ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার আগেই যারা ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ করে হলে উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Published : 02 Oct 2021, 11:45 PM
শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সভায় হল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া যারা হলে প্রবেশ এবং অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থী’ কর্মকাণ্ডের জন্য কেন ‘শাস্তিমূলক’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস জারির সিদ্ধান্ত হয়।
আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের’ সে নোটিসের জবাব দিতে বলার জন্য সভায় সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল বাছির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অমর একুশে হলে একদল শিক্ষার্থী তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেছে বলে সভায় প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
“আমরা জেনেছি, শহীদুল্লাহ হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, মুহসীন হল, এসএম হল, জগন্নাথ হলসহ বেশ কয়েকটি হলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ শৃঙ্খলাভঙ্গ করে উঠে পড়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি আবাসিক হলের তালা ভেঙ্গে হলে প্রবেশ করেছে এবং হলের বৈদ্যুতিক লাইন ও পানির সংযোগ নিজ দায়িত্বে চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট হল কর্তৃপক্ষকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খোলা হচ্ছে।
পর্যায়ক্রমে স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটি, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হয়।
আবাসিক শিক্ষার্থীরা কোভিড- ১৯ টিকার অন্তত একটি ডোজ গ্রহণের কার্ড এবং হলের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ অনুসরণ করে ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজের হলে উঠতে পারবেন।
তবে হল খোলার পাঁচ দিন আগেই অক্টোবরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, শহীদুল্লাহ হলসহ বেশ কয়েকটি হলে একদল শিক্ষার্থী জোর করে উঠে পড়েন।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ৫ অক্টোবর হলে উঠলে পাঁচ দিনের জন্য তাদেরকে পুরো এক মাসের মেস বা বাসা ভাড়া দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই তারা হলে উঠে পড়েছেন।
আরও পড়ুন