এই দুজনকে দলে নেওয়ার পেছনে যুক্তি অবশ্য অদ্ভুত। বিসিবির বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, “পেসারদের কিছু চোট সমস্যা আছে। তাসকিন ও শরিফুলকে আমরা এই টেস্টে পাচ্ছি না এবং অন্য সিমারদের জন্য কাভার রাখা দরকার ছিল আমাদের। খালেদ ও শহিদুল ফিট ও প্রস্তুত।”
তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলামের চোট নতুন কিছু নয়। চোটের কারণে এই টেস্টের স্কোয়াডেই তারা নেই। নতুন কাউকে যোগ করার সঙ্গে তাসকিন-শরিফুলদের সম্পর্কই থাকার কথা নয়!
মিনহাজুল পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, আগে থেকেই স্কোয়াডে থাকা আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও রেজাউর রহমান রাজার কোনো চোট সমস্যা নেই। তার পরও তারা সতর্কতা হিসেবে খালেদ-শহিদুলকে দলে যোগ করার প্রয়োজনীয়তা দেখেছেন।
২৯ বছর বয়সী খালেদ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন দুটি টেস্ট। একটি ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, আরেকটি পরের বছর হ্যামিল্টনে। কোনো উইকেট পাননি এখনও।
শহিদুল ইসলামের আন্তর্জাতিক অভিষেক হলো পাকিস্তানের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে। টেস্ট দলের অংশ হয়ে গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফর করে এসেছেন ২৬ বছর বয়সী পেসার।
খালেদ ও শহিদুলকে নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে পেসার এখন পাঁচজন, স্পিনার আছেন তিনজন।
বাংলাদেশ টেস্ট দল : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন কুমার দাস, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, ইয়াসির আলি চৌধুরি, আবু জায়েদ চৌধুরি, ইবাদত হোসেন, মাহমুদুল হাসান জয়, রেজাউর রহমান রাজা, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, শহিদুল ইসলাম।