জাতীয় দলের হয়ে তিন সংস্করণেই সবশেষ সিরিজে খেললেও চুক্তিতে কোনো সংস্করণেই নেই এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
Published : 23 Jan 2023, 07:16 PM
জাতীয় দলের হয়ে তিন সংস্করণেই সবশেষ সিরিজে খেলেছেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। তবে বিসিবির নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে কোনো সংস্করণেই জায়গা হয়নি তার। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানালেন, পারফরম্যান্সের কারণেই ঠাঁই হয়নি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের।
গত শনিবার চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ২১ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করে বিসিবি। গতবারের চুক্তি থেকে বাদ পড়েন ইয়াসির, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। তাদের জায়গায় আসেন জাকির হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোসাদ্দেক হোসেন।
অভিষেকে সেঞ্চুরি, পরের ম্যাচে ফিফটি; ভারতের বিপক্ষে দারুণ শুরুর পর টেস্ট সংস্করণের চুক্তিতে জায়গা পান জাকির। স্রেফ দুই ম্যাচ খেললেও ভবিষ্যতের সম্ভাবনায় বাঁহাতি ওপেনারকে চুক্তিতে রাখার কারণও জানান প্রধান নির্বাচক।
চুক্তিবদ্ধ তালিকা খেলোয়াড়দের নাম ঘোষণার দিন অন্তর্ভুক্তি বা বাদ পড়া নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি বোর্ডের পক্ষ থেকে। এক দিন পর মিরপুরে বিসিবি কার্যালয়ের সামনে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির নানা দিক নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মিনহাজুল।
“জাকিরকে আমরা (চুক্তিতে জায়গা) দিয়েছি। যেহেতু ছেলেটা শুরু করেছে। আমরা ওকে নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী আগামীতে লাল বলের ক্রিকেটে স্থিতিশীল অবস্থায় যেতে পারবে।”
“ইয়াসির ‘ইন অ্যান্ড আউট’ পারফরম্যান্স… পুরোপুরি স্থিতিশীল নয়। এখন ওর ক্ষুধাটা থাকুক, তাহলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে। আশা করছি, ও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।”
গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজে খেলেছেন ইয়াসির। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ছিলেন তিনি। তবে পারফরম্যান্স নিয়ে বরাবরই ছিল প্রশ্ন। গত বছরের মার্চের পর তিন সংস্করণ মিলে ১৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই তার ব্যাটে।
সংস্করণভেদে কেন্দ্রীয় চুক্তির জন্য ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করা হলেও তাদের গ্রেডিং বা বেতন কাঠামো এখনও প্রকাশ করেনি বিসিবি। তবে সবকিছুই একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করেই সাজানো হয়েছে জানালেন মিনহাজুল। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ারও আভাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।
“এ, বি, সি, ডি এভাবে চুক্তিতে গ্রেডিং করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স অনুযায়ী গ্রেডিং করা হয়েছে। এটা আপনারা শিগগির জানতে পারবেন। সবকিছু মিলে ওদের বেতনও একটু বেড়েছে। গ্রেডিং দেখলেই বুঝতে পারবেন কার কতটুকু বেতন হয়েছে।”
“(বোর্ডের) ক্রিকেট অপারেশন্সের একটা পদ্ধতি আছে। যে যত বেশি ম্যাচ খেলে, এর ওপর পয়েন্ট আছে। সবকিছু মিলিয়ে এটা তৈরি করা হয়েছে। প্রতি বছরই পারফরম্যান্স অনুযায়ী মূল্যায়ন হয়। এবার আমরা ছয় মাসের মধ্যে করব বলেছি। একটা পদ্ধতি আমরা তৈরি করেছি। ছয় মাসের মধ্যে পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা হবে।”