দুর্দান্ত শেষ ওভারে পার্থক্য গড়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ, ইমরুল কায়েসের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার দল জিতল স্নায়ু চাপ ধরে রেখে।
Published : 23 Sep 2018, 05:04 PM
রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার ম্যাচে ৩ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। ২৪৯ রান তাড়ায় আফগানিস্তান থেমেছে ২৪৬ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৯/৭ (লিটন ৪১, শান্ত ৬, মিঠুন ১, মুশফিক ৩৩, সাকিব ০, ইমরুল ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ৭৪, মাশরাফি ১০, মিরাজ ৫*; আফাতাব ৩/৫৪, মুজিব ১/৩৫, গুলবদিন ০/৫৮, নবি ০/৪৪, রশিদ ১/৪৬, সামিউল্লাহ ০/৯)
আফগানিস্তান: ৫০ ওভারে ২৪৬/৭ (শাহজাদ ৫৩, ইহসানউল্লাহ ৮, রহমত ১, হাশমতউল্লাহ ৭১, আসগর ৩৯, নবি ৩৮, সামিউল্লাহ ২৩*, রশিদ ৫, গুলবদিন ০*; মাশরাফি ২/৬২, নাজমুল ০/২৯, মুস্তাফিজ ২/৪৪, মিরাজ ০/৩৬, সাকিব ১/৫৫, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭)
ফল: বাংলাদেশ ৩ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহমুদউল্লাহ
বাংলাদেশের সামনে ‘সেমি-ফাইনাল’
বাংলাদেশের কাছে হেরে এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেছে আফগানিস্তানের। মাশরাফিদের জয়ে দিনের অন্য ম্যাচে পাকিস্তানের হারানো ভারতের নিশ্চিত হয়ে গেছে ফাইনাল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগামী বুধবারের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচটি এখন কার্যত ‘সেমি-ফাইনাল’। জয়ী দল খেলবে আগামী শুক্রবারের ফাইনালে।
দুর্দান্ত শেষ ওভারে নায়ক মুস্তাফিজ
জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ৮ রান। আফগানদের হাতে ৪ উইকেট। প্রথম বল থেকে এলো ২। সমীকরণ আরেকটু সহজ হলো তাদের জন্য।
শেষ ৫ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। তখনই দেখা মুস্তাফিজ জাদুর। দারুণ এক স্লোয়ারে রশিদ খানকে ফিরিয়ে দিলেন বাঁহাতি এই পেসার।
পরের তিন বল থেকে আফগানরা নিতে পারল কেবল ২ রান। জয়ের জন্য শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান। মুস্তাফিজ সেই বলটি ডট খেলালেন সামিউল্লাহ সেনওয়ারিকে।
স্নায়ু চাপ ধরে রেখে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৩ রানে জিতল বাংলাদেশ। দুই সংস্করণ মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ হারের পর আফগানদের বিপক্ষে জিতল তারা।
রশিদকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
জয়ের জন্য শেষ ওভারে আফগানিস্তানের প্রয়োজন কেবল ৮ রান। প্রথম বলে এলো দুই রান। মুস্তাফিজুর রহমানের পরের বলে চড়াও হতে গেলেন রশিদ খান। দুই দলের আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া টেল এন্ডার ব্যাটসম্যান এবার ফিরলেন দ্রুত। ফিরতি ক্যাচে দলকে আরেকটি উইকেট এনে দিলেন মুস্তাফিজ।
৪ বলে ৫ রান করে ফিরেন রশিদ। জয়ের জন্য শেষ ৪ বলে আফগানিস্তানের প্রয়োজন ৬ রান।
নবিকে ফেরালেন সাকিব
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ১৯ রান। সাকিব আল হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণটা সহজ করে দিলেন মোহাম্মদ নবি। পরের বলে একই চেষ্টা করতে গিয়ে ফিরলেন নাজমুল হোসেন শান্তর দারুণ ক্যাচে।
২৮ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান নবি। ৪৮.৩ ওভারে তার বিদায়ের সময় আফগানিস্তানের স্কোর ২৩৮/৬। ক্রিজে সামিউল্লাহ শেনওয়ারির সঙ্গী রশিদ খান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সামিউল্লাহ
সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার পর রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারি।
সাকিবের বাঁহাতি শেনওয়ারি রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে খেলতে পারেননি। প্যাডে লাগলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। কিন্তু বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে যেত বল। টিকে যান সামিউল্লাহ। সে সময় ৩ রানে ব্যাট করছিলেন তিনি।
৪৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৯৯/৫। মোহাম্মদ নবি ১৪ ও সামিউল্লাহ ৭ রানে ব্যাট করছেন।
হাশমতউল্লাহর প্রতিরোধ ভাঙলেন মাশরাফি
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর রানের জন্য ঝটফট করছিলেন হাশমতউল্লাহ। রানের জন্য নিচ্ছিলেন বাড়তি ঝুঁকি। সেটাই কাল হল, বোল্ড হয়ে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে।
বাংলাদেশ অধিনায়কের স্লোয়ার সরে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন হাশমতউল্লাহ। ব্যাটে খেলতে পারেননি, প্যাডে লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। থিতু ব্যাটসম্যানকে হারায় আফগানিস্তান।
৪৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৯৩/৫। ক্রিজে মোহাম্মদ নবির সঙ্গী সামিউল্লাহ শেনওয়ারি। জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে ৫৭ রান চাই আফগানদের।
আসগরকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙলেন মাশরাফি
দ্রুত এগোনো জুটি ভেঙেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফিরিয়ে দিয়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগানকে।
আগের বলেই চার হাঁকিয়েছিলেন আসগর। পরের বলে তার পুনরাবৃত্তি করতে চাইলেন তিনি। বাড়তি বাউন্সের জন্য লাগলো ব্যাটের কানায়, শর্ট থার্ড ম্যানে চমৎকার ক্যাচ নিলেন মাহমুদউল্লাহ।
৪৭ বলে ৩৯ রান করে ফিরলেন আফগান অধিনায়ক। ভাঙল ৭৮ রানের জুটি।
৪০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৬৯/৪। ক্রিজে হাশমতউল্লাহ শাহিদির সঙ্গী মোহাম্মদ নবি। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে ৮১ রান চাই তাদের।
হাশমতউল্লাহর টানা তৃতীয় ফিফটি
চাপের মধ্যে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন টানা তৃতীয় ফিফটি।
৮০ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান হাশমতউল্লাহ। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার।
দারুণ ছন্দে আছেন এই আফগান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ রান করার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ৯৭ রানের চমৎকার ইনিংস।
আফগানদের আরেকটি পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি
টানা দুটি পঞ্চাশ রানের জুটি পেয়েছে আফগানিস্তান। মোহাম্মদ শাহজাদের পর আসগর আফগানের সঙ্গে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি গড়েছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
চতুর্থ উইকেট জুটির রান পঞ্চাশে যায় ৬৬ বলে। এক-দুই নিয়ে দুই ব্যাটসম্যান সচর রেখেছেন রানের চাকা। বাজে বল পেলে তুলে নিচ্ছেন বাউন্ডারি। হাশমতউল্লাহ, আসগরের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানিস্তান।
৩৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১৪২/৩। হাশমতউল্লাহ ৫০ ও আসগর ২৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ১০৮ রান।
হাশমতউল্লাহর ফিফটি
চাপের মধ্যে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
৮০ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান হাশমতউল্লাহ। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে তিনটি চার।
ধীরগতিতে আফগানিস্তানের একশ
অসংখ্য ডট বল খেলা আফগানিস্তানের স্কোর তিন অঙ্কে গেল ২৭.৪ ওভারে। স্পিনে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে আফগান ব্যাটসম্যানদের।
২৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ১০২/৩। হাশমতউল্লাহ শাহিদি ৩০ ও আসগর আফগান ৯ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য ২২ ওভারে ১৪৮ রান চাই দলটির।
শাহজাদের প্রতিরোধ ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ
বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানলেন মাহমুদউল্লাহ। বোল্ড করে ফিরিয়ে দিলেন আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে।
সরে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন শাহজাদ। মাহমুদউল্লাহ বল করেন একটু জোরের ওপরে। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে লাগে লেগ স্টাম্পে।
৮১ বলে ৫৩ রান করে ফিরে যান শাহজাদ। ২৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৮৯/৩। ক্রিজে হাশমতউল্লাহর সঙ্গী আসগর আফগান।
শাহজাদের ফিফটি
শুরুতে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে জীবন পাওয়া মোহাম্মদ শাহজাদ এগিয়ে নিচ্ছেন আফগানিস্তানকে। পঞ্চাশ ছোঁয়ার সঙ্গে হাশমতউল্লাহ শাহিদির সঙ্গে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে গেছেন আফগান ওপেনার।
৭৩ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন শাহজাদ। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি চার।
তৃতীয় উইকেটে হাশমতউল্লাহর সঙ্গে শাহজাদের জুটি পঞ্চাশে যায় ৮০ বলে।
২২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৮১/২। শাহজাদ ৫১ ও হাশমতউল্লাহ ২০ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে আফগানদের ২ উইকেট
পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তানের ইহসানউল্লাহ ও রহমত শাহকে ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বেঁধে রেখেছে আফগান ব্যাটসম্যানদের।
১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৩২/২। মোহাম্মদ শাহজাদ ২১ ও হাশমতউল্লাহ শাহিদি ১ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে আফগানদের ৪৮টি ডট বল খেলিয়েছে বাংলাদেশ। এই সময়ে এসেছে ৬টি বাউন্ডারি।
সাকিবের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট রহমত
সাকিব আল হাসানের দারুণ ফিল্ডিংয়ে রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন রহমত শাহ। দ্বিতীয় উইকেট হারাল আফগানিস্তান।
নাজমুল ইসলাম অপুকে মোহাম্মদ শাহজাদ কাট করলে পয়েন্টে ঝাঁপিয়ে ফেরান সাকিব। রানের জন্য অনেকটা এগিয়ে যাওয়া রহমত ফেরার চেষ্টা করেন, বাঁচতে শেষ সময়ে ঝাঁপিয়েও পড়েন। তবে তার আগেই সাকিবের সরাসরি থ্রো এলোমেলো করে দেয় স্টাম্প।
৯ বলে ১ রান করে ফিরে যান রহমত। ৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ২৭/২। ক্রিজে শাহজাদের সঙ্গী হাশমতউল্লাহ শাহিদি।
প্রথম আঘাত মুস্তাফিজের
বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি এই পেসার ফিরিয়ে দিয়েছেন ইহসানউল্লাহকে।
মুস্তাফিজকে ঠিক মতো ড্রাইভ করতে পারেননি আফগান ওপেনার। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে।
১১ বলে ৮ রান করে ফিরেন ইহসানউল্লাহ। ৪.১ ওভারে তার বিদায়ের সময় আফগানিস্তানের স্কোর ২০/১। ক্রিজে মোহাম্মদ শাহজাদের সঙ্গী রহমত শাহ।
শাহজাদকে জীবন দিলেন মিঠুন
অভিষেকে দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম উইকেট পেতে পারতেন নাজমুল ইসলাম অপু। তার বলে মোহাম্মদ শাহজাদের ক্যাচ ছেড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
বাঁহাতি স্পিনারকে বেরিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন শাহজাদ। টাইমিং করতে পারেননি, বল উঠে যায় আকাশে। মিড অনেক সময় পেয়েছিলেন মিঠুন কিন্তু হাতে জমাতে পারেননি ক্যাচ। সে সময় ৯ রানে ব্যাট করছিলেন শাহজাদ।
মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি
দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় লিটন দাস, মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ৫ রানের মধ্যে এই দুই ব্যাটসম্যান আর সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে আবার চাপে পড়ে দল। সেখান থেকে রেকর্ড গড়া ১২৮ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে পথ দেখান মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল।
৭ উইকেটে ২৪৯ রান করে বাংলাদেশ। ৮৯ বলে ৬ রানে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল। মাহমুদউল্লাহ ফিরেন ৭৪ রান করে।
৫৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের সেরা বোলার আফতাব আলম। একটি করে উইকেট নেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৪৯/৭ (লিটন ৪১, শান্ত ৬, মিঠুন ১, মুশফিক ৩৩, সাকিব ০, ইমরুল ৭২*, মাহমুদউল্লাহ ৭৪, মাশরাফি ১০, মিরাজ ৫*; আফাতাব ৩/৫৪, মুজিব ১/৩৫, গুলবদিন ০/৫৮, নবি ০/৪৪, রশিদ ১/৪৬, সামিউল্লাহ ০/৯)
দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় আউট মাশরাফি
সময়ের দাবি মেটাতে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক ফিরে গেলেন সেই চেষ্টাতেই।
আফতাব আলমের স্লোয়ারে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, সহজ ক্যাচ যায় মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসে।
৯ বলে ১০ রান করে ফিরেন মাশরাফি। ৪৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৮/৭। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
সময়ের দাবি মেটাতে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়ক ফিরে গেলেন সেই চেষ্টাতেই।
আফতাব আলমের স্লোয়ারে কিপারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন মাশরাফি। ঠিক মতো খেলতে পারেননি, সহজ ক্যাচ যায় মোহাম্মদ শাহজাদের গ্লাভসে।
৯ বলে ১০ রান করে ফিরেন মাশরাফি। ৪৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৩৮/৭। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
দলকে উদ্ধার করে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ
শত রানের জুটি ভাঙলেন আফতাব আলম। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল পয়েন্ট দিয়ে ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন তিনি। টাইমিং হয়নি, ক্যাচ যায় সোজা ফিল্ডার রশিদ খানের হাতে।
৮১ বলে দুই ছক্কা ও তিন চারে ৭৪ রান করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। তার বিদায়ে ভাঙে রেকর্ড ১২৮ রানের জুটি। তখন ৪৬.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২১৫/৬। ক্রিজে ইমরুল কায়েসের সঙ্গী মাশরাফি বিন মুর্তজা।
ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটিতে রেকর্ড
দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার পথে ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি উপহার দিয়েছেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। দুই জনে ভেঙেছেন ১৯ বছরের পুরনো রেকর্ড।
১৯৯৯ সালে ঢাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাসুদ অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছিলেন ১২৩ রানের জুটি। এতদিন সেটাই ছিল সর্বোচ্চ।
৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ২১৫। জুটির রান তখন ১২৮। ইমরুল ৫৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৭৪ রানে ব্যাট করছেন।
ইমরুলের ফিফটি
প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে নিজেকে মেলে ধরলেন ইমরুল কায়েস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
ছয় নম্বরে নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যাটিং করতে নেমে ৭৭ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ইমরুল। ক্যারিয়ারের পঞ্চদশ ফিফটিতে পৌঁছানোর পথে তার ব্যাট থেকে এসেছে দুটি চার।
বাংলাদেশের দুইশ
রশিদ খানকে আরেকটি ছক্কা হাঁকালেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৫তম ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ গেল দুইশ রানে।
৪৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৭/৫। মাহমুদউল্লাহ ৭২ ও ইমরুল কায়েস ৪৯ রানে ব্যাট করছেন।
ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটির একশ
৫ রানের মধ্যে লিটন দাস, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে হারানো বাংলাদেশ এগোচ্ছে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। ষষ্ঠ উইকেটে দুই জনে উপহার দিলেন শতরানের জুটি।
ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটির রান তিন অঙ্কে যায় ১৩১ বলে। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের ষষ্ঠ উইকেটে ষষ্ঠ শতরানের জুটি। এ নিয়ে চারটি জুটিতে থাকলেন মাহমুদউল্লাহ।
৪৩তম ওভারের প্রথম তিনটি বল ডট খেলান রশিদ। চতুর্থ বলটি স্লগ সুইপ করে ছক্কায় উড়ান মাহমুদউল্লাহ। এই শটে তিন অঙ্কে যায় জুটির রান।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৩/৫। মাহমুদউল্লাহ ৬৩ ও ইমরুল ৪৬ রানে ব্যাট করছেন।
মাহমুদউল্লাহর লড়াকু ফিফটি
দলের বিপদে আরও একবার হাল ধরলেন মাহমুদউল্লাহ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুললেন বাংলাদেশকে।
৫৯ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ। ওয়ানডেতে এটি তার ২০তম ফিফটি। পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান এই অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৮/৫। মাহমুদউল্লাহ ৫৩ ও ইমরুল কায়েস ৪১ রানে ব্যাট করছেন।
ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটির পঞ্চাশ
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
৬৫ বলে আসে ইমরুল-মাহমুদউল্লাহ জুটির পঞ্চাশ। ক্রিজে আসার পর থেকে দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগী মাহমুদউল্লাহ। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন গত অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামা ইমরুল।
৩২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৯/৫। ইমরুল ২৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৩০ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের একশ
দ্রুত তিন উইকেটের ধাক্কা সামলে ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ২৫ ওভার ২ বলে তিন অঙ্কে গেছে দলটির রান।
গুলবদিন নাইবকে চার হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ একশতে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ।
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৪/৫। ইমরুল ১১ ও মাহমুদউল্লাহ ১০ রানে ব্যাট করছেন।
মুশফিকও রান আউট
পাঁচ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ। রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম।
রশিদ খানের গুগলি স্কয়ার লেগে খেলার পর এক-দুই পা সামনে আসেন ইমরুল কায়েস। ততক্ষণে পূর্ণ গতিতে রানের জন্য ছুটেছেন মুশফিক। ইমরুল যখন ফিরে যেতে বলেন তখন কিপার ব্যাটসম্যান বেশ এগিয়ে গেছেন। সেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব হয়নি।
৫২ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যান মুশফিক। ২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮৭/৫। ক্রিজে ইমরুলের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
সাকিবের ‘আত্মহত্যা’
এলেন আর গেলেন সাকিব আল হাসান। তার অহেতুক রান আউটে বিপদে বাংলাদেশ।
রশিদ খানের বল মিডউইকেটে খেলেই দৌড় দেন সাকিব। রান নেওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না। অনেকটা এগিয়ে ফেরার চেষ্টা করার সময় পা পিছলে যায় এই অলরাউন্ডারের। ততক্ষণে বল কুড়িয়ে থ্রো করছেন ইহসানউল্লাহ, হাল ছেড়ে দাঁড়িয়ে যান সাকিব। ফিল্ডারের থ্রো স্টাম্প ভেঙে দিলে ফিরে যান সাকিব।
২ বল খেলে শূন্য রানে আউট সাকিব। ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮২/৪। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী ইমরুল কায়েস।
উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন
থিতু হয়ে উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন দাস। নিজের প্রথম ওভারে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভাঙলেন রশিদ খান।
আগের বলে দুর্দান্ত এক শটে বাউন্ডারি তুলে নেন লিটন। পরের বলে রশিদকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আকাশে। শরীর থেকে অনেক দূরের বলে টাইমিং একেবারেই করতে পারেননি, স্লিপে সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন ইহসানউল্লাহ।
৪৩ বলে ৪১ রান করে ফিরে ফিরে যান লিটন। তার বিদায়ের সময় ১৮.৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৮১/৩।
লিটন-মুশফিক জুটির পঞ্চাশ
মন্থর শুরুর পর রানের গতি বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আফতাব আলমের বলে তার ছক্কায় তৃতীয় উইকেট জুটির রান ছুঁয়েছে পঞ্চাশ।
৬৮ বলে আসে ম্যাচে মুশফিক-লিটনের দায়িত্বশীল জুটির ফিফটি। শুরু থেকে এক ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছেন ওপেনার লিটন। একবার জীবন পাওয়া মুশফিক খেলতে শুরু করেছেন নিজের শট।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭২/২। লিটন ৩৫ ও মুশফিক ২৮ রানে ব্যাট করছেন।
জীবন পেলেন মুশফিক
জীবন পেলেন মুশফিকুর রহিম। মুজিব উর রহমানের বলে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেন এই কিপার ব্যাটসম্যান।
মুজিবকে কাট করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ঠিক মতো ব্যাটে খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে কিপার মোহাম্মদ শাহজাদের পায়ে লেগে ক্যাচ যায় প্রথম স্লিপে। দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখানো ফিল্ডার মুঠোয় নিতে পারেননি বল।
মুশফিক তখন ব্যাট করছিলেন ৯ রানে।
ওয়ানডেতে মুশফিকের পাঁচ হাজার রান
মাইলফলক ছুঁতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭ রান প্রয়োজন ছিল মুশফিকের। দ্রুতই এই কিপার ব্যাটসম্যান পৌঁছে যান ৫ হাজার রানের মাইলফলকে।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট
পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারানোর ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। প্রথম দশ ওভারে আউট নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৪ রান। লিটন দাস ২১ ও মুশফিকুর রহিম ৫ রানে ব্যাট করছেন।
বাজে শটে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার শান্ত। মুজিবের দারুণ একটি ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেছেন মিঠুন।
নবম ওভারে প্রথম বাউন্ডারি
দুই দলের প্রথম দেখায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে সীমানার বাইরে বল পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ। এবার নবম ওভারের শেষ বলে দলকে প্রথম বাউন্ডারি এনে দিয়েছেন লিটন দাস।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩২/২। লিটন ২০ ও মুশফিকুর রহিম ৪ রানে ব্যাট করছেন।
টিকলেন না মিঠুন
প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে নেমে ব্যর্থ মোহাম্মদ মিঠুন। ফিরে গেছেন মুজিব উর রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।
অনেকটা স্পিন করে ভেতরে ঢোকা বল পা বাড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন মিঠুন। ব্যাটে খেলতে পারেননি, বল লাগে প্যাডে। ২ বলে ১ রান করে ফিরে যান ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮/২। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
বাজে শটে ফিরলেন শান্ত
বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিজের ওপর চেপে বসা চাপটা সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। উল্টো দলকে চাপে ফেলে ফিরে গেছেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
জায়গা করে নিয়ে আফতাব আলমকে উড়াতে চেয়েছিলেন শান্ত। ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ পয়েন্টে মুঠোয় নেন রহমত শাহ।
১৮ বলে ৬ রান করে শান্ত ফিরে যাওয়ার সময় ৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৬/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মোহাম্মদ মিঠুন।
আফগানিস্তান দলে নাজিবউল্লাহর জায়গায় সামিউল্লাহ
দুই দলের প্রথম ম্যাচে খেলা সামিউল্লাহ শেনওয়ারি খেলেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশের বিপক্ষে আবার তাকে একাদশে ফিরিয়েছে আফগানিস্তান। বাদ পড়েছেন নাজিবউল্লাহ জাদরান।
আফগানিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ শাহজাদ, আসগর আফগান, রহমত শাহ, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, হাশমতউল্লাহ শাহিদি, মোহাম্মদ নবি, গুলবদিন নাইব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, আফতাব আলম, ইহসানউল্লাহ জানাত।
স্কোয়াডে ফিরেই একাদশে ইমরুল, অপুর অভিষেক
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেকের আট বছর পর দেশের হয়ে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেলেন নাজমুল ইসলাম অপু। ২৭ বছর বয়সী বাঁহাতি এই স্পিনার একাদশে এসেছেন পেসার রুবেল হোসেনের বদলে।
নাজমুল গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ওয়ানডে স্কোয়াডে। খেলার সুযোগ পাননি। এবার এশিয়া কাপেও প্রথম তিন ম্যাচে সুযোগ হয়নি। কিন্তু আবু ধাবির মন্থর ও স্পিন সহায়ক উইকেট সুযোগ করে দিল তাকে খেলানোর।
চলতির বফরের ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় নাজমুলের। এই সংস্করণে ১৩ ম্যাচ খেলে বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন ৮ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৬৮ ম্যাচে তার উইকেট ৮৬টি। পাঁচ উইকেট নিয়েছেন দুইবার।
ইমরুল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। তিন ম্যাচের সেই সিরিজে একটি ফিফটি ছিল তার। এরপরও বাদ পড়েছিলেন। কিন্তু তামিম ইকবাল ছাড়া বাকি ওপেনারদের টানা ব্যর্থতায় আবারও ইমরুলকে ফেরানো হয় স্কোয়াডে।
আগের দিন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুবাই সময় রাত ১১টার দিকে পৌঁছেছেন ইমরুল ও সৌম্য। পরদিনই এই দুজনকে মাঠে নামানো হবে কিনা, এই নিয়ে ছিল তুমুল কৌতুহল। একজনকে ঠিকই নিয়ে আসা হলো একাদশে
বাংলাদেশ দলে দুই পরিবর্তন
দুটি পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ দলে। স্পিনে শক্তি বাড়িয়েছে দলটি। অভিষেক হচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর। একাদশে এসেছেন হঠাৎ ডাক ওপেনার ইমরুল কায়েস। বাদ পড়েছেন পেসার রুবেল হোসেন ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, নাজমুল হাসান শান্ত, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, মুস্তাফিজুর রহমান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস ভাগ্যকে পাশে পেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিয়েছেন ব্যাটিং।
আফগানিস্তান অধিনায়ক আসগর আফগান জানান, টস জিতলে ব্যাটিং নিতেন তিনিও। এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে দুই দলের প্রথম দেখায় ব্যাটিং নিয়ে আড়াইশ ছাড়ানো স্কোর গড়ে বড় জয় পেয়েছিলেন তারা।
ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ
আফগানিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ভারতের কাছে গুঁড়িয়ে যাওয়া। পরপর দুই দিন দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স বাংলাদেশকে ঠেলে দিয়েছে খাদের কিনারায়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে পা হড়কালেই পতন। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ানো নির্ভর করবে অনেক হিসাব-নিকাশের ওপর।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে কার্যত বাঁচা-মরার ম্যাচের আগে সাকিব আল হাসান সুখস্মৃতির ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে। এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলে ঘুরে দাঁড়ানোর স্মৃতি আছে বাংলাদেশ। সহ-অধিনায়ক সতীর্থদের কাছে চান পুনরাবৃত্তি।
আবু ধাবিতে এশিয়া কাপের সুপার সিক্সে বাংলাদেশ সময় রোববার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।