রাজনৈতিক মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শাহবাগে কোটা নিয়ে আন্দোলন চলছে, দাবি তার।
Published : 13 Jul 2024, 10:19 PM
কোটা সংস্কার আন্দোলন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির অংশ বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
তিনি বলেন, প্রথমে তারা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবি করেছে, পরে কমিশন গঠনের কথা বলেছে। এখন ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এসে বলছে জাতীয় সংসদে আইন পাসের কথা। এখানে কোনও সাধারণ শিক্ষার্থী নেই, বর্তমানে এই আন্দোলন বিএনপি-জামাতের ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির অংশ।
শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি চাকরিতে কোটার বিরোধিতা করে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের মধ্যে এ বিষয়ে একগুচ্ছ পদক্ষেপ জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ছাত্রলীগ সভাপতি।
সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব সংগ্রহ, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংবলিত লিফলেট বিতরণ, উন্মুক্ত আলাপন, যৌক্তিক উপায় নেওয়া এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করার জন্য ‘পলিসি অ্যাডভোকেসি ও ‘ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইনের ওপর আলোকপাতের উদ্দেশ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
রাজনৈতিক মনোযোগ আকর্ষণের জন্য শাহবাগে কোটা নিয়ে আন্দোলন চলছে মন্তব্য করে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম বলেন, “এই কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এখানে সন্ত্রাসীদের গেট টুগেদার হয়েছে। আমরা সেখানে ছাত্রদলের ক্যাডারদেরও দেখেছি।
“তাদের মূল লক্ষ্য রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন। তারা বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। আন্দোলনকারীদের ভাব দেখে মনে হচ্ছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে, মেধার স্বর্গে নয়।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে 'কোটা না মেধা’ স্লোগানের নামে একটি মেধাহীন বিতর্ক আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এই প্রফেশনাল আন্দোলনকারীরা। আজ নারী কোটার বিরোধীতা করে নারীদের তারা সমাজে আমাদের প্রতিপক্ষ বানাচ্ছে।
“নারীদের সামনে আনতে তাদের কোনো কথা নেই। ২০১৮ এর পর কোটা না থাকায় নারীদের অংশগ্রহণ কমেছে। কমেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সংখ্যাও। বেশ কয়েকটি জেলার মানুষ চাকরিই পায়নি।”
ছাত্রলীগ কোটার যৌক্তিক সংস্কার চায় তুলে ধরে সাদ্দাম বলেন, চলমান দাবির যৌক্তিক সমাধান করতে বলছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
যারা অযৌক্তিকভাবে আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্য তৈরি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র সমাজ সোচ্চার রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে ছাত্রলীগ কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ইনান বলেন, ”আমরা একটি ক্যাম্পেইনের উদ্যোগ নিয়েছি যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর হলে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়ে তাদের সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব। কোটা ইস্যুর যৌক্তিক এবং বাস্তবসম্মত সমাধানের লক্ষ্যে ঘোলা পানিতে কেউ যেন মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
“বিভিন্ন সঠিক তথ্য-উপাত্ত লিফলেট আকারে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরব। কারণ তারা যেন ভুল পথে পা না বাড়ান, কোনো ষড়যন্ত্রে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনকে বিনষ্ট না করেন।”
জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোটা আন্দোলনের নামে মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত উপস্থিত ছিলেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিকতা নেই: কাদের
কোটার বিরোধিতা: বুধবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের ডাক