প্রতিপক্ষের রান তখন পেরিয়ে গেছে দুইশ। ছক্কার পর ছক্কায় সেঞ্চুরি করেছেন এক ব্যাটসম্যান। এমন রান প্রবাহের ইনিংসেই একটু উল্টো স্রোত বইয়ে দিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ এক ওভারে ৪ উইকেট নিলেন বরিশালের এই পেসার।
Published : 08 Dec 2020, 03:33 PM
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে এই স্বাদ পান কামরুল। ইনিংসের শেষ ওভারে টানা তিন বলে ফেরান নুরুল হাসান সোহান, সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ও ও ফরহাদ রেজাকে। এক বল পর তার শিকার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
হ্যাটট্রিকের আগে ৩ ওভারে ৩৯ রান গুনেছিলেন কামরুল। শেষ ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন সোহান, পরের বলে শান্ত। হ্যাটট্রিক বল উড়িয়ে মেরে লং অফ সীমানায় ধরা পড়েন ফরহাদ রেজা। হ্যাটট্রিকের কোনো উদযাপন অবশ্য দেখা যায়নি কামরুল ও তার সতীর্থদের।
নতুন ব্যাটসম্যান সাইফ উদ্দিন উইকেটে গিয়ে প্রথম বলেই মারেন বাউন্ডারি। পরের বলে সাইফ ধরা পড়েন লং অনে। এই ৪ উইকেটের ৩টি ক্যাচই নেন সাইফ হাসান। ওভারের শেষ বলে হজম করেন ছক্কা।
২০ ওভারের ক্রিকেটে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার কামরুল। প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন যিনি, সেই আল আমিন হোসেনের হ্যাটট্রিক আছে দুটি।
২০১৩ সালে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে আল আমিন শুধু হ্যাটট্রিকই করেননি, টানা চার বলে নিয়েছিলেন উইকেট। ওই ওভারে তার শিকার ছিল ৫ উইকেট। ওভারের প্রথম বলে সেদিন মেহেদি হাসানকে আউট করার পর তৃতীয় বল থেকে ষষ্ঠ বলে তিনি টানা ফেরান নাজমুল হোসেন মিলন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও নাবিল সামাদকে।
আল আমিনের পরের হ্যাটট্রিক ২০১৫ সালে বিপিএলে। এবার তার শিকার রবি বোপারা, মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন আলিস আল ইসলাম, ২০১৯ সালে বিপিএলে। তার তিন উইকেট ছিল মোহাম্মদ মিঠুন, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ফরহাদ রেজা।
এরপর গত বছর প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেন পেসার মানিক খান। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে তার তিন শিকার ছিল বিকেএসপির ফাহাদ খান, পারভেজ হোসেন ও রাতুল খান।
এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন কামরুল। প্রতিপক্ষ ২০ ওভারে ২২০ রান তোলার ম্যাচে অবশ্য এই হ্যাট্রট্রিক তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি।