উদ্বোধনী আসরে কোনো জয় না পাওয়া একমাত্র দল ছিল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে হোয়াইটওয়াশড হতে হয়েছিল দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও।
এবার ৯ দলের এই টুর্নামেন্টে ছয়টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে উপমহাদেশের তিন দল, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সফর করবে নিজেদের কঠিনতম দুই গন্তব্য নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকায়, আরেকটি সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
উপমহাদেশের তিন দেশের বিপক্ষে খেলা হওয়ায় ঘরের সুবিধা কতটা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। এর সঙ্গে পেস সহায়ক উইকেটে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ানে খেলার চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে তো আগে কখনোই তাদের মাঠে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ, কোনো সংস্করণেই না।
তাই বাস্তবতা বলছে, তলানি থেকে উঠে আসার পথটা এবার আরও কঠিন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যাত্রা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। কেবলই শুরু, এখনই জটিল হিসেব-নিকেশে না গিয়ে মুমিনুল জানালেন, অন্তত ছয়-সাতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চান তারা।
“আমার মনে হয়, এখন যে জায়গায় আছি আমরা, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যখন শেষ হবে, তখন এখান থেকে দুই-তিন ধাপ ওপরে উঠতে পারলে আমি খুশি।”
ওপরে উঠতে মাঠে নিজেদের মেলে ধরার বিকল্প আর কিছুই তো নেই। সেটা বেশ কিছু দিন ধরেই অনুপস্থিত মুমিনুলদের খেলায়। এ সময়ে পূর্ণ শক্তির দলও নিয়মিত পায়নি বাংলাদেশ। এবারও তা হচ্ছে না। এমনকি নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের সিরিজেও হয়ত না।
এভাবেই চলতে হবে বুঝে গেছেন মুমিনুল। অনেকটা হুট করে ২০১৯ সালে ভারত সফরের আগে নেতৃত্ব পাওয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বুঝতে পারছেন, এই সংস্করণে দ্রুত এগোনোর কোনো উপায় নেই। উন্নতি করতে হলে এগোতে হবে ধীর, কিন্তু দৃঢ় পায়ে।
“ফল তো আমি না, সারা বাংলাদেশ চায়, আপনারাও চান। টেস্ট খেলতে গেলে দূরদর্শী চিন্তা করতে হবে। প্রথম থেকেই ফল না ভেবে আস্তে আস্তে এগোতে হবে। আমরাও সেভাবেই এগোচ্ছি। এই কারণেই আপনারা হয়তো সামনের সিরিজ বা পরের সিরিজে বুঝতে পারবেন যে, কোন পথে এগোচ্ছে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট।”