ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ইউক্রেইনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলা চালানোর পরামর্শ দেওয়ার পর মস্কো এ হুঁশিয়ারি দিল।
Published : 06 May 2024, 11:35 PM
ইউক্রেইন রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করলে মস্কো ইউক্রেইনের অভ্যন্তরে এবং বিশ্বের অন্য যে কোনো জায়গার ব্রিটিশ সামরিক স্থাপনাসহ সরঞ্জামে পাল্টা আঘাত হানতে পারে। যুক্তরাজ্যকে এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেইনকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডেকোনোনিশানায় কিইভকে হামলা চালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এর প্রেক্ষাপটেই যুক্তরাজ্যকে রাশিয়ার এই হুঁশিয়িারি।
ডেভিড ক্যামেরন গত সপ্তাহে বলেছিলেন, রাশিয়া ভূখণ্ডেআঘাত হানার জন্য ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার আছে ইউক্রেইনের। তার এ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রাশিয়ায় নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত নাইজেল ক্যাসিকে তলব করেছিল রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরপর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, যুক্তরাজ্য যে এখন কার্যত ইউক্রেইন-রাশিয়া সংঘাতের একটি অংশ, তা ক্যামেরন তার ওই মন্তব্যেই ম্বীকার করে নিয়েছেন। ইউক্রেইনকে দেওয়া দূর পাল্লার অস্ত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার হবে না বলে এর আগে দেওয়া আশ্বাসের বিপরীত কথা বলেছেন তিনি।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “ক্যাসিকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, ব্রিটিশ অস্ত্র দিয়ে রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেইন হামলা চালালে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেইনের ভেতরের এবং এর বাইরের অন্য যে কোনও দেশের ব্রিটিশ সামরিক স্থাপনা ও সাজ-সরঞ্জামকে নিশানা করা হতে পারে।
ক্যামেরনের বক্তব্যকে মারাত্মক উত্তেজনাকর হিসাবেই দেখা হচ্ছে বলে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, “লন্ডনের এ ধরনের বৈরি পদক্ষেপের অনিবার্য বিপর্যয়কর পরিণতি সম্পর্কে জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে এবং অবিলম্বে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রদপ্তরের প্রধানের এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করতে বলা হয়েছে।”
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেইন সফরকালে যুক্তরাজ্যের দেওয়া অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, “ইউক্রেইন অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাদের ব্যাপার।রাশিয়া ইউক্রেইনে হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেইনেরও পূর্ণ অধিকার আছে রাশিয়ায় পাল্টা হামলা করার।
“তারা (ইউক্রেইন) তাদের দেশকে সুরক্ষা দিচ্ছে। তারা ভ্লাদিমির পুতিনের কাছ থেকে অবৈধভাবে আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। ফলে তাদেরকে পাল্টা হামলার সব পদক্ষেপ নিতেই হবে।”
তবে ক্যামেরন এমন কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্র এর আগে রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোতে হামলা না চালানোর জন্য ইউক্রেইনকে আহ্বান জানিয়েছিল। সংঘাত আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ওই আহ্বান জানায়।