Published : 09 Apr 2023, 01:20 AM
আগে অনেকটা নিশ্চিন্ত মনে ঢাকায় আসতেন তারা। ভরসা ছিল বাজারে যেটা চলছে তেমনটাই পাবেন সেখানে; ফোনে যোগাযোগেও একে অপরের চাহিদা বুঝতে পারতেন। এক ঘণ্টার মধ্যে ‘এক-দেড় লাখ টাকার মাল কেনা শেষ হয়ে যেত’।
“আর আগুনের পর গিয়ে আমি প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুরছি। কিন্তু ৫০ হাজার টাকার মাল কিনতে পারি নাই। সেটা নিয়ে ফিরে আসছি। দামও হেরফের বেশি। আবার যেতে হবে কয়েকদিনের মধ্যে।”
বিচিত্র দাম ও মানের পণ্য একই জায়গায় পাওয়ার কারণে বঙ্গবাজারেই দীর্ঘদিনের ভরসা রাখা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পোশাক ব্যবসায়ী মো. আমানউল্লা বলছিলেন তার আক্ষেপ আর আস্থা-অভিজ্ঞতার কথা।
অথচ এক সকালের ভয়াবহ আগুন চিন্তায় ফেলেছে ঢাকা থেকে অনেক দূরের এ ব্যবসায়ীকেও; তার দীর্ঘদিনের অভ্যস্ততাকে পাল্টে দিয়েছে। ঈদ বাজারের পোশাক সংগ্রহ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।
ঈদের পোশাকের পুরো সংগ্রহ আমানউল্লাহর নিজ শহরের দোকানে তোলার আগেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে বঙ্গবাজার। যে কারণে এখন পণ্য কেনার জন্য অন্য অনেক বাজারে ঘুরপাক খাওয়ার কথা জানান তিনি। যাদের সঙ্গে ব্যবসা ছিল সেসব ব্যবসায়ীদের জন্য খারাপ লাগার পাশাপাশি ঈদের পোশাক সংগ্রহে অস্বস্তি আর চাহিদামত পণ্য পেতে সমস্যা হওয়ার কথাও তুলে ধরলেন তিনি।
হাজারো স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া মঙ্গলবার সকালের ওই আগুনে বছরের সবচেয়ে বড় কেনাবেচার এ মৌসুমে শুধু বঙ্গবাজার ও আশপাশের ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটের ব্যবসায়ী বা দোকানিরা দিশেহারা নন; শত শত মাইল দূরের ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন ঝঞ্ঝাটের মধ্যে।
দেশের অন্যতম বড় কাপড়ের মার্কেট ঢাকার বঙ্গবাজারের আগুন আমানউল্লার মতো আরও অগুণিত ব্যবসায়ীকে ঈদের আগের ব্যবসা নিয়ে চিন্তার মধ্যে ফেলেছে।
পাইকারির পণ্যের বৃহৎ এ বিপণিবিতান থেকে পণ্য সংগ্রহ করা ঢাকার এবং দেশের অন্য স্থানের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পড়েছেন ব্যাপক ঝামেলায়। বিভিন্ন প্রান্তের এসব খুচরা বিক্রেতা দীর্ঘদিন থেকে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আস্থা ও সমঝোতার ভিত্তিতে লেনদেন করছেন।
কেউ অগ্রিম দিয়েছেন, কেউবা বাকিতে কিনে পরে অর্থ শোধ করতেন। সব কিছু পুড়ে যাওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীদের মতো অন্যরাও ঈদের আগে এ আগুন তাদের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছেন বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
বিপাকে শত মাইল দূরের আমানউল্লারাও
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কোর্ট রোডের গোলাপ সুপার মার্কেটের দোকানি আমানউল্লা শুক্রবারও বঙ্গবাজার এলাকায় আসেন পণ্য কিনতে। তবে বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটসহ আশপাশের আরও বাজার ঘুরে ‘মন মতো’ পণ্য না পাওয়ার কথা বললেন তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বঙ্গবাজারে আমার চাহিদামত সব পণ্যই পেতাম আর পরিচিত থাকায় কাপড় বাছাই ও কেনাকাটা ছিল সহজ। দেখা যেত, এক ঘণ্টার মধ্যে এক-দেড় লাখ টাকার মাল কেনা শেষ।
তবে আগুনের পর পোশাক সংগ্রহের নতুন উৎস সন্ধানে তাকে বেগ পেতে হয়েছে। দোকান থেকে দোকানে ঘুরেও চাহিদা মেটাতে পারেননি।
মূলত বাচ্চাদের পণ্য বিক্রি করেন আমানউল্লা। বঙ্গবাজার সংলগ্ন এনেক্সকো মার্কেটের আলম হোসিয়ারি এবং মূল বঙ্গবাজারের আর এস গার্মেন্টস থেকে বেশিরভাগ পণ্য কিনতেন তিনি।
সস্তায় হাল ফ্যাশনেরসহ সব ধরনের কাপড়ের জন্য বছরের পর বছর ধরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও খুচরা ক্রেতাদের গন্তব্য হয়ে ওঠা ঢাকার বঙ্গবাজারসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি মার্কেট মঙ্গলবার সকালের আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ৪৮ ইউনিটসহ অন্যান্য বাহিনী কাজে নামে ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে। ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় প্রাথমিকভাবে দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ৭৫ ঘণ্টা।
আগুনে পুড়েছে আমানউল্লার কাপড়ের যোগানদাতা দোকান দুটিও।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন বঙ্গবাজার মার্কেটে রয়েছে চারটি ইউনিট- বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, গুলিস্তান ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও আদর্শ ইউনিট। এখানে মোট দোকানের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭০টি।
বঙ্গবাজারের উত্তর পশ্চিম কোণে সাত তলা এনেক্সকো টাওয়ার। এই ভবনের পূর্ব পাশে মহানগর কমপ্লেক্স মার্কেট। তারপরই পুলিশ সদর দপ্তরের সীমানা।
সেই আগুনের ক্ষত তাজা থাকার মধ্যেই বঙ্গবাজারের পাশের বিপণি বিতান মালেকা মার্কেটে শনিবার আগুন লাগে। প্রায় পৌণে এক ঘণ্টার চেষ্টায় নেভানো এ আগুনে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
ঈদ কেনাকাটা জমজমাট হতে শুরু করার মধ্যে বঙ্গবাজারের ইতিহাসে দ্বিতীয়বার লাগা ভয়াল এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। কর্মচারীসহ এসব মার্কেটের উপর নির্ভর অন্য পেশাজীবীরাও পড়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে।
‘বাকি’ নিয়ে গোলমালের শঙ্কা
বঙ্গবাজারে পুড়ে মালামাল ও ব্যবসায় হারানো অনেক ব্যবসায়ী বলছেন, বিভিন্ন প্রান্তের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে যে বাকির হিসাব, তা আগুনে পুড়ে গেছে। এ কারণে সেই টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা।
মিলন হোসেন নামে বঙ্গবাজারের এক পাইকারি ব্যবসায়ী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিচিতি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে আমরা কিছু টাকা বাকিতেও কাপড় বিক্রি করি। আবার তারা পরিশোধ করে দফায় পণ্য কিনে নিয়ে যান।
“আগুন লাগার পর এর মধ্যে কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা দিয়ে গেছে। কিন্তু সবার টাকা হয়ত সেভাবে পাব না।”
তিনি আরও জানান, আবার পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে খুচরা বিক্রেতারা অনেক সময় কিছু টাকা অগ্রিম পাঠিয়ে থাকেন। সেগুলোও পরিশোধ নিয়েও হিমশিম খেতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত পাইকারদের।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ী আমানউল্লা বলেন, আমাদের সঙ্গে বঙ্গবাজারের সম্পর্ক ‘মায়ের মতো’। ভালো-খারাপ মিলিয়ে আমরা এটাকে ছেড়ে যাই না। কিন্তু সেটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেল।
আগুন লেগে পুড়ে যাওয়ার পর ‘আর এস গার্মেন্টস’ দোকান মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাকি কয়েক হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা জানান তিনি।
বঙ্গ ‘মার্কেটই পারফেক্ট’
আমানউল্লার মতো রাজশাহী গোদাগাড়ী হাটপাড়া বাজারের দোকানি বশির হোসেনকে কাপড়ের নতুন উৎস খুঁজতে হয়েছে। সাধারণত বঙ্গবাজার থেকে ঈদের পোশাক কিনে দোকানে তুললেও এবার গন্তব্য পরিবর্তন করতে হয়েছে তার।
রোজা শুরুর আগে এখান থেকে কিছু পণ্য কিনে নিয়ে গেলেও আরও কিছু মালামালের প্রয়োজনে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারে আসতে হয়েছে তাকে। শনিবার মালামাল কেনার অবসরে কথা হয় তার সঙ্গে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি সব বয়সী মানুষের ফ্যাশন পণ্য বিক্রি করি। আমার মতো অনেকে বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করেন। কিন্তু পুড়ে যাওয়ার কারণে এখানে আসতে হয়েছে।”
গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারে প্রয়োজনমত পণ্য না পেলে নিকটবর্তী অন্যান্য মার্কেটে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
নরসিংদীর মাধবদী বাজারের ‘এক্স-ম্যান’ নামের পোশাকের দোকানের মালিক মোহাম্মদ ইয়াসিনও বঙ্গবাজার থেকে পোশাক নিয়ে এলাকায় বিক্রি করেন।
তিনি জানান, আগুন লাগার তিন দিন আগে ওই মার্কেট থেকে কিছু রপ্তানি মানসম্পন্ন শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি কিনে নিয়ে গেছেন। ঈদকে সামনে রেখে আরও কিছু কাপড়চোপড় কিনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার।
“ঈদের আগের কিছু পণ্য বাকি ছিল। আগুন লাগায় এখন সম্ভব না। এক্সপোর্টের প্যান্ট, গেঞ্জি আনতাম এটা আনা সম্ভব হবে না,” বলেন তিনি।
বঙ্গবাজার আগুনে পুড়ে যাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে অনেক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “এক্সপোর্টের জন্য তৈরি, লো-কোয়ালিটির পণ্য বিক্রি করে- এটার জন্য বঙ্গ মার্কেটই পারফেক্ট।
“চায়না পণ্যের দামটা বাড়ছে, এক্সপোর্টের গুলোতো পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার এক্সপোর্টের মাল কিনতে হলে এখন যেতে হবে মিরপুর শাহ আলী মার্কেটে। এছাড়া উপায় নাই।”
জর্জেটের শাড়ি সহজে ও কম দামে পাওয়ার জন্য বঙ্গবাজারের বিকল্প সেভাবে নেই বলেও জানান এই খুচরা ব্যবসায়ী।
কয়েকজন খুচরা বিক্রেতা জানান, সাধারণত রোজার শুরুর আগে কিংবা একেবারে শুরুতে পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে দোকান ভর্তি করে ফেলেন তারা। তবে চাহিদার ভিত্তিতে কেউ কেউ পরে গিয়েও পণ্য নিয়ে আসেন।
আগুন লাগার তিন দিন আগেই বঙ্গবাজার থেকে পণ্য কিনে দোকানে তোলার কথা জানান নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সাগরিয়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী জাকির হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, এপ্রিলের প্রথম দিনে বঙ্গবাজার থেকে কেনাকাটা করে আসলাম। চার তারিখে আগুনটা লাগল।
“আমরা যখন ঢাকায় চালান করতে যাই তখন গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার, বঙ্গোবাজার, কেরানীগঞ্জ আলম মার্কেট, ইসলামপুর এসব স্পটে ঘুরে ফিরে পাইকারি জিনিসপত্র কিনি। তবে সবচেয়ে বেশি দোকানের সমারোহ ছিল বঙ্গবাজারে।“
দাম বিবেচনায় বেশি লাভবান হওয়া এবং পণ্যের বৈচিত্র্যের কারণে বঙ্গবাজারে যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “অন্য মার্কেটের তুলনায় এখানে দামও একটু সস্তা। এখন এই বাজার আগুনে পুড়ে যাওয়ায় আমাদের ব্যবসায় তেমন প্রভাব না পড়লেও তাদের তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।”
আগে থেকেই পণ্য কিনে দোকানে তোলার কথা জানিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা বাজারের তাহসান ফ্যাশন ক্লাবের মালিক রুস্তম আলী বলেন, “নিয়মিত আলম হোসিয়ারি থেকে বাচ্চাদের কাপড়চোপড় কিনি। ১২ দিন আগেও বঙ্গবাজার থেকে মালামাল কিনে নিয়ে গেছি।“
দোকান পুড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত সেখান থেকে পণ্য কিনি। এখন যদি কিনতে যাই, তাহলে আগের মতো এক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে না।”
পণ্য সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি হওয়ায় ঈদ বাজারে প্রভাব কেমন পড়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এমনিতে পণ্যের দাম একটু বাড়তি এবার। বিক্রিও এখনও সেভাবে নেই।”
খুচরা ব্যবসায়ীদের বিকল্প কী
ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে বঙ্গবাজারের বেশ কয়েকটি মার্কেট পুড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়া খুচরা ব্যবসায়ীদেরকে আগের অভ্যস্ততা ছাপিয়ে এখন ছুটতে হবে আশেপাশের বিভিন্ন মার্কেটে।
বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটের পাইকারি দোকানদার হুমায়ুন কবীর বলেন, মূলত ‘রপ্তানি মানসম্মন্ন’ পণ্য কিনতে বঙ্গবাজারে আসেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ব্যবসায়ীরা। অনেকটা অক্ষত থাকলেও বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট এখানেও বন্ধ। চালু হলে কয়েকদিনের মধ্যে এখান থেকে পণ্য নেওয়া যাবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা এখন তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পেরেশানির মধ্যে আছেন। তবে, বেশিরভাগ পাইকারের গুদামে সাধারণত মালামাল থাকে।
“আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা করতে পারব। আমাদের পুরাতন কাস্টমার যারা, তারা চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য নিতে পারেন।”
ব্যবসায়ীরা জানান, বঙ্গবাজারের বাইরে গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার, কেরানিগঞ্জের আলম মার্কেট, ইসলামপুর, চকবাজারের পাইকারি মার্কেটের মতো আরও কিছু মার্কেট থেকে পণ্য কিনে ঈদের চাহিদা মেটাতে পারবেন খুচরা বিক্রেতারা।
এছাড়া গুলিস্তান এলাকার নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা, গোল্ডেন প্লাজা, ইসলামী প্লাজার মতো মার্কেট থেকেও পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান আরেক ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন:
পোড়া বঙ্গবাজারে আরেক মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
পুড়ল বঙ্গবাজার: এক আগুনে ছাই হল হাজারো স্বপ্ন