ঢাবির হল খুলছে ৫ অক্টোবর, আগেই খুলবে গ্রন্থাগার

পরিচয়পত্র দেখানো ও অন্তত এক ডোজ টিকা নেওয়ার শর্তে ৫ অক্টোবর থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে উঠতে পারবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2021, 01:23 PM
Updated : 18 Sept 2021, 01:33 PM

এছাড়া ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগ-ইনস্টিটিউটের সেমিনার শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।  

শনিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়। একই সঙ্গে হলগুলোতে আগের মত ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত কোনো ‘গণরুম’ রাখা যাবে না বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসার পর সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ৫ অক্টোবর থেকে হল খোলার সুপরিশ করা হয়। তবে তা ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে হল খোলার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৫ দিনের জন্য তাদেরকে পুরো একমাসের মেস ভাড়া দিতে হবে। এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শিক্ষকদের কেউ কেউ মাসের শুরুতে হল খোলার প্রস্তাব জানালেও তা আমলে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সুপারিশ অনুযায়ী ৫ অক্টোবর থেকেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীম উদদীন হলের প্রবেশ ফটক সংস্কার চলছে খোলার আগে। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে স্নাতক প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনার্স চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের যেসকল শিক্ষার্থী অন্তত ‘কোভিড-১৯’-এর প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তারা স্বাস্থ্যবিধি এবং এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) অনুসরণ করে টিকা গ্রহণের কার্ড বা সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখিয়ে গ্রন্থাগার ব্যবহার ও নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে।”

স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে সকাল ১০টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় বা ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরিসমূহ ব্যবহার করতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট আবাসিক শিক্ষার্থীরা ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও টিকা গ্রহণের সনদ বা প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও একাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশিকা লিখিত ব্যানার বা ফেস্টুন থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

সভায় হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যে সকল শিক্ষার্থী এখনও টিকা রেজিষ্ট্রেশন করেননি, তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় এসে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।”

আরও পড়ুন