প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনবার। কিন্তু ৬ উইকেটের কীর্তি গড়তে পারেননি একবারও। এবার সেটি ধরা দিল রশিদ খানের হাতে। বিগ ব্যাশের ইতিহাসে আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার গড়লেন তৃতীয় সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
Published : 12 Jan 2022, 06:14 PM
ব্রিজবেন হিটের বিপক্ষে বুধবার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৬ উইকেটের স্বাদ পান রশিদ। অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের এই স্পিনার ১৭ রানে ৬টি নিয়ে প্রতিপক্ষকে গুটিয়ে দেন ৯০ রানে। ১৬১ রানের পুঁজি নিয়ে ৭১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অ্যাডিলেইড।
অস্ট্রেলিয়ার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ইনিংসে ৬ উইকেট আছে কেবল লাসিথ মালিঙ্গা ও ইশ সোধির। ২০১২ আসরে ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন শ্রীলঙ্কার পেসার মালিঙ্কা। যা এখনও বিগ ব্যাশের সেরা বোলিং। দ্বিতীয় সেরা ১১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন সোধি, ২০১৭ আসরে।
রশিদের কীর্তি গড়া ম্যাচটি ছিল বিগ ব্যাশের এবারের আসরে তার শেষ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য আফগানিস্তান দলে যোগ দিবেন তিনি। সিরিজটি শুরু আগামী ২১ জানুয়ারি।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে রশিদের আগের সেরা ছিল ৩ রানে ৫ উইকেট, ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
ব্রিজবেন ক্রিকেট মাঠে বল হাতে এদিন শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না রশিদের। সপ্তম ওভারে আক্রমণে এসে দিয়ে বসেন ১১ রান। এরপর ঘুরে দাঁড়ান দুর্দান্তভাবে। নবম ওভারে ধরেন জোড়া শিকার। দল পায় হ্যাটট্রিক উইকেট, অন্যটি রানআউট।
ওই ওভারের প্রথম বলে রান আউটে কাটা পড়েন লকলান ফেফার। পরের বলে রশিদের গুগলিতে কট বিহাইন্ড হয়ে যান স্যাম হিজলেট। জ্যাক লেম্যানকে বোল্ড করে রশিদ ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে আবার বল হাতে নিয়ে উইল প্রেস্টউইজকে ফিরিয়ে দেন রশিদ।
পঞ্চদশ ওভারে আবার হ্যাটট্রিক করার পথে ছিলেন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বর এই বোলার। ওভারের দ্বিতীয় বলে ম্যাথু কুনেম্যানের স্টাম্প এলোমেলো করে দেন তিনি। পরের বলে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় তার স্বদেশি মুজিব-উর-রহমান ধরা পড়েন বাউন্ডারিতে। শেষ বলে লিয়ামকে ফিরিয়ে ৬ উইকেটের কীর্তিতে নাম লেখান রশিদ।
রশিদের ছোবলে ২ উইকেটে ৬২ রান থেকে একশর আগে গুটিয়ে যায় ব্রিজবেন হিট। শেষ আট উইকেট হারায় তারা কেবল ২৮ রান তুলতেই।
এর আগে ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন রশিদ। জাভিয়ার ব্রাটলেটকে টানা দুই ছক্কায় ওড়ান তিনি, ৪ বল খেলে করেন ১৩ রান।