প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির আর্থিক বিবরণী, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট হিসাব বিশ্লেষণে নানা অনিয়মের তথ্য মিলেছে।
Published : 04 Mar 2025, 01:27 AM
কেনাকাটা থেকে শুরু করে নিয়োগ- প্রাতিষ্ঠানিক প্রায় সব ধরনের কর্মকাণ্ডেই অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জর্জরিত প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি।
বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিবরণী, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা প্রতিবেদন এবং সংশ্লিষ্ট হিসাব বিশ্লেষণে এসব অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ‘মাহফেল হক কোম্পানি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট’ নামের একটি ফার্মকে দিয়ে করানো পুনঃনিরীক্ষাতেও উঠে এসেছে নানা অনিয়মের চিত্র।
এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হচ্ছে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ৩০ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। লোপাট হওয়া অর্থের অর্ধেকই বিশ্ববদ্যালয়ের নামে এফডিআর করা ছিল।
এসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের (বিওটি) সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটুর বিরুদ্ধে। এর আগেও অনিয়মের অভিযোগে তাকে অপসারণ করা হয়েছিল।
এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেখ রেহানার বান্ধবী, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত সদ্য সাবেক কোষাধক্ষ্য (সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) ইফ্ফাত জাহান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা সাবেক উপাচার্য শুভময় দত্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার পরিচালক (বরখাস্তকৃত) শিপার আহমেদের নামও এসেছে অনিয়মের ঘটনায়।
আর এসব অনিয়ম-দুর্নীতিতে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ও বিপণন শাখার সাময়িক বরখাস্ত সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ, ক্রয় বিভাগ থেকে পদত্যাগ করা সহকারী পরিচালক নাহিদ হাসান ও সহকারী পরিচালক জুবায়ের সিদ্দিক তানিন, অপসারিত খণ্ডকালীন শিক্ষক সায়েদ ফেরদৌস মুগ্ধর বিরুদ্ধে।
তবে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরখাস্ত পরিচালক শিপার আহমেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশ্নে তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে তিনি অর্থ নেননি।
শিপার বলেন, “বিওটি রেজিস্ট্রেশনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে এসব অর্থ খরচ করা হয়েছে। আমি ব্যক্তিগত কোনো কাজে নিইনি।”
সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে এসব অর্থ সরানোয় দায়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে একটি মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মামলার বিষয়ে শিপার আহমেদের ভাষ্য, “আমি আইনিভাবে এটি মোকাবেলা করব।”
লুটপাটের মচ্ছব
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাস, নিরাপত্তা সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসের সাজসজ্জা, পরিষ্কার-পরিছন্নতা, পরামর্শক, ডিজিটাল মার্কেটিং এবং শিক্ষার্থী ভর্তি ফি নগদ গ্রহণে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া অসবাব কেনা, বিজ্ঞাপন প্রচার, গাড়ি কেনা ও রক্ষাণাবেক্ষণ, জ্বালানি এবং বিভিন্ন গবেষণাসামগ্রী কেনাকাটাতেও দুর্নীতির তথ্য মিলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ক্লাবের জুবায়ের সিদ্দিক তানিন ক্লাবের সদস্যপদ বর্তমান এবং প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে ‘বিক্রির’ মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা হাতিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এর বাইরে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণেও। ক্যাম্পাস বানাতে ৮ কোটি ৭২ লাখ টাকায় চুক্তি হয় রায়হান আজাদ টিটুর ঘনিষ্ঠ ‘ইনফিকম এসএ কনস্ট্রাকশন বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামের কোম্পানির সঙ্গে।
স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইনফিকম কনস্ট্রাকশনের সঙ্গে করা চুক্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ইফ্ফাত জাহান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে এখন পর্যন্ত ৪ কোটির বেশি টাকা ছাড় করা হলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ এগোয়নি খুব বেশি।
এখানেও অর্থ লোপাটের তথ্য উঠে এসেছে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ক্যান্টিন ভাড়া বাবদ গেল পাঁচ বছরে প্রায় ৫ কোটি টাকার বেশি টাকা নিজের কাছে রাখার অভিযোগ রয়েছে রায়হান আজাদ টিটুর বিরুদ্ধে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন ভাড়া বকেয়া রেখে সেটি অন্যদের কাছে ভাড়া দিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রায়হান আজাদ টিটু এবং ইফ্ফাত জাহানের সময়কাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন খাতে কেনাকাটা, বকেয়া, উইথ-হোল্ডিং ট্যাক্স-ভ্যাট, ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ দায় জমেছে ৩০ কোটি টাকার বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসব অর্থ নিয়মিত ছাড় করা হলেও তা পরিশোধ করা হয়নি। ২০২০ সাল থেকে কোনো নিরীক্ষা না হওয়া, রিটার্ন দাখিল না করার ফলে এসব অনিয়ম করার সুযোগ পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কোনো আর্থিক বিবরণী প্রস্তুত না হওয়ায় দেশের উচ্চশিক্ষার তদারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) প্রতিবেদনও জমা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগে লঙ্ঘন করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ এর সংশ্লিষ্ট ধারা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আর্থিক এবং প্রশাসনিক দক্ষতা রয়েছে এমন কাউকে নিয়োগের শর্ত থাকলেও নিয়োগ পান একটি কলেজে মানবিক বিভাগে শিক্ষকতায় থাকা ইফ্ফাত জাহান।
তার ‘দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা না থাকায়’ ভেঙে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক এবং প্রশাসনিক কাঠামো। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব অনিয়ম সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শোকজও করা হয়েছে ইফ্ফাত জাহানকে।
ইফ্ফাত জাহানের বক্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তিনি কল ধরে কোনো কথা না বলে রেখে দেন।
‘সাজানো’ আন্দোলন
অভিযোগ রয়েছে, অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের (বিওটি) অপসারণ দাবিতে কয়েকটি পক্ষ তৈরি করে আন্দোলন জমানোর চেষ্টা করেছেন।
এ বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে বিবৃতিও দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
বিবৃতিতে আর্থিক, প্রশাসনিকসহ সব অনিয়মের বিষয়ে তুলে ধরে বলা হয়, অভিযুক্তরা তাদের সব অনিয়ম আড়াল করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ট্রাস্ট্রি বোর্ড এবং স্থায়ী ক্যাম্পাস নিয়ে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করেন ও শিক্ষকদের যেতে বাধ্য করেন।
এর মধ্যে বনানীর সড়ক অবরোধ, ইউজিসির সামনে আন্দোলন এবং সচিবালয়ের সামনে আন্দোলন ও তাতে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে অপসারণে তৎপর হয়ে ওঠেন ইফফাত ও টিটুসহ তাদের সহযোগীরা। এর অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নামানোর কৌশল নেন তারা। এজন্য এক গোপন বৈঠকে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
“সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ ও বিওটি অপসারণের দাবি চূড়ান্ত হয়। এর অংশ হিসেবে ইউজিসি ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন তারা। তবে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেও দাবি আদায় করতে না পেরে ভিন্ন পথে হাঁটেন তারা। উপাচার্যের পিএস নাঈমুল ইসলামের নামে গত ৬ জানুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায় একটি জরুরি সভা আহ্বান করা হয়।”
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, সব অনুষদের ডিন, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সভা থেকে বিওটি অপসারণ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
“এরপর ৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় লং মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়' কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মূলত কোষাধ্যক্ষ সবাইকে চাপ দিয়ে সচিবালয়ের কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য করেন।”
অনিয়মের বিষয়ে জানতে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও রায়হান আজাদ টিটুর কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাতে সাড়া দেন তার দোকানের কর্মচারী। তিনিও তার কোনো ঠিকানা বা যোগাযোগের উপায় দিতে পারেননি।
তবে দুদকে কয়েকটি মামলা থাকায় টিটু আত্মগোপনে রয়েছেন বলে তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন।
বিওটি পুনর্গঠনের চেষ্টা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর বিভিন্ন দাবিতে সড়কে নামেন প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। অনিয়মে জড়িতরা শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডকে কাজে লাগিয়ে ‘নিজেদের পছন্দ মত’ বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ (বিওটি) গঠনের চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আটজনের নামসহ মোট ১২ সদস্যের একটি তালিকা ইউজিসি এবং মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই তালিকায় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রায়হান আজাদ টিটু, বরখাস্ত কোষাধ্যক্ষ ইফফাত জাহান, অর্থ ও হিসাব শাখা থেকে বরখাস্ত হওয়া শিপার আহমেদের নাম রয়েছে। এছাড়া অপসারিত শিক্ষক সায়েদ ফেরদৌস মুগ্ধকে এতে যুক্ত করার চেষ্টা করা হয়।
নতুন উপাচার্যেও আপত্তি শিক্ষার্থীদের
গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশের পাঁচ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্যে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. ফারহীন হাসান।
তবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেকদের মনোনয়নে নিয়োগ পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ইউজিসিতে লিখিতভাবে আপত্তি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সায়েন্সের ডিন অধ্যাপক রায়হানা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আনিসুর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে এ নির্দেশনা জানানো হয়।
ঘুরে দাঁড়াবে বিশ্ববিদ্যালয়?
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক অবস্থা প্রসঙ্গে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্তরা ৩০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছে। আমরা এসব অর্থ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।
“বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি অডিট হয়েছে, তাতে সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি উঠে এসেছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে যে দুর্নীতি হয়েছে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদারের সাথে চুক্তি বাতিল করে নিয়ম অনুযায়ী ‘ওপেন টেন্ডার’ দিয়ে খুব শিগগিরই ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
অনিয়মের ঘটনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসিকে জানানোর পাশাপা ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেশকিছু মামলা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আরও মামলা প্রক্রিয়াধীন। সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে চাই। সবকিছু পেছনে ফেলে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই।”
তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেবে ইউজিসি
প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির অনিয়মের ঘটনাগুলো বর্তমানে খতিয়ে দেখছে ইউজিসির একটি তদন্ত দল।
ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “সম্প্রতি সেখানে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের অনিয়মের তদন্ত শেষে বিষয়গুলো নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারব।”
পুরোনো খবর
স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকলে ব্যবস্থা নেবে, তবে 'তাড়াহুড়ো করবে না'
সচিবালয়ের সামনে প্রাইমের শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘাত, তদন্তে কমিটি