ভালো টেকনিক থাকলে রবীন্দ্র জাদেজাকে সামলাতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়, বলছেন সাবেক ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন।
Published : 21 Jan 2024, 12:18 PM
সমীকরণটা পরিষ্কার। ভারতে সিরিজ জিততে হলে সামলাতে হবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ জয় করা খুব ভালোভাবে সম্ভব বলেই মনে করেন কেভিন পিটারসেন। এই ইংলিশ গ্রেট ও ভারতে সিরিজ জয়ী সাবেক ব্যাটসম্যানের মতে, টেকনিক ভালো থাকলে জাদেজাকে সামলানো খুব কঠিন নয়। অশ্বিনের বৈচিত্রও ধরে ফেলা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই এসব বলছেন পিটারসেন। তিনি নিজেই যে সফলভাবে তা করে দেখিয়েছেন! ভারতে সফরকারী কোনো দলের সবশেষ সিরিজ জয়ের নজির ২০১২ সালে। অ্যালেস্টার কুকের নেতৃত্বে ইংল্যান্ডের সেই জয়ে বড় অবদান ছিল পিটারসেনের।
বিশেষ করে, সেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুম্বাইয়ের টার্নিং উইকেটে ১৮৬ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছিলেন পিটারসেন। ২০ চার ও ৪ ছক্কার সেই ইনিংসকে তার ক্যারিয়ারের সেরা তো বটেই, অনেকেই মনে করেন আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটের সেরা ইনিংসগুলোর একটি। সেই ইনিংসের পথে অশ্বিনকে তুলাধুনা করেছিলেন পিটারসেন।
এবার দা টাইমস-এ আরেক সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল আথারটনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে পিটারসেন বললেন, অশ্বিনের বৈচিত্র তিনি পড়ে ফেলতে পেরেছিলেন।
“অশ্বিনের দুসরা আমি ধরে ফেলেছিলাম। রান-আপের শেষ প্রান্তে গিয়ে সে বল লোড করত। আমার মনে হয়, এখনও সেটিই করে। যেহেতু সে অফ স্পিনার, কখনোই সে রান আপে ছোটার সময় দুসরার জন্য কখনোই বদল করেনি (গ্রিপ)। এটা করার উপায় নেই। সে আগেভাগেই লোড করত।”
“আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম, কখন সে এই ডেলিভারি করবে এবং দেখে থাকবেন, অনেকবারই আমি এই ডেলিভারিতে তাকে অফ সাইডের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছি। তার বোলিং মার্কের শেষ দিক থেকেই আমি দুসরা বুঝতে পারতাম। বল অনেক টার্ন করছিল বলে সে লেগ সাইডে একগাদা ফিল্ডার নিয়ে বল করছিল।"
২০১২ সালের ওই সিরিজেই টেস্ট অভিষেক জাদেজার। সময়ের পরিক্রমায় এখন তিনি ৬৮ টেস্টের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। উইকেট নিয়েছেন ২৭৫টি। তার গতিময় টার্নিং ডেলিভারি যেমন ব্যাটসম্যানদের জন্য ভীতিকর, তেমনি আরও ভয়ঙ্কর তার জোরের ওপর করা সোজা ডেলিভারি। উইকেট টার্নিং হলে জাদেজাকে সামলানো কঠিন এক চ্যালেঞ্জই বটে।
পিটারসেন অবশ্য বলছেন, টেকনিক ভালো হলে জাদেজাকে আটকানো খুব কঠিন নয়।
“জাদেজাকে অনেক খেলেছি আমি। ব্যাপারটি হলো টেকনিকের। জাদেজা তো মুরালি নয়, সে শেন ওয়ার্নও নয়। সে একজন বাঁহাতি স্পিনার, যে একদিকেই বল করে এবং মাঝেমধ্যে তার বল ভেতরে স্লাইড করে। স্কিড করা বল খেলার মতো আঁটসাঁট টেকনিক যদি থাকে, তাহলে তাকে ভালোভাবেই সামলানো যায়।”
“ফুটওয়ার্ক যদি ভালো থাকে, সামনের পা যদি উইকেটে গেঁথে না যায় এবং বলের লাইনে যদি খেলা যায়, তাহলে কোনো সমস্যাই হবে না জাদেজার বলে। স্রেফ নিশ্চিত করতে হবে যেন, বোল্ড বা এলবিডব্লিউ না হয়।”
পিটারসেনের পরামর্শ তার উত্তরসূরীরা কতটা মানতে পারবেন, তা বোঝা যাবে বৃহস্পতিবার থেকে। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথমটি এ দিন থেকেই শুরু হায়দরাবাদে।