নাওয়াজ ও পাকিস্তানের যত রেকর্ড
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হাসান নাওয়াজের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি তোলপাড় ফেলে দিয়েছে রেকর্ড বইয়ে।
Published : 21 Mar 2025, 08:30 PM
ম্যাচ-সেরা হয়ে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাসান নাওয়াজ বললেন, “আমার মনে শুধু একটাই ভাবনা ছিল যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাকে প্রথমে এক রান করতে হবে… এরপর আমি নির্ভার অনুভব করলাম এবং চাপ কমে গেল।” আগের দুই ম্যাচে শূন্য রানে ফেরার পর এবার এক রান নিয়ে এই ওপেনার এতটাই নির্ভার হয়ে গেলেন যে, তার ব্যাটে পিষ্ট হলো নিউ জিল্যান্ড। খুনে ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে জেতালেন তিনি। ওলট-পালট হলো রেকর্ড বই।
অকল্যান্ডে শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখে পাকিস্তান। ৪৫ বলে অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংস খেলে সফরকারীদের নায়ক ২২ বছর বয়সী নাওয়াজ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই ম্যাচের কিছু রেকর্ড।
১৬
নিউ জিল্যান্ডের ২০৪ রান ১৬ ওভারেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। এই সংস্করণে এত দ্রুততায় দুইশ বা এর বেশি রান তাড়া করে জিততে পারেনি আর কোনো দল। আগের দ্রুততম ছিল ১৭.৪ ওভার, ২০০৭ বিশ্বকাপে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০৫ রান টপকে ৮ উইকেটে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
২
এই সংস্করণে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০২১ সালে করাচিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জয় দলটির রেকর্ড।
৪
টি-টোয়েন্টিতে দুইশ বা এর বেশি রানের পুঁজি গড়ে এই নিয়ে চারবার হেরে গেল নিউ জিল্যান্ড। এর তিনবারই অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে, অন্যটি ওয়েলিংটনে।
৪৪
নাওয়াজ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪৪ বলে, পাকিস্তানের হয়ে এই সংস্করণে যা দ্রুততম। তিনি ভেঙে দেন বাবর আজমের রেকর্ড। ২০২১ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাবর সেঞ্চুরি করেছিলেন ৪৯ বলে।
৪
এই সংস্করণে টানা দুই ইনিংসে শূন্য রানের পরের ইনিংসে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ক্রিকেটার নাওয়াজ। আগের তিন জন- দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলি রুশো (২০২২ সালে ভারতের বিপক্ষে ১০০), ভারতের রোহিত শার্মা (২০২৪ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২১*) ও সাঞ্জু স্যামসন (২০২৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৯*)।
ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ইনিংসে শূন্য রানের পর তৃতীয়টিতে সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান অবশ্য নাওয়াজই।
৭
এই ইনিংসে নাওয়াজ ছক্কা মারেন ৭টি, এক ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ ছক্কা মেরেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও।
১২
পাকিস্তানের ইনিংসে ছক্কা ছিল ১২টি, টি-টোয়েন্টিতে যা তাদের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর সর্বোচ্চ ১৫টি, ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
৭৫/১
এদিন প্রথম ৬ ওভারে পাকিস্তান করে ১ উইকেটে ৭৫ রান, পাওয়ার প্লেতে যা তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৭৩, ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ছিল ১ উইকেটে ১২৪, ইনিংসের এই পর্যায়ে তাদের আগের সর্বোচ্চ রানের চেয়ে যা ১৫ বেশি।
পাকিস্তান শতরান স্পর্শ করে ৮.১ ওভারে, ১২.২ ওভারে দেড়শ, ১৫.৫ ওভারে দুইশ- সবগুলোই তাদের দ্রুততম। তাদের আগের দ্রুততম দলীয় শতরান ছিল ৯ ওভারে (২০২৪ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে), দ্রুততম দেড়শ ছিল ১৩.৫ ওভারে (২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) আর দ্রুততম দুইশ ছিল ১৭.৫ ওভারে (২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে)।
৩
এই সংস্করণে দুইশ বা এর বেশি রান তাড়ায় ৯ বা এর বেশি উইকেট হাতে রেখে জয়ের তৃতীয় ঘটনা এটি, আর সবগুলোতেই জয়ী দল পাকিস্তান। ২০২১ সালে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৯ উইকেটে এবং ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০ উইকেটে জিতেছিল তারা।