এটি অবশ্য পাকিস্তান ক্রিকেটের সাম্প্রতিক রীতি। টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তারা ম্যাচের আগের দিন জানিয়ে দিয়েছিল ১২ জনের নাম।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুশীলনে আসে পাকিস্তান দল। তার আগে হোটেল থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেই তারা ঘোষণা করে ১২ জনের স্কোয়াড। সেখানে ঠাঁই পাননি মোহাম্মদ আব্বাস। সবশেষ দুই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন এই সুইং বোলার, উইকেট পাননি দ্বিতীয় ইনিংসে।
২১ বছর বয়সেই ক্রমে পেস আক্রমণের নেতা হয়ে উঠতে থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে পেসার হিসেবে চট্টগ্রাম টেস্টে আছেন হাসান আলি। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দুই টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন আফ্রিদি। পেস আক্রমণে এই দুজনের সঙ্গী অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ।
অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহকে এবার স্কোয়াডেই রাখেনি পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রথম টেস্টে উইকেটশূন্য থাকার পর দ্বিতীয় টেস্টে তাকে বাদ দিয়ে নেয় নুমান আলিকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার দলের জয়ে রাখেন ভূমিকা। ৫ টেস্ট খেলা নুমানই চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের মূল স্পিনার।
লেগ স্পিনার জাহিদ মাহমুদ স্কোয়াডে থাকলেও তাকে ১২ জনে রাখেনি পাকিস্তান। নুমানের সঙ্গে স্পিন আক্রমণ সামলাবেন সাজিদ খান। ২৮ বছর বয়সী এই অফ স্পিনারের ব্যাটের হাতও বেশ ভালো।
পাকিস্তানের ১২ জনের দল থেকে একাদশ বাছাইয়ে মূল প্রশ্ন হতে পারে ওপেনিং জুটি নিয়ে। আবিদ আলি, আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল-হকের মধ্যে দুজনকে বেছে নেওয়া হবে। আবিদ আলি গত কিছুদিনে দলের প্রথম পছন্দের ওপেনার। তবে সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর তার ভালো যায়নি।
এই সফর দিয়ে ইমাম টেস্ট দলে ফিরেছেন ঘরোয়া কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। এখানে আসার আগে সবশেষ ম্যাচে তিনি খেলেছেন ২০২ রানের অপরাজিত ইনিংস। আগের তিন ম্যাচে খেলেন ৭২, ১০৯ ও ৯৭ রানের ইনিংস।
আব্দুল্লাহ শফিক আলোচনায় আসেন গত বছর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকে ৫৮ বলে ১০২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকেও সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০১৯ সালে। এই মাসে পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে লঙ্কানদের ‘এ’ দলের বিপক্ষে আনঅফিসিয়াল টেস্টে করেন সেঞ্চুরি।
শেষ পর্যন্ত এই তিন জনের মধ্যে একজনকে বাইরে রেখে বাকিদের নিয়ে পাকিস্তান একাদশ সাজাবে বলে ধারণা করা যায়।