“কথা ছিল পোষ্য কোটা ও ভর্তি আবেদন ফি নিয়ে উনাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”
Published : 16 Jan 2025, 01:02 AM
পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের ‘অযৌক্তিক কোটা’ বাতিল এবং ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোসহ বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের ‘শুভবুদ্ধির’ প্রত্যাশায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে 'হেদায়েত সভা' করেছে একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হল– ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করা, পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল, শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু, আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্ধ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ এবং নতুন দুটি হল নির্মাণ করা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কটেজে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদেরও আবাসিক হলের মেসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয় তাদের কর্মসূচি থেকে।
কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আইয়্যুবুর রহমান তৌফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "প্রশাসনের সাথে দুই দফায় আলোচনায় বসার পরেও তারা আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। কথা ছিল পোষ্য কোটা ও ভর্তি আবেদন ফি নিয়ে উনাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। কিন্তু তা হয়নি।
“তাই প্রশাসনের শুভ বুদ্ধির উদয় হওয়ার জন্য আমরা হেদায়েত সভা করেছি।”
হেদায়েত সভায় সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী ঈশা দে বলেন, "চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীবান্ধব নয়। কৃষক-শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষদের সন্তানরা এত টাকা ফি দিতে পারে না।
“এত টাকা লাগলে এটাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাখার কী দরকার? এটাকে বরং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় বানিয়ে দেওয়া হোক। টাকা দিতে পারলে পড়ব, টাকা না দিতে পারলে চলে যাব এখান থেকে।"