ছুটি শেষে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আগের স্বাভাবিক সময়ে ফিরেছে ব্যাংকের কার্যক্রম।
Published : 15 Apr 2024, 06:57 PM
পাঁচ দিনের ছুটি শেষে অনেকেই ফেরেননি ঢাকায়। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে রাজধানীর বাইরে যাওয়া ব্যাংকার ও গ্রাহকদের বড় অংশ না আসায় ব্যাংক খোলার প্রথম দিনে উপস্থিতি ছিল কম।
এতে ঈদ ও বাংলা নববর্ষের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম কার্যদিবসে সরব হয়নি ব্যাংক পাড়া। সীমিত জনবল দিয়ে সেবা দিতে দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে।
এবার রোজা ৩০টি হওয়ায় ঈদের ছুটি ছিল গত ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত। শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির পর ১৪ এপ্রিল রোববার ছিল বাংলা নববর্ষের ছুটি। দুই ছুটি একসঙ্গে হওয়ায় এবার একটানা পাঁচ দিন ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের ব্যক্তিরা।
রোজার ছুটি শেষে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত আগের স্বাভাবিক সময়ে ফিরেছে ব্যাংকের কার্যক্রম, অফিস খোলা বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আর পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত।
ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে প্রথম কার্যদিবসে সোমবার সহকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন ব্যাংকার ও গ্রাহকরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকেও প্রথম দিনে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। সেভাবে কাজের চাপ না থাকায় পুরো ব্যাংক পাড়ায় দেখা গেছে ঈদের আমেজ।
মতিঝিলের সোনালী, ইবিএল ও পূবালী ব্যাংক, দিলকুশা এলাকার স্টান্ডার্ড ব্যাংক ও পল্টনের ইসলামী ব্যাংক শাখা ঘুরে গ্রাহক উপস্থিতি কম দেখা গেছে ।
পুরো দমে কাজের গতি আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, কিছু অংশ এখনও অতিরিক্ত ছুটিতে আছেন। ব্যাংকাররা সহজে ছুটি পান না বলে ঈদের সময় অনেকে বাড়তি ছুটি নেন। তাদের অনুপস্থিতিতে ব্যাংকের সব ধরনের সেবা সচল করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে। সেবা পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না গ্রাহকদের। কাউন্টার খোলা থাকলেও গ্রাহক নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, উপস্থিতি কমের কারণে এদিন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে লেনদেন হয়েছে অনেক কম। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সও এসেছে কম।
সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র ভাঙাতে এসেছিলেন শিক্ষিকা নূর জাহান। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাই ভাঙিয়ে ফেললাম। আজ ভিড় কম হবে ভেবে এসেছি। কিন্তু সরকারি ব্যাংক হলে যা হয়, কর্মকর্তা ধীরে ধীরে কাজ করেন, কয়েকবার ঘুরিয়ে দিয়েছেন। শেষে তাদের ইনচার্জের কাছে নালিশ দিয়ে টাকাটা বুঝে পেলাম।’’