আইসিসির বর্ষসেরা নারী উদীয়মান ক্রিকেটারের লড়াইয়ে আছেন আরও তিন জন।
Published : 03 Jan 2024, 07:01 PM
২০২৩ সালটা দারুণ কেটেছে মারুফা আক্তারের। যার পুরস্কার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা নারী উদীয়মান ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই পেসার। সেরার লড়াইয়ে তার সঙ্গী ইংল্যান্ডের লরেন বেল, স্কটল্যান্ডের ডার্সি কার্টার ও অস্ট্রেলিয়ার ফোবি লিচফিল্ড।
উদীয়মান পুরুষ ক্রিকেটারের চার জনের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জেরল্ড কুটসিয়া, ভারতের ইয়াশাসবি জয়সওয়াল, শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কা ও নিউ জিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র।
এছাড়া বর্ষসেরা নারী ও পুরুষ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকাও বুধবার প্রকাশ করেছে আইসিসি।
ভারতের সুরিয়াকুয়ার ইয়াদাভ, নিউ জিল্যান্ডে মার্ক চ্যাপম্যান, জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও উগান্ডার আলপেশ রামজানি আছেন ছেলেদের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। মেয়েদের এই তালিকায় আছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, ইংল্যান্ডের সোফি এক্লেস্টোন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস ও অস্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা মারুফা সময়ের সঙ্গে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। গত বছর ওয়ানডেতে ২৪.৭৭ গড়ে ৯ উইকেট নেন তিনি। আর ২৩.৩০ গড়ে টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ১০ উইকেট।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন মারুফা। ১৯ বছর বয়সী এই পেসারের বিশ্বকাপে মোট শিকার ছিল ৪টি, ওভারপ্রতি ৬.৩১ রান দিয়ে। বছরের মাঝামাঝিতে ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দারুণ জয়ের ম্যাচে নেন ২৯ রানে ৪ উইকেট।
লরেন বেল নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৪ ম্যাচে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। গত বছর টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ছিল ২৬ গড়ে ৯ উইকেট। দীর্ঘদেহী এই পেসার দ্রুতই জায়গা করে নেন ইংল্যান্ডের টেস্ট এবং ওয়ানডে দলেও। ২০২৩ সালে টেস্টে ৬টি ও ওয়ানডেতে ৭টি উইকেট নেন তিনি।
কার্টার গত বছর টি-টোয়েন্টিতে ২২৮ রান করার পাশাপাশি ধরেন ১৩ শিকার। আর লিচফিল্ড ২০২৩ সালে টেস্টে ৮৭ রান, ওয়ানডেতে ৩৪৪ ও টি-টোয়েন্টিতে করেন ৮৮ রান।
উদীয়মান পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে রবীন্দ্র ২০২৩ সালে দারুণ সময় কাটান মূলত ওয়ানডেতে। বিশ্বকাপে চমৎকার পারফরম্যান্স করা কিউই এই অলরাউন্ডারের গত বছর ওয়ানডেতে রান ছিল ৮২০, স্পিনে ধরেন ১৮ উইকেট। আর টি-টোয়েন্টিতে ৯১ রানের সঙ্গে নেন ৫ উইকেট।
তিন সংস্করণেই ভালো খেলে সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন কুটসিয়া। ২০২৩ সালে টেস্টে এই পেসারের উইকেট ১০টি, ওয়ানডেতে ৩১টি আর টি-টোয়েন্টিতে ৬টি। মাদুশঙ্কা ওয়ানডেতে ৩১ উইকেটের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে নেন ৬টি। আর জয়সওয়ালের টেস্টে রান ২৮৩ এবং ওয়ানডেতে ৪৩০।
২০২২ সালের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া সুরিয়াকুমার গত বছর এই সংস্করণে ১৭ ইনিংসে ১৫৫.৯৫ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৮৬ গড়ে করেন ৭৩৩ রান। অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ১১ ইনিংসে ১৫০.১৪ স্ট্রাইক রেট ও ৫১.৫০ গড়ে ৫১৫ রান করার পাশাপাশি নেন ১৭ উইকেট।
উগান্ডার বাঁহাতি স্পিনার রামজানি গত বছর টি-টোয়েন্টিতে নেন ৫৫ উইকেট। আর কিউই ব্যাটসম্যান চ্যাপম্যান এই সংস্করণে ১৭ ইনিংসে করেছেন ৫৫৬ রান, স্ট্রাইক রেট ১৪৫.৫৪ ও গড় ৫০.৫৪।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টির বর্ষসেরার লড়াইয়ে থাকা আতাপাত্তু গত বছর ১৬ ইনিংসে করেন ৪৭০ রান ও ধরেন ৮ উইকেট। এক্লেস্টোন অফ স্পিনে নেন ২৩ উইকেট। ৭০০ রান করা ম্যাথিউসের শিকার ১৯ উইকেট। আর দুইবার বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটার হওয়া অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার পেরি গত বছর সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ৩১৯ রান করার পাশাপাশি উইকেট নেন ৬টি।