দুই দলের পুরো স্কোয়াড টেস্টের আগে এই মাঠে প্রথম অনুশীলন করে বুধবার। ম্যাচের জন্য নির্ধারিত উইকেটে তখন ছিল বেশ ঘাস। সেই ঘাস যে রাখা হবে না, তা ছিল অনুমিতই। বৃহস্পতিবারই দেখা যায়, ছেঁটে ফেলা হয়েছে অনেকটা। শুক্রবার ম্যাচ শুরুর আগে সকালে আরও ছাঁটা হবে নিশ্চিতভাবেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যখন কথা বললেন বাবর, তখনও মাঠে আসেনি দল। তবে আগের দিনের দেখা থেকেই ধারণা অনেকটা পাওয়া হয়ে গেছে পাকিস্তান অধিনায়কের।
“পিচ দেখে মনে হচ্ছে টিপিকাল বাংলাদেশি উইকেট। কালকে যা দেখলাম, তাতে ঘাস ছিল কিছুটা সেখানে। আজকে আবার গিয়ে দেখব কী অবস্থা। এখানে তো স্পিনারদের সহায়তা মেলে, পেসারদেরও সহায়তা মেলে শুরুতে। যতটা কাজে লাগাতে পারব কন্ডিশন, আমাদের জন্য ততই ভালো।”
পিচ নিয়ে বাবর ও পাকিস্তান দলের খুব একটা সংশয় যে নেই, সেটির প্রমাণ দিয়েছে তারা ম্যাচের আগের দিন দুপুরেই ১২ জনের দল ঘোষণা করে। সেখান থেকে একাদশ সাজানোর ক্ষেত্রে বোলিং আক্রমণ কিংবা সেট আপে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা সামান্যই।
তবে ‘টিপিকাল বাংলাদেশি’ উইকেট মানেই ‘টিপিকাল চট্টগ্রাম’ উইকেট নয়! বিশেষ করে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটের সঙ্গে মিল তো থাকে কম সময়ই। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নিয়ে উইকেট তৈরি না করা হলে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট সাধারণত কথা বলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই।
এই মাঠের সবশেষ টেস্টও হয়ে আছে এটির প্রমাণ। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের চরম হতাশার সেই টেস্টের শেষ ইনিংসে ৩৯৫ রান তাড়ায় শেষ দিনে ২৮৫ রান করে অভাবনীয় এক জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই মাঠের উইকেটকে মুমিনুল হকের চেয়ে বেশি সম্ভবত চেনেন না আর কেউ। এখানে ১০ টেস্টে তার সেঞ্চুরি ৭টি। ৭৪.৮১ গড়ে রান করেছেন ১ হাজার ১৯৭। ম্যাচের আগের দিন উইকেট দেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন তার পর্যবেক্ষণ।
“আমার কাছে মনে হয়, খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। ভালো উইকেট হবে, ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক। চট্টগ্রামে সবশেষ যে কয়টি ম্যাচ দেখেছেন, আমার চেয়ে আপনারা ভালো দেখেন, বুঝবেন। বাইরে থেকে যারা দেখে, অনেক সময় বেশি ভালো বোঝে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ভালো হবে ব্যাটিংয়ের জন্য।”