ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুবিধার জন্য এনসিএল টি-টোয়েন্টি কয়েক মাস এগিয়ে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে আয়োজনের পরামর্শ তামিম ইকবালের।
Published : 29 Dec 2024, 06:46 PM
জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি (এনসিএল) শেষ হয়ে গেছে কদিন আগেই। তবে রয়ে গেছে মুগ্ধতার রেশ। তামিম ইকবালকেও যেমন তা ছুঁয়ে যাচ্ছে এখনও। এই টুর্নামেন্ট নিয়ে অবশ্য প্রশংসায় উচ্চকিত হওয়ার পাশাপাশি একট পরামর্শও আছে তার। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের মতে, এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজন করা উচিত বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে।
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুধুমাত্র দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত হয় এনসিএল টি-টোয়েন্টি। জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের সংস্করণের আট দল নিয়েই করা হয় ১৩ দিনের টুর্নামেন্ট।
সিঙ্গেল রাউন্ড রবিন লিগের প্রতিযোগিতায় মাত্র ৯ দিনের মধ্যে প্রথম পর্বের ৭ ম্যাচ খেলে দলগুলো। টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা ঢাকা মেট্রো মাত্র ১৪ দিনের মধ্যে খেলে ১০টি ম্যাচ। ঠিক এই জায়গা নিয়েই আপত্তি তামিমের।
বিপিএল শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজনের সিদ্ধান্তে বাহবা দিলেও প্রথম আসরের ঠাসা সূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
“এনসিএল টি-টোয়েন্টি আয়োজন করাটা খুব ভালো উদ্যোগ। তবে আমার মনে হয়েছে, এটি খুব দীর্ঘ ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটার যারা ছিল, ওরা কিন্তু প্রায় দুই মাস ধরে চার দিনের ক্রিকেট খেলেছে। তারপর মাত্র ১৩ দিনে ৯টা টি-টোয়েন্টি খেলেছে। আবার ৩-৪ দিন বিরতির পর বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট খেলবে। যেটা খুবই ঝক্কির। চোটগুলো এসবের মধ্যেই হয়।”
ওই টুর্নামেন্টে নিজ বিভাগ চট্টগ্রামের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন তামিম। দুটি ফিফটিসহ দেড়শ স্ট্রাইক রেটে ১৯০ রান করেন তিনি। এছাড়া ব্যাট হাতে আলো ছড়ান জিসান আলম, আজিজুল হাকিম তামিম, হাবিবুর রহমানের মতো সম্ভাবনাময় ক্রিকেটাররা।
এনসিএলে দারুণ ব্যাটিং করে রংপুর রাইডার্সে সুযোগ পেয়েছেন বর্তমান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক আজিজুল। ঢাকার হয়ে তিন ম্যাচে একটি ফিফটি করা যুব দলের ওপেনার জাওয়াদ আবরারকে দলে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এছাড়া বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৯ উইকেট নিয়ে আলাউদ্দিন বাবুও প্লেয়ার্স ড্রাফটের বাইরে থেকে সুযোগ পেয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালসে। একই টুর্নামেন্টে ভালো বোলিং করা মেহেদি হাসান রানাকেও নিয়েছে ঢাকা।
তাই ক্রিকেটার ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সুবিধার জন্য এনসিএল টি-টোয়েন্টি কয়েক মাস এগিয়ে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে আয়োজনের পরামর্শ দিলেন তামিম।
“টুর্নামেন্টের উদ্যোগটা সত্যিই ভালো। আমি আশা করব, পরের বছর এটা বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে হবে। তাহলে ফ্র্যাঞ্চাইজি যারা আছে, ওরাও দেখতে পারবে যে কাকে নিতে হবে বা কাকে নেওয়া যাবে না। এটা যদি ওই সময় এবং একই ফরম্যাটে হয়, তাহলে ভালো।”
“এই সময়ের জন্য হয়তো টুর্নামেন্টটা দীর্ঘ ছিল কারণ ক্রিকেটাররা খেলার মধ্যে ছিল। এরপর আবার বিপিএল। এটা যদি সেপ্টেম্বরের দিকে হয় এবং ১৩ দিনের বদলে যদি ২০ দিনে ৭টা ম্যাচ খেলানো যায়, তাহলে আমার মনে হয় এটা খুব ভালো উদ্যোগ। বিসিবিকে এই কৃতিত্ব দিতে হবে।”