“এখন আর পাইপলাইনের গ্যাসের প্রয়োজন নেই,” বলছেন তিনি।
Published : 17 Jan 2024, 03:01 AM
সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে এলপিজি বিক্রি করলে প্রয়োজনে সরবরাহকারীর লাইসেন্স বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার ঢাকার কারওয়ানবাজারে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমি নিজেও খোঁজ নিচ্ছি। লোকজন দিয়েও খোঁজ রাখছি। সর্বত্র এলপিজি সিলিন্ডারের দাম সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে ১০০-২০০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। একটি সিলিন্ডার তিনবার হাত বদল হয়ে ভোক্তার কাছে যাচ্ছে।”
টিসিবি ভবনে ‘হোটেল রেস্তোরাঁয় এলপিজি সিলিন্ডারের নিরাপদ ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। সেখানে বিভিন্ন এলপিজি কোম্পানির পাশাপাশি হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক, সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দেশে বছরে এলপিজির ব্যবহার ছিল ৬৬ হাজার টন। বর্তমানে বছরে এলপিজির ব্যবহার সাড়ে ১৪ লাখ টনের বেশি। অদূর ভবিষ্যতে এটা দ্বিগুণ হবে। তাই এখন ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বিবেচনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। এলপিজির ব্যবহারে যুগোপযোগী নীতিমালার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহিত করে তিনি বলেন, এখন উঁচু ভবনগুলোর অনেক জায়গায় এলপিজি ব্যবহার হচ্ছে। এখন আর এখানে পাইপলাইনের গ্যাসের প্রয়োজন নেই। একটা বড় ভবনকে ঘিরে রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে কিংবা একটা এলাকাকে ঘিরে এলপিজির সরবরাহ করা যেতে পারে। তিতাসের পাইপলাইনগুলো প্রায় ৫০/৬০ বছরের পুরোনো। অধিকাংশ পাইপলাইনে লিকেজ। পাইপলাইনে গ্যাস দিতে গেলে প্রচুর পরিমাণ চোরাই লাইন তৈরি হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই কাজগুলো হয়েছে।
ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে এলপিজি অ্যাসোসিয়েশনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটা নীতিমালা থাকা উচিত। ডিলার নিয়োগ করার পর আসে সাব এজেন্ট, এরপরে আসে আরেকটা সাব এজেন্ট। এভাবে তিন চার হাত ঘুরে সিলিন্ডারের দাম বেড়ে যায়। দাম সহনীয় রাখার জন্য বিইআরসি খুব ভালোভাবে কাজ করছে। কিন্তু মার্কেটে যাওয়ার পর এভাবে হাত বদলের কারণে দাম বৃদ্ধি করে।
“ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাসোসিয়েশনেরও এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করতে পারে। তার এলাকায় কে কী দামে এলপিজি বিক্রি করে এটা তাকে দেখতে হবে। দরকার পড়লে বিইআরসি এদের লাইসেন্স ক্যানসেল করবে কি না সেটা দেখা দরকার। আমি জানি যেই দাম ঠিক করে দেওয়া হয়, সেখান থেকে প্রায়ই ২/১শ টাকা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে। এদিকে নজর দিতে হবে।”
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)