দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৮১ রানে এগিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
Published : 23 Oct 2024, 09:50 AM
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৮৫ ওভারে ২৮৩/৭
মিরাজের ব্যাটে আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
বৃষ্টির পর আলোকস্বল্পতায় নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো দিনের খেলা। দুই দফার বিরতিতে সব মিলিয়ে তৃতীয় দিন খেলা হলো ৫৭.৫ ওভার। যেখানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করল ১৮২ রান।
ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে শুরু করা দিনের শেষে উল্টো জয়ের ছবি আঁকার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। শেষ ৩ উইকেট বাকি রেখে ৮১ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে স্বাগতিকরা।
তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের সংগ্রহ ৮৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৩ রান।
বাংলাদেশকে জয়ের খানিক আশা দেখানোর কারিগর মেহেদী হাসান মিরাজ। অভিষিক্ত জাকের আলিকে নিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছেন স্পিন অলরাউন্ডার।
অভিষেকে ৫৮ রান করে আউট হয়েছেন জাকের। মিরাজের সঙ্গে তার জুটির সংগ্রহ ১৩৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি এটি।
জাকের ফিরলেও ৮৭ রানে অপরাজিত মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিয়ে অন্যপ্রান্তে ১৬ রানে আছেন নাঈম হাসান। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৩৩ রান।
তবে দিনের শুরুটা একদমই আশা জাগানিয়া ছিল না বাংলাদেশের। পঞ্চম ওভারে তিন বলের মধ্যে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমকে আউট করেন কাগিসো রাবাদা। পরে কেশাভ মহারাজের শিকার হন লিটন কুমার দাস।
তখনও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৯০ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শুরু হয় মিরাজ ও জাকেরের লড়াই। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েছেন মিরাজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৮৫ ওভারে ২৮৩/৭ (আগের দিন ১০১/৩) (জয় ৪০, মুশফিক ৩৩, লিটন ৭, মিরাজ ৮৭*, জাকের ৫৮, নাঈম ১৬*; রাবাদা ১৫-৪-৩৫-৪, মুল্ডার ১১-৩-২৮-০, মহারাজ ৩৭-১০-১০৫-৩, পিট ১৯-০-৯৫-০, মার্করাম ৩-১-৭-০)
আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ
তৃতীয় সেশন শুরুর ৫ ওভারের মধ্যে আবার বন্ধ হয়ে গেল খেলা। আলোকস্বল্পতার কারণে মাঠ ছাড়তে হলো দুই দলকে।
খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৮৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৩ রান। তাদের লিড এখন ৮১ রানের।
মেহেদী হাসান মিরাজ ১৭১ বলে ৮৭ ও নাইম হাসান ২৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৩৩ রান।
৮০ ওভার হয়ে যাওয়ায় নতুন বল নিতে চেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু মাঠে যথেষ্ট আলো না থাকায় পেস বোলারদের বোলিংয়ের অনুমতি দেননি আম্পায়াররা। তাই পুরোনো বলে স্পিনার দিয়েই আরও ৫ ওভার করান এইডেন মার্করাম।
বেলা ৩টা শুরু খেলা
বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে এক ঘণ্টা হারিয়ে গেল তৃতীয় দিন থেকে। চা বিরতির ২০ মিনিটসহ ৮০ মিনিটের অপেক্ষা শেষে দুপুর ৩টায় শুরু হবে খেলা।
আপাতত চলছে শেষ মুহূর্তের মাঠ শুকানোর কাজ।
মাঠ শুকানোর কাজ শুরু
বৃষ্টি পুরোপুরি থেমেছে মাঠে। তবে আকাশে এখনও রয়ে গেছে মেঘের ঘনঘটা। এর মাঝেই মাঠ শুকানোর শুরু করেছেন মাঠকর্মীরা। একটি একটি করে সরানো হচ্ছে কভার। পানি সরাতে মাঠে নেমে গেছে সুপার সপার।
খেলা শুরুর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে মাঠ পরিদর্শন করতে নামবেন আম্পায়াররা।
ত্রিশ মিনিট এগিয়ে এলো চা বিরতি
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ত্রিশ মিনিট এগিয়ে ২টা ১০ মিনিটে নেওয়া হলো চা বিরতি। সব ঠিক থাকলে ২টা ৪০ মিনিটে হওয়ার কথা ছিল এই বিরতি।
বিশ মিনিটের বিরতি শেষে ২টা ৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে তৃতীয় সেশন। তবে বৃষ্টির কারণে তখন খেলা শুরু হয়ে নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে।
এখন অবশ্য মাঠে বৃষ্টির মাত্রা একদমই কম। উইকেট ও এর চারপাশে কভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। বৃষ্টি পুরোপুরি থামলে শুরু হতে পারে মাঠ শুকানোর কাজ।
বৃষ্টিতে বন্ধ খেলা
দ্বিতীয় সেশনের পানি বিরতির ঠিক আগে নামল বৃষ্টি। তাই বন্ধ হয়ে গেল খেলা। আপাতত গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে মাঠে। সঙ্গে বেশ গতিতে বইছে বাতাস। উইকেট রক্ষা করতে দ্রুতই কভার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৮০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৭ রান। লিড এখন ৬৫ রানের।
মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫৫ বলে ৬৭ ও নাঈম হাসান ১৪ বলে ১২ রানে অপরাজিত।
খেলা শুরু হওয়া মাত্র দ্বিতীয় নতুন বল নিতে পারবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন নাঈম
কেশাভ মহারাজের বলে বেশ নিচু হয়ে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারলেন না নাঈম হাসান। বল তার বাহুর ওপরের অংশে লাগতেই জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেন নাঈম।
রিপ্লেতে দেখা যায়, পিচিং ও ইম্প্যাক্ট ঠিকঠাক থাকলেও, স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যেত ওই বল। তাই বেঁচে যান ১ রানে থাকা নাঈম।
৭৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫৬ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪৫ বলে ৭৫ ও নাঈম হাসান ৬ বলে ৩ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশের লিড এখন ৫৪ রান।
মিরাজ-জাকের জুটির রেকর্ড
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। দুজন মিলে ১৪৫ বলে যোগ করেছেন ১৩৮ রান।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩১ রান যোগ করেছিলেন হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর।
সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বাদশ শতরানের জুটি গড়েছেন মিরাজ ও জাকের। আগের চারটিতে ছিলেন মিরাজ।
ফিফটি করে জাকেরের বিদায়
কেশাভ মহারাজের নিচু হয়ে যাওয়া ডেলিভারি পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারলেন না জাকের আলি। বল প্যাডে লাগতেই জোরাল আবেদনে আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিলেন জাকের।
বেশ কিছুটা সময় নিয়ে রিপ্লে দেখেন আম্পায়ার। পরে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পে লাগত বল। তাই বৃথা যায় বাংলাদেশের রিভিউ। ১১১ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন জাকের। তার বিদায়ে ভাঙে ১৩৮ রানের সপ্তম উইকেট জুটি।
নতুন ব্যাটসম্যান নাঈম হাসান। ১৪০ বলে ৭২ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ।
৭৫.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫০ রান। লিড এখন ৪৮ রানের।
অভিষেকে জাকেরের ফিফটি
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগালেন জাকের আলি। চাপের মুখে দারুণ ব্যাটিংয়ে অভিষেকে ফিফটি করলেন তিনি। ২ চারে ১০২ বলে মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
অভিষেকে আট বা তার নিচে নেমে পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস খেলা বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান জাকের। সব মিলিয়ে ২০তম।
৭৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৩৯ রান। লিড বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ রান।
শেষ রিভিউ হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
মেহেদী হাসান মিরাজকে কট বিহাইন্ড করার আশায় নিজেদের শেষ রিভিউটিও হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। কেশাভ মহারাজের বল মিরাজের ব্যাট ঘেঁষে কাইল ভেরেইনার গ্লাভসে জমা পড়লে জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
একদম শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন এইডেন মার্করাম। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাটে লাগেনি বল। তাই বিপদ ঘটেনি মিরাজের।
৭০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২২৯ রান। লিড এখন ২৭ রানের।
মিরাজ ১২৫ বলে ৬২ ও জাকের ৯৫ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত।
মিরাজ-জাকের জুটির একশ
কেশাভ মহারাজের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ইনসাইড আউট শটে উড়িয়ে মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অল্পের জন্য সীমানায় গেল না বল। তবে দৌড়ে ৩ রান নিয়ে জুটির শতরান পূর্ণ করলেন মিরাজ ও জাকের আলি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় শতকছোঁয়া জুটি এটি। ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে ১৩১ রান যোগ করেছিলেন হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর।
৬৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৪ রান। বাংলাদেশের লিড এখন ১২ রানের।
মিরাজ ১১৫ বলে ৫৯ ও জাকের ৮১ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত। দুজনের জুটির সংগ্রহ ১০২ রান।
লিড নিল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার ২০২ রানের লিড টপকে সফরকারীদের লক্ষ্য দিতে শুরু করল তারা।
৬৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০৯ রান। লিড এখন ৭ রানের।
মেহেদী হাসান মিরাজ ১১৪ বলে ৫৬ ও জাকের আলি ৭৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত।
বিপদ কাটিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ
দিনের শুরুতেই দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। প্রথম সেশনের বাকি সময়ে আর উইকেট পড়তে দেননি তারা। রেকর্ডগড়া জুটিতে দলকে লিড এনে দেওয়ার দুয়ারে দুজন।
মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত ৬৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২০১ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে আর ১ রান পিছিয়ে স্বাগতিকরা। সকালের সেশনে ৩৫.৫ ওভারে তারা করেছে ১০০ রান।
দিনের পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার তিন বলের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফেরেন দুই সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন কুমার দাসও।
পরে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন মিরাজ ও অভিষিক্ত জাকের। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি।
ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করে ১০৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত মিরাজ। ৭১ বলে ৩০ রানে খেলছেন জাকের। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৮৯ রান।
চাপের মুখে মিরাজের ফিফটি
সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে এক ধাপ প্রমোশন পেয়ে পাকাপাকিভাবে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বার সুযোগ কাজে লাগালেন স্পিন অলরাউন্ডার।
চাপের মুখে দারুণ ব্যাটিংয়ে চলতি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ফিফটি করলেন মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম পঞ্চাশ ছুঁতে ৯৪ বলে ৭ চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি।
৫৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৫ রান। ৬০ বলে ২৯ রানে অপরাজিত জাকের আলি। দুজনের সপ্তম উইকেট জুটির সংগ্রহ ৮৩ রান।
মিরাজ-জাকের জুটির পঞ্চাশ
চাপের মুখে লড়ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। এরই মধ্যে দুজন মিলে গড়েছেন পঞ্চাশছোঁয়া জুটি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সপ্তম উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি।
মিরাজ ৬৮ বলে ৪১ ও জাকের ৪২ বলে ২১ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৬৪ রান।
আগের সেরা জুটি ছিল ৫০ রানের। ২০১৭ সালে ব্লুমফন্টেইন টেস্টে গড়েছিলেন লিটন দাস ও তাইজুল ইসলাম।
৫২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ২৬ রানে পিছিয়ে তারা।
প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ
নতুন দিনের শুরুটা একদমই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম সেশনের পানি বিরতির আগে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ৩০ রান করতে ৩ উইকেট হারাল তারা।
দিনের পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার তিন বলের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফেরেন দুই সেট ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিম। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি লিটন কুমার দাসও।
আপাতত ঘুরে দাঁড়ানোর অভিযানে লড়ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি।
৪৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩১ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে প্রয়োজন আরও ৭১ রান।
মিরাজ ৩৭ বলে ১২ ও জাকের ২৫ বলে ৬ রানে অপরাজিত।
রিভিউ নিয়ে লিটনকে ফেরাল দক্ষিণ আফ্রিকা
কেশাভ মহারাজের স্টাম্পে পিচ করে টার্নে বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারি রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু পারলেন না। ব্যাটের ওপরের অংশ ছুঁয়ে বল জমা পড়ল কাইল ভেরেইনার গ্লাভসে।
জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন না আম্পায়ার। মহারাজের আত্মবিশ্বাস দেখে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন এইডেন মার্করাম। রিপ্লে দেখে ব্যাটে কানায় ছুঁয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন থার্ড আম্পায়ার। বদলে যায় মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
১৫ বলে ৭ রান করে ফেরেন লিটন। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি।
৩৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১২ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে প্রয়োজন আরও ৯০ রান।
জয়ের পর মুশফিকের বিদায়
একই ওভারে দুই সেট ব্যাটসম্যানের বিদায়ঘণ্টা বাজালেন কাগিসো রাবাদা। ফুল লেংথ ডেলিভারি ভুল লাইনে খেলে বোল্ড হয়ে গেলেন মুশফিকুর রহিম। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয়বারও তাকে ফেরালেন রাবাদা।
৩ চারে ৩৯ বলে ৩৩ রান করেন মুশফিক। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন কুমার দাস।
৩২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১০৬ রান।
জয়কে ফেরালেন রাবাদা
নতুন দিনের সকালে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মাহমুদুল হাসান জয়। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার অফ স্টাম্পের বাইরের বল দূর থেকে খেলার চেষ্টায় স্লিপে ক্যাচ দিলেন তরুণ ওপেনার।
৫ চারে ৯২ বলে ৪০ রান করেন জয়। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৬ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস। মুশফিকুর রহিম ৩৮ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত।
৩১.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৯৭ রানে পিছিয়ে তারা।
দুইশ রানের লক্ষ্য দেওয়ার আশায় বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বড় লিড হজম করে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে লড়ছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের পাল্টা আক্রমণ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের সহজাত ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় দিনের শেষভাগে মিলেছে ইতিবাচক কিছুর আশা।
দ্বিতীয় দিন শেষেও অবশ্য ১০১ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে বুধবারের খেলা শুরু করবে তারা। জয় ৮০ বলে ৩৮ ও মুশফিক ২৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত।
দিনের খেলা শেষে হাসান মাহমুদ বলেছেন, জয় ও মুশফিকের জুটিতে তাকিয়ে তারা। ম্যাচ জেতার জন্য দুইশ রানের বেশি লক্ষ্য দেওয়ার আশা তরুণ পেসারের।
প্রথম দুই দিন বিকেলের সেশনে আগেভাগে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তাই দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও ১৫ মিনিট এগিয়ে সকাল ৯.৪৫ মিনিটে শুরু হবে খেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (দ্বিতীয় দিন শেষে):
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০৬
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৮
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৭.১ ওভারে ১০১/৩ (জয় ৩৮*, সাদমান ১, মুমিনুল ০, শান্ত ২৩, মুশফিক ৩১*; রাবাদা ৭-৩-১০-২, মুল্ডার ৭-১-২৩-০, মহারাজ ৯-০-৩৩-১, পিট ৪.১-০-২৯-০)