চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে উইল ইয়াংয়ের পর তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পেয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান।
Published : 19 Feb 2025, 07:08 PM
শাহিন শাহ আফ্রিদিকে চার মেরে ৯৯ রানে পৌঁছে গেলেন টম ল্যাথাম। এক বল পর লং অনে ঠেলেই দিলেন দৌড়। কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পা রেখে ফেললেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। দীর্ঘ বিরতির পর পেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির স্বাদ।
করাচিতে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে বহুল কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন ল্যাথাম। ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ১০৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ৩ ছক্কা ও ১০ চারে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি ল্যাথামের ২১তম সেঞ্চুরি। সবশেষটি ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। সেটিও পাকিস্তানের বিপক্ষে এই করাচিতেই। সেবার পাকিস্তান সফরের প্রথম টেস্টে ১১৩ রান করেছিলেন তিনি।
এরপর দীর্ঘ অপেক্ষা। ৭৮৪ দিন ও ৭৯ ইনিংস পর আবার সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন নিউ জিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন ল্যাথাম। ২০০২ আসরে ভারতের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ১৪৫ ও ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা অপরাজিত ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
ওয়ানডেতে চলতি বছরের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিল ল্যাথামের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জানুয়ারিতে ১ রান করার পর টানা তিন ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। এই সংস্করণে টানা ‘ডাকের’ তালিকায় যৌথভাবে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ব্যর্থতার বৃত্ত ল্যাথাম ভাঙেন ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলার ম্যাচটিতে করেন ৫৬ রান। পরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে করতে পারেন কেবল ১৫। এরপর, বৈশ্বিক আসরে প্রথম ম্যাচেই নিজেকে সেরা রূপে মেলে ধরলেন তিনি।
ওয়ানডেতে এটি ল্যাথামের অষ্টম সেঞ্চুরি। এই সংস্করণে সবশেষ শতকের স্বাদ পেয়েছিলেন ২০২২ সালের নভেম্বরে, ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১৪৫।
ল্যাথামের আগে এদিন সেঞ্চুরি করেন উইল ইয়াং; ১ ছক্কা ও ১২ চারে ১০৭। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এক ইনিংস দুটি সেঞ্চুরির ঘটনা এনিয়ে দেখা গেল পঞ্চমবার। সবশেষ গত আসরে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর শতকে অবিস্মরণীয় এক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
৭৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন চাপে দল, তখন ক্রিজে যান ল্যাথাম। ইয়াংকে নিয়ে হাল ধরেন তিনি। তাদের দুইজনের ১১৮ রানের জুটিতে শক্ত ভীত পায় কিউইরা।
ইয়াং সেঞ্চুরি করে বিদায় নিলেও শেষ পর্যন্ত খেলে যান ল্যাথাম। ৬১ বলে ফিফটি করার পর দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। পরের পঞ্চাশ করতে তার লাগে কেবল ৩৪ বলে। কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি ৯৫ বলে।
শেষ দিকে ঝড় তোলেন গ্লেন ফিলিপস। ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৯ বলে ৬১ রান করেন তিনি। ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান করে নিউ জিল্যান্ড।