আইপিএল
প্রথমবারের মতো আইপিএলে টানা পাঁচ ম্যাচ হারল চেন্নাই, ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ।
Published : 12 Apr 2025, 12:37 AM
ম্যাচের শুরুটা কী দারুণ ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। নেতৃত্বে ফিরে মাহেন্দ্র সিং ধোনি টস করতেই হয়ে গেল রেকর্ড। কিন্তু ম্যাচের শেষটা যেন হয়ে থাকল বিভীষিকা। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে এক রকম উড়ে গেল চেন্নাই। বল অব্যবহৃত থাকার দিক থেকে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হারের তেতো স্বাদ পেল তারা।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৮ উইকেটে হেরেছে চেন্নাই। ১০৪ রানের লক্ষ্য ৫৯ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলেছে কলকাতা।
জয় দিয়ে আসর শুরুর পর এটি চেন্নাইয়ের পঞ্চম হার। আইপিএলে নিজেদের ইতিহাসে দলটি এই প্রথম টানা এতো ম্যাচে হারল। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে হারল টানা তিন ম্যাচে।
বল অব্যবহৃত থাকার দিক থেকে এটাই চেন্নাইয়ের সবচেয়ে বড় হার। ২০২০ সালে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে শারজাহতে হেরেছিল ৪৬ বল বাকি থাকতে।
বল অব্যবহৃত থাকার দিক থেকে কলকাতার এর চেয়ে বড় জয় আছে কেবল একটি। ২০২১ সালে আবু ধাবিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষ দলটি জিতেছিল ৬০ বল বাকি থাকতে।
এক্ষেত্রে আইপিএলে রেকর্ড ৮৭ বল। ২০০৮ সালে কলকাতার বিপক্ষে ৬৮ রানের লক্ষ্য ৩৩ বলে ছুঁয়ে ফেলেছিল মুম্বাই। এখন পর্যন্ত এই একবারই পাওয়ার প্লের মধ্যে কোনো দল রান তাড়া করে জিততে পেরেছে।
দ্বিতীয়বার চিপকে ৮ উইকেটে হারল চেন্নাই। ২০১২ সালে প্রথম এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাদের মুম্বাইয়ের বিপক্ষে।
আইপিএলে সব মিলিয়ে আটবার ৮ উইকেটে হারল চেন্নাই। এর চেয়ে বড় ব্যবধানে হার তাদের আছে কেবল দুটি। ২০২০ সালে শারজাহতে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে হেরেছিল ১০ উইকেটে, এই দলের বিপক্ষে ২০০৮ সালে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হেরেছিল ৯ উইকেটে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এক পর্যায়ে চেন্নাইয়ের রান ছিল ২ উইকেটে ৫৯। সুনিল নারাইন ও ভারুন চক্রবর্তির স্পিনে ২০ রান যোগ করতে ৭ উইকেট হারিয়ে ভীষণ বিপদে পড়ে যায় দলটি।
ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় চেন্নাই। সেটি এড়ায় দশম উইকেট জুটির দৃঢ়তায়। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে থামে ১০৩ রানে। যা প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে তাদের তৃতীয় সর্রনিম্ন।
চেন্নাইয়ে স্বাগতিকদের এটাই সর্বনিম্ন। ঘরের মাঠে তাদের আগের সর্বনিম্ন ছিল ১০৯, মুম্বাইয়ের বিপক্ষে ২০১৯ সালে।
আইপিএলে মুম্বাইয়ের বিপক্ষেই চেন্নাইয়ের সর্বনিম্ন দুটি ২০১৩ সালে ৭৯ ও ২০২২ সালে ৯৭ রান করে তারা, দুটোই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
কলকাতার বিপক্ষে চেন্নাইয়ের আগের সর্বনিম্ন ছিল ২০১১ সালে ইডেন গার্ডেন্সে ৪ উইকেটে ১১৪।
বল হাতে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আসল কাজ সারেন নারাইন। পরে ওপেনিংয়ে নেমে ১৮ বলে ৫ ছক্কা ও ২ চারে খেলেন ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
একপেশে লড়াইয়ে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এসেছে কলকাতা। ২ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে আছে চেন্নাই।