ঢাবির একুশে হলে জোর করে উঠে পড়লেন একদল শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো ৫ অক্টোবর খোলার কথা থাকলেও চারদিন আগেই অমর একুশে হলে ঢুকে পড়েছেন একদল শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2021, 02:50 PM
Updated : 1 Oct 2021, 03:11 PM

শুক্রবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যস্ততার মধ্যে প্রায় ৫০ জন ছাত্র হলটিতে ঢুকে পড়েন বলে একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ ইসতিয়াক এম সৈয়দ জানান।

ছাত্রদের ভাষ্য, ৫ অক্টোবর হলে উঠলে পাঁচ দিনের জন্য তাদেরকে পুরো একমাসের মেস বা বাসা ভাড়া দিতে হবে। তাই বাধ্য হয়েই তারা হলে উঠে পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের ভাড়ার টাকা দিতে হবে। তাই আমার মতো অনেকেই মেস ছেড়ে দিয়েছে। এখন হয় ৪ থেকে ৫ দিনের জন্য বাড়ি ফিরে যেতে হবে, নয়তো রাস্তায় থাকতে হবে। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়ে আমরা হলে উঠেছি।”

এদিকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে একুশে হলের প্রাধ্যক্ষের অনুরোধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এসে ৫ অক্টোবরের আগে হলে না ওঠার অনুরোধ জানারেও তাতে সাড়া না দিয়ে ছাত্ররা যার যার কক্ষে অবস্থান নেন।

বিকেলে একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ তাদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের বলেন, “সারাদিন ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম আমরা। এরই মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী হলে উঠে পড়েছেন। আমরা তাদেরকে ৫ তারিখে হলে উঠার অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করি, তারা আমাদের কথা রাখবে।"

পরে ঠিক কতজন হলে উঠেছে জানতে চাইলে ইসতিয়াক এম সৈয়দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে পঞ্চাশ জনের মতো হবে। আমরা তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছি।”

প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ৫ অক্টোবর থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ। টিকাগ্রহণসাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্যও আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।

অমর একুশে হলের ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিষয়টা জেনেছি। হল কর্তৃপক্ষকে আলোচনার ভিত্তিতে বিষয়টির দ্রুত সমাধান করতে বলা হয়েছে। ৫ তারিখের পূর্বে হলে উঠার কোনো সুযোগ নেই। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ করছি।”