কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্রেফ তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আইপিএলে সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন সুনিল নারাইন।
Published : 16 Apr 2024, 09:43 PM
লেগ স্পিনার ইউজভেন্দ্রা চেহেলের টানা চার বলে ছক্কা, চার, ছক্কা ও চার। ৮০ রান থেকে যেন চোখের পলকে তিন অঙ্কে পৌঁছে গেলেন সুনিল নারাইন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মঙ্গলবার রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ১১ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নারাইন।
আইপিএলের ১৭ আসরে কলকাতার স্রেফ তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এই স্বাদ পেলেন নারাইন। ইডেন গার্ডেন্সে দলটির ৮৪ ম্যাচে এই প্রথম তাদের কেউ তিন অঙ্ক ছুঁতে পারলেন।
২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী আসরের প্রথম ম্যাচেই কলকাতার হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। বেঙ্গালুরুতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৭৩ বলে অপরাজিত ১৫৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন নিউ জিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টিতে তখনকার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল এটি।
তারপর থেকে কলকাতার ব্যাটসম্যানদের জন্য সেঞ্চুরি যেন হয়ে উঠেছিল ‘সোনার হরিণ।’ ৫ হাজার ৪৭৭ দিনের খরা কাটিয়ে ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল দলটি পায় তাদের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান, মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৫১ বলে ১০৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ভেঙ্কাটেশ আইয়ার।
পরের আসরে ঠিক ১৬ এপ্রিলেই কলকাতার সেঞ্চুরি এলো আরেকটি।
রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে কলকাতার ইনিংস শুরু করতে নেমে মুখোমুখি চতুর্থ বলে আভেশ খানকে চার মেরে ডানা মেলে দেন নারাইন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দলের প্রথম ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকেই। দশম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি ২৯ বলে।
ষোড়শ ওভারে চেহেলকে আরেকটি ছক্কা মেরে তিনি ছাড়িয়ে যান এই সংস্করণে তার আগের সর্বোচ্চ ৮৫ রানকে। চলতি আসরেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ইনিংসটি খেলেছিলেন ৩৯ বলে।
ওই ওভারে পরের তিন বলের তাণ্ডবে পূর্ণ হয়ে যায় নারাইনের সেঞ্চুরি। মূলত তিনি স্পিনার। তবে ব্যাট হাতেও কম যান না। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোয় ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে দেখা যায় তাকে মাঝেমধ্যেই। এবারের আইপিএলে কলকাতার হয়ে ইনিংস শুরু করছেন নিয়মিত।
৫০৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ১৫টি ফিফটির পর অবশেষে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। অষ্টাদশ ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে থামে তার ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৫৬ বলের ইনিংসটি গড়া ১৩ চার ও ৬ ছক্কায়।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কলকাতা ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করে ২২৩ রান। নারাইনের সেঞ্চুরি ছাড়া দলের আর কেউ ত্রিশ ছাড়াতে পারেননি।