চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগ সামনে রেখে নিজেদের সেরাটা মেলে ধরার প্রত্যয় বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ড টমাস মুলারের।
Published : 07 May 2024, 08:21 AM
আলিয়াঞ্জ অ্যারেনার প্রথম লেগ হয়েছিল ড্র। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ফিরতি লেগ তাই দুই দলের জন্যই বাঁচা-মরার লড়াই। জিতলে ফাইনালের মঞ্চে। হারলে বাজবে বিদায়ঘণ্টা। এমন দ্বৈরথের উত্তাপ কেমন হতে পারে, তা আঁচ করতে পারছেন টমাস মুলার। বায়ার্ন মিউনিখ ফরোয়ার্ডের মনে হচ্ছে, রেয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াইটা হবে খুব, খুব কঠিন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। বায়ার্নের মাঠে প্রথম লেগ হয়েছিল ২-২ ড্র।
নিজেদের আঙিনায় না পারলেও রেয়ালের ডেরায় এসে জিততে মুখিয়ে আছে বায়ার্ন। একই ভাবনা তারকা ফরোয়ার্ড মুলারেরও। যদিও স্পেনের সফলতম দলটির বিপক্ষে তার পরিসংখ্যান আহামরি নয়।
এ পর্যন্ত রেয়ালের বিপক্ষে খেলা ৯ ম্যাচে মুলার জয়ের হাসি হেসেছেন মাত্র দুইবার। ড্রয়ের স্বস্তি দুইবার। পাঁচ ম্যাচে ডুবেছেন হারের হতাশায়।
ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বের্নাবেউয়ের সবুজের রণাঙ্গণে পা রাখতে যাচ্ছেন মুলার। বিশ্বকাপ জয়ী এই জার্মান ফরোয়ার্ডের এই মাঠ বিশেষ প্রিয়ও; যেখানে সেরাটা নিংড়ে দেওয়ার তাড়না তিনি অনুভব করেন অনুক্ষণ। ক্লাবের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন সেই কথাই।
“এটা (সান্তিয়াগো বের্নাবেউ) দেখতে তর সইছে না আমার। স্টেডিয়ামটি সবেমাত্র সংস্কার করা হয়েছে; বের্নাবেউয়ের যে বিষয়টি আমাকে মুগ্ধ করে, তা হচ্ছে, মাঠটি শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন, আশপাশে ঘুরতে বের হবেন, পরের ব্লকে যাবেন এবং আচানক খুঁজে পাবেন ৮০ হাজার আসনের একটা স্টেডিয়াম!“
“মাদ্রিদে ফুটবল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ধরনের ম্যাচে সবসময় সেটা দেখাও যায়। ব্যক্তিগতভাবে, এটা আরও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করতে সাহায্য করে আমাকে।”
প্রতিপক্ষের ডেরায় যে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে, সেটা ভালোভাবেই জানেন মুলার। বিশেষ করে ম্যাচের পরিস্থিতির সাথে কৌশল বদলে রেয়ালের মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্যের প্রশংসাও ঝরল তার কণ্ঠে।
“রেয়াল মাদ্রিদের বহু রূপ। তারা ঘর আগলে রাখতে পারে এবং যেহেতু তারা জানে প্রতি-আক্রমণে তাদের দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে, তারা ডিফেন্ড করতেও অস্বচ্ছন্দ্য নয়। তাদের এই কৌশল কিছু উপলক্ষে পুরোপুরি কাজেও লেগেছে।”
“সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের নিয়মিত সেমি-ফাইনালে খেলা কোনো কাকতাল নয়। মাদ্রিদ খুবই বিপজ্জনক দল, কিন্তু তাদের বিপক্ষে মাথা তুলে দাঁড়ানোর উপায় আছে। আমরা তাদের হারাতে পারব কিনা, সেটা নির্ভর করবে বল পায়ে রেখে খেলতে পারছি, কি পারছি না, তার ওপর।”
বড় ম্যাচগুলোতে ছোট-ছোট বিষয়গুলো পার্থক্য গড়ে দেয় অনেক ক্ষেত্রে। মুলারের মতে, পরিকল্পনার কার্যকর করা, নিখুঁত ফুটবল খেলা এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার গড়ে দেবে ম্যাচের পথরেখা।
“লড়াইটা হবে সমানে সমান, যেখানে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। ফুটবলে কার্যকারিতাই মূখ্য। স্টুটগার্টের বিপক্ষে (৩-১ গোলে হারে বায়ার্ন) দ্বিতীয়ার্ধে যখন ১-১ সমতা ছিল, তখন আমরা দুটি বিশাল সুযোগ পেয়েছিলাম। গোল করলে জিতবেন, গোল না পেলে হারবেন। বিষয়গুলো এমনই। মিলিমিটার ব্যবধানের বিষয়, ওই মুহূর্তে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই কার্যকর হওয়া সম্ভব। আসলে বিষয়গুলো এমনই।”