বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্বাভাবিক ক্লাস-পরীক্ষা চলছে।
Published : 24 Jan 2024, 04:31 PM
পাঠ্যবই ছিঁড়ে আলোচনায় আসা শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সমর্থনে একদল শিক্ষার্থী ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিলেও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার কোনো প্রভাব পড়েনি।
বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্বাভাবিক ক্লাস-পরীক্ষা চলছে।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, কিছু শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জনের ডাক দিলেও পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তারা।
পাঠ্যবই ছিঁড়ে আলোচনায় আসা খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে পুনর্বহালের দাবিতে মঙ্গলবার আন্দোলনে নেমেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু শিক্ষার্থী।
‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস কমিউনিটি’র ব্যানারে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
দিনভর বিক্ষোভের পর ওইদিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা। সেই আলোচনা 'ফলপ্রসূ না হওয়ায়' পরে তারা ক্লাস এবং ব্র্যাকের পণ্য বর্জনের ডাক দেন।
তবে বুধবার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কোনো শিক্ষার্থীকে বিক্ষোভ বা আন্দোলনে দেখা যায়নি।
বিক্ষোভ কর্মসূচির আহবায়ক ফ্রান্সিস ফরিদ বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ক্লাস বর্জন করেননি।
“মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর শিক্ষার্থীদের একাংশ ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু আমরা ‘ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস কমিউনিটি’ ক্লাস বর্জন করিনি।
“যেহেতু শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে কথা বলবেন, আমরা আমাদের আন্দোলন স্থগিত করেছি। তবে আমরা সমকামিতার বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব। সচেতনতা তৈরি করব।”
কর্মসূচির নেতৃত্বে থাকা আরেক শিক্ষার্থী মুনতাসীর মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী আলোচনা না করেই অতি উৎসাহী হয়ে মঙ্গলবার ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
“আমরা যা বলার স্যারদের বলেছি, তারা আমাদের কথা শুনেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা কেন ক্লাস বর্জন করব?”
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্লাস-পরীক্ষা চলছে। বুধবার ওরিয়েন্টেশনও হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজধানীতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এক আলোচনায় ‘সমকামিতার উসকানির’ অভিযোগ তুলে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন আসিফ মাহতাব, যিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন।
এই ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর পাঠ্যবই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে।
আসিফ মাহতাবের ছিঁড়ে ফেলা অংশে জায়গা পেয়েছে হিজড়াদের জীবন নিয়ে ‘শরীফার গল্প’ নামে জনসচেতনতামূলক একটি পাঠ। তার দাবি, এই গল্পের মাধ্যমে সমকামিতাকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।
তবে পাঠ্যবই রচনার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, একটি গোষ্ঠী না বুঝে পাঠ্যবইয়ের বিরোধিতা করছে।
শিক্ষক আসিফ মাহতাব বলেছেন, পাঠ্যবই ছেঁড়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাস নিতে মানা করেছে। কিন্তু সেজন্য কোনো কারণ দেখানো হয়নি।
আরও পড়ুন: