আইসিসি অ্যাওয়ার্ডস
২০২৪ সালে নিজেদের মেলে ধরে সেরার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই দুই ক্রিকেটার।
Published : 26 Jan 2025, 03:25 PM
সাদা বলের ক্রিকেটে বছরজুড়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে দারুণ এক স্বীকৃতি পেয়েছেন গেরহার্ড এরাসমাস। সহযোগী দেশগুলোর পুরুষ ক্রিকেটারদের মধ্যে বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন নামিবিয়া অধিনায়ক। মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা।
দেশের হয়ে রঙিন পোশাকে ২০২৪ সালটা দুর্দান্ত কাটে এরাসমাসের। নামিবিয়ার মিডল অর্ডারের স্তম্ভ ছিলেন তিনি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৮টি ফিফটি আসে তার ব্যাট থেকে।
বল হাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। অফ স্পিনে দুই সংস্করণে নেন ৩৬ উইকেট।
গত বছর এরাসমাস ১২টি ওয়ানডে খেলে চার ফিফটিতে ৩৩.০৯ গড়ে ৩৬৪ রান করেন এবং ২২.৩৮ গড়ে ১৮টি উইকেট নেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পান বছরের শুরুতে, নেপালের বিপক্ষে ২৮ রানে ৫ উইকেট।
২০২৪ সালে ১৩ টি-টোয়েন্টি খেলে ৩৩ গড়ে ৪ ফিফটিতে ৩৬৩ রান করেন এরাসমাস। এই সংস্করণেও ১৮ উইকেট নেন তিনি, গড় ১৩.৬১।
গেল বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পাশাপাশি অফ স্পিনেও কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন ওঝা।
আরব আমিরাতের এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল উইমেন’স প্রিমিয়ার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন ওঝা। আসরে সর্বোচ্চ রান করে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন ২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার। ২০২৪ উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বেও দারুণ খেলেন তিনি।
সব মিলিয়ে গত বছর ২০ টি-টোয়েন্টি খেলেন এক সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে ৭১১ রান করেন ওঝা, ব্যাটিং গড় ৪১.৮২ ও স্ট্রাইক রেট ১১১.৭৯। অফ স্পিনে ওভারপ্রতি ৫.৪১ রান দিয়ে নেন ১৬ উইকেট।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে ২০২৪ সালে ওঝার চেয়ে বেশি রান করতে পারেন কেবল দুইজন; শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু (৭২০) ও ভারতের স্মৃতি মান্ধানা (৭৬৩)।