয়েল ১৪-২-৫৪-২, কামরুল ১০.১-২০-৪২-১, শাহিন ৯-০-২১-০, তানভির ২০-৪-৪১-২, সোহাগ ৪-০-২৮-১)