শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট ১৯২ রানে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
Published : 03 Apr 2024, 09:55 AM
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৫৩১
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ১৫৭/৭ (ডিক্লে.)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১) ৮৫ ওভারে ৩১৮
বাংলাদেশের জিততে প্রয়োজন ২৪৩ রান, শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ৩ উইকেট। যে কোনো অবস্থায় এমন ম্যাচে এগিয়ে থাকবে বোলিং করা দল। ব্যতিক্রম নয় চট্টগ্রাম টেস্টেও।
সিলেটের পর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামেও বড় জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যে শেষ দিন বাকি থাকা ৩ উইকেট নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশ।
ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৪ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ। সিরিজে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো ব্যাট করা তাইজুল ইসলাম ১০ রান নিয়ে খেলতে নামবেন। চতুর্থ দিনের শেষ দিকে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ২৫ রান যোগ করেন তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে):
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৫৩১
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ১৫৭/৭ (ডিক্লে.)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১) ৬৭ ওভারে ২৬৮/৭ (জয় ২৪, জাকির ১৯, শান্ত ২০, মুমিনুল ৫০, সাকিব ৩৬, লিটন ৩৮, শাহাদাত ১৫, মিরাজ ৪৪*, তাইজুল ১০*; ভিশ্ব ১০-০-৩৯-১, আসিথা ১২-১-৫২-০, কুমারা ১১-২-৪১-২, জায়াসুরিয়া ২০-১-৭৯-২, ধানাঞ্জয়া ৭-১-২৫-০, কামিন্দু ৭-০-২২-২)
পঞ্চাশ ছুঁতে বেশিক্ষণ সময় নিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনের পঞ্চম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে দারুণ ড্রাইভে চার মারে মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। চলতি ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস এখন তার।
টেস্ট ক্যারিয়ারে মিরাজের ষষ্ঠ ফিফটি এটি। এর সঙ্গে সেঞ্চুরি আছে একটি।
তাইজুল ইসলামের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন জুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ রানে। ৭১.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮০ রান।
আরও একবার জুটি ভাঙলেন কামিন্দু মেন্ডিস। পঞ্চম দিনে আক্রমণে এসে প্রথম ওভারেই তিনি ফেরালেন তাইজুল ইসলামকে।
অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি দূর থেকেই খোঁচা মারেন তাইজুল। দ্বিতীয় স্লিপে আরও একটি দারুণ ক্যাচ নেন নিশান মাদুশকা।
২৮ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন তাইজুল। তার বিদায়ে ভাঙল ৩৮ রানের অষ্টম উইকেট জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হাসান মাহমুদ। ৫৪ রানে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৭৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৮৩ রান।
একপ্রান্ত ধরে রেখে অসম লড়াইয়ে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন হাসান মাহমুদ। দুজনের ত্রিশ ছোঁয়া জুটিতে এরই মধ্যে সিরিজে প্রথমবার ৩০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ।
সিরিজে প্রথমবার দ্বিতীয় নতুন বলও নিতে হয়েছে শ্রীলঙ্কার। ৮০ ওভার শেষ হতেই বল বদলে নিয়েছে সফরকারীরা। দুই প্রান্ত থেকেই ব্যবহার করছে পেস আক্রমণ।
৮২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১২ রান। জয়ের সঙ্গে দূরত্ব এখন ১৯৯ রানের।
মিরাজ ১০৪ বলে ৭৭ ও হাসান ২১ বলে ৬ রানে খেলছেন। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৩১ রান।
পানি পানের বিরতির আগের ওভারে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন হাসান মাহমুদ। লাহিরু কুমারার বাউন্সারে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে সহজ ক্যাচ দিলেন দশ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান। ৯ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের দুয়ারে বাংলাদেশ।
৮৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩১৪ রান। ৭৭ রানে খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
বড় জয়ের হাত ছোঁয়া দূরত্বে আরেকটি রিভিউ হারাল শ্রীলঙ্কা। লাহিরু কুমারার শর্ট ডেলিভারি ব্যাট এগিয়ে দিলেও ঠিকঠাক খেলতে পারলেন না সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ব্যাটের পাশ দিয়ে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিলে, রিপ্লেতেও ব্যাট ও বলের কোনো সংযোগ দেখা যায়নি। তাই বিপদ ঘটেনি খালেদের।
শেষ ৩ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে কেবল ৭৬ মিনিট আটকে রাখতে পারল বাংলাদেশ। দিনের দ্বিতীয় ঘণ্টায় তারা গুটিয়ে গেল ৩১৮ রানে। ১৯২ রানের জয়ে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করল শ্রীলঙ্কা।
পঞ্চম দিন ১৮ ওভারে ৫০ রান যোগ করে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ৮১ রানে।
দিনের শুরুতে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তাইজুল ইসলাম। পরে হাসান মাহমুদের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। পরপর দুই ওভারে হাসান ও সৈয়দ খালেদ আহমেদকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেন লাহিরু কুমারা।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন কুমারা। কামিন্দু মেন্ডিসের শিকার ৩টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৫৩১
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭৮
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ১৫৭/৭ (ডিক্লে.)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৫১১) (আগের দিন ২৬৮/৭) ৮৫ ওভারে ৩১৮ (মিরাজ ৮১*, তাইজুল ১৪, হাসান ৬, খালেদ ২; ভিশ্ব ১০-৩-৯-১, আসিথা ১৫-২-৬২-০, কুমারা ১৫-৩-৫০-৪, জায়াসুরিয়া ২৭-২-৯৯-২, ধানাঞ্জয়া ৮-২-২৫-০, কামিন্দু ১০-০-৩২-৩)