বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কয়েকটি পণ্যের আমদানি এবার ২০ থেকে ৬৪ শতাংশ বেশি।
Published : 01 Mar 2025, 01:52 AM
দেশে রোজার সময় জিনিসপত্রের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও এবারের পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ‘আংশিক ঠিক থাকার’ কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
তারা বলছেন, রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়, যেমন খেজুর, ছোলা, বিভিন্ন রকমের ডাল, বেসন ও চিনি, সেসব পণ্যের দাম এবার বাড়েনি; সরবারহও স্বাভাবিক।
তবে লেবু, শসা আর বেগুনের পাশাপাশি দাম বেড়েছে মাছ-মাংসের। ভোগাচ্ছে সয়াবিন তেলও, বিশেষ করে মাস খানেক ধরে বোতলের তেলের যে সংকট চলছে, তা রোজার আগ মুহূর্তেও কাটেনি।
অথচ বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন যে ‘প্রতিশ্রুতি’ দিয়েছিল, তাতে গত বুধবারের মধ্যে বাজারে বোতলের সয়াবিনের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা ছিল।
অন্যান্য পণ্যের বাজার ‘স্বাভাবিক’ থাকার কারণ হিসেবে বাড়তি আমদানির কথা সামনে আনছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, রোজা সামনে রেখে কয়েকটি পণ্যের আমদানি এবার ২০ থেকে ৬৪ শতাংশ বেশি।
গত অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে দেশে চিনি আমদানি হয় চার লাখ ৫৪ হাজার ৩৪ টন, যা এক বছর আগের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
এ সময় সয়াবিন তেল আমদানি হয় ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ টন, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।
বিভিন্ন প্রকারের ডাল আমদানি ৪৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৮৩৭ টন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেল চার মাসে ছোলা আমদানি হয় ৯৭ হাজার ৫৫৫ টন, যা আগের বছরের চেয়ে ৬৪ শতাংশ বেশি।
একইভাবে পেঁয়াজ দুই শতাংশ, রসুন ২০ শতাংশ, আদা ৫৬ শতাংশ ও খেজুর ২৩ শতাংশ বেশি আমদানি হয়েছে।
বাজারে এবার ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়। গেল রোজায় দাম ওঠে ১১০ টাকায়।
অন্যদিকে ঢাকার বিভিন্ন বাজরে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও বেসন ১২০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী, শনির আখাড়া, কাপ্তান বাজার, শান্তি নগর, কারওয়ান বাজার ও মহাখালী কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা যায়, আমদানি করা সাদা চিনি ১২০ টাকা ও লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজিতে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মেসার্স আমজাদ ট্রেডার্সের মোহাম্মদ রাসেল মুড়ি বিক্রি করছেন ৮০ টাকা দরে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘আমরা যে দামে পামু তাই বিক্রি করমু। লাল চিড়া ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। মুড়ি বা চিড়ার কোনোটারই দাম বাড়েনি। রেগুলার দামেই তো বিক্রি করছি।’’
তার দোকানে মেশিনে ভাঙানো সাদা রঙের চিড়া পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকা দরে।
কারওয়ান বাজারে অফিস শেষ করে বিকালে কিচেন মার্কেটে ছোলা ও বেসন কিনতে আসা হালিমা খাতুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছোলার দাম দুই দিন আগে একটু বেড়েছিল। খবরে দেখলাম আমদানি বেশি, তাই কিনিনি। আজ তো ২০ টাকা কমে ১১০ টাকায় পেলাম।’’
রাজধানীর শান্তিনগরে ‘মা-বাবার দোয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের’ দোকানি রাজু আহমেদ বলেন, ‘‘ডাবলি এখন ৭০ টাকা কেজি দাম চাই। দরদাম করলে ৬৫ টাকায় দিয়া দেই। সবাই দাম করে, তাই ৫ টাকা বাড়ায়া বলি।”
কারওয়ান বাজারে বছরজুড়ে বিভিন্ন ধরনের গুড় বিক্রি করেন মেসার্স হামজা ট্রেডার্সের মোহাম্মদ রাসেল।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ‘‘ভালো ঝোলা গুড় ২০০ টাকা কেজি। চিনি দিয়ে বানানোটা নিতে পারবেন ১৬০ টাকায়।’’
এই দোকানে আখের গুড় ১৪০ টাকা ও মুড়ি বিক্রি করছেন ৮০ টাকা কেজিতে। আগের বছরও দাম একই ছিল তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘মুড়ি তো গতবারও বেচলাম ৮০ টাকা কেজি। দাম বাড়ে নাই। আমরাও গুড়ের দাম বেশি নিই না।”
মহাখালী কাঁচাবাজারের মিতা ট্রেডার্সের আবুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘সাদা চিনির (আমদানি করা) কেজি ১২০ টাকা। আখের চিনি প্যাকেটের হলে পড়ছে ১৪৫ টাকা; খোলাটা ১৪০।’’
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার ছোলার কেজি ছিল ১১০-১২০ টাকা। এক বছরে আগে যা ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হয়।
অ্যাংকার ডালের কেজি ছিল মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আগের বছর দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।
কারওয়ান বাজারে এই দরে ডাল ও ছোলা বিক্রির তথ্য দিয়েছেন এআর রায়হান এন্টারপ্রাইজের দোকানি শাহিন সরকার।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে আগের বছরের এ সময়ে পণ্য আমদানিতে মার্জিন শতভাগ রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল।
এছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ঘন ঘন পরিবর্তন হওয়ায়ও খরচ বেড়ে যাচ্ছিল গত বছর।
শুধু রোজার আট পণ্য ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল, মসলা, চিনি ও খেজুর আমদানিতে ন্যূনতম মার্জিন রাখতে নির্দেশনা শিথিল করা হয়েছিল।
এ বছর তাও না রেখে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে রোজার পণ্য আমদানির সুযোগ দেওয়ার কথা গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিলেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিয়েছে মার্জিন ছাড়াই পণ্য আমদানির। গ্রাহক বুঝে যতটা সম্ভব কম মার্জিনে এলসি খোলা হয়েছে। ডলার নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি।’’
বেসরকারি সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ৫ শতাংশ মার্জিনেও আমরা ব্যবসায়ীদের এলসি সুবিধা দিয়েছি।’’
চড়ছে মাছ-মাংসের বাজার
সপ্তাহ দুয়েক আগে শবে বরাতের সময় মাংসের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গিয়েছিল। দুদিন পরেই আবার কমে যায়। রোজা ‘উপলক্ষে’ ফের মাংসের দাম বেড়েছে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২৩০ টাকা কেজিতে; আর সোনালির দাম পড়ছে ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা।
দুদিন আগেও বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। আর সোনালি ছিল ৩৩০ টাকার মধ্যে।
এছাড়া লাল লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা, আর দেশি মুরগি ৫৬০ টাকা করে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আর, বাজারে গরুর মাংসের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কিছু-কিছু মাছের দামও কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে বেড়েছে।
নিকেতন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ এক হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের হলে দেড় হাজার টাকা, এক কেজি ওজনের হলে দুই হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে।
রুই মাছের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে আকৃতিভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৭৮০ থেকে ১২০০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভোগাচ্ছে সেই সয়াবিন
মাস খানেক ধরে সয়াবিন তেলের বাজারে যে সংকট চলছে, তা রোজা ‘চলে এলেও’ কাটেনি।
বাজারে তেল যা পাওয়া যাচ্ছে, তার বেশির ভাগই দুই ও ৫ লিটারের বোতলে। ফলে খোলা সয়াবিন তেলের বিক্রি বেড়েছে। প্রতি লিটারের দাম পড়ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা।
বোতলের সয়াবিন তেলের সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ বিক্রয়মূল্য হচ্ছে প্রতিলিটার ১৭৫ টাকা ও ৫ লিটার ৮৫০ টাকা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেছিল, রোজায় ভোজ্যতেলের সংকট হবে না।
আমদানি করা নতুন তেল ‘৭ থেকে ১০ দিনের’ মধ্যে বাজারে আসবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
তাদের সেই বিজ্ঞপ্তির ১২দিন পার হলেও বাজারে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঘাটতির সুযোগে বাজারে পাম তেল বিক্রি বেড়েছে। বাজারে দুই ধরনের পাম তেল পাওয়া যাচ্ছে। রান্নার পরে খুব দ্রুত জমে যাওয়া ‘সাধারণ’ মানের পাম তেল বিক্রি হচ্ছে প্রতিলিটার ১৫০ টাকায়।
আর ভালো মানের সুপার পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে দুই লিটার ৩২০ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলজাত পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের আলী স্টোরের স্বত্বাধিকারী আলী হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘বোতলের তেল তো যা চাই, তা পাই না। বেচুম কেমনে? পামওয়েল মানুষ নিতাছে।’’
বাজারে বোতলের তেলের সঙ্গে ভালো মানের সয়াবিন তেলের খোলা তেলের ড্রামেরও অভাব দেখা দিয়েছে।
একেবারেই যে নেই তা নয়, তবে চাহিদার চেয়ে কম পাওয়ার অভিযোগ করে আলী হোসেন বলেন, “চার কার্টন চাইলে দুই কার্টন দেয়। দিনে একবার দেয় ডিলাররা।”
কারওয়ান বাজারে একটি কোম্পানির সয়াবিন তেলের ডিলারশিপ রয়েছে মোহাম্মদ বিপ্লবের। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোম্পানি বলেছে, ডেইলি গাড়ি আসবে তেল নিয়ে। একটু একটু করে সবাই যেন তেল পায়।
“তাই বেশি চাইলেও দেওয়া যাবে না। সরকারও (ভোক্তা অধিদপ্তর) বাজারে বলে দিয়েছে, সবাই যেন তেল পায়।”
তেলের সরবরাহ দেখতে বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযানে এক বছর আগে উৎপাদন হওয়া তেলের বোতল পাওয়ায় তিনটি দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। খুলে দেওয়া হয় সন্ধ্যায়; মুচলেকা নেওয়ার পর।
একই বাজারের হাজি মিজান এন্টারপ্রাইজের মোহাম্মদ মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রতি ড্রামের দাম ৩ হাজার ৪০০ টাকা। খুচরা বিক্রি করলে ভালো মানের সয়াবিন তেল ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হবে। কেউ নিবে না, তাই তেল তুলিনি।”
তেল কিনতে আসা আবুল মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সয়াবিন তেল তো এক লিটারেরটা পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ৩২০ টাকা দিলে দুই লিটার পাচ্ছি (সুপার পামওয়েল)।”
মহাখালী কাঁচাবাজারে খোলা তেলও পুরনো বোতলে ভরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ বাজারসহ আশপাশের এলাকার তীর কোম্পানির সয়াবিন বিপণন করে জাহাঙ্গীর জেনারেল স্টোর।
প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তেল নিয়ে সমস্যা নেই। তবে বেশি চাইলে পাবে না কেউ। প্রতিদিনই তেল নিতে পারবে।
“কোম্পানির লোকজন বসে থেকে দেখে গোডাউনে তেল জমাই কিনা, আমার দরকার কি! টাকা দেই তেল আসে।”
পাড়া-মহল্লার কাঁচাবাজার কিংবা রাজধানীর বড় বাজারগুলোতে এক লিটার বোতলের অভাব থাকলেও ‘সুপারশপ’ হিসেবে পরিচিত ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয় তা পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে।
সরকার নির্ধারিত দামে এক, দুই ও ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল সাজিয়ে রাখা আছে স্বপ্ন সুপার শপের যাত্রাবাড়ীর ছনটেক শাখায়। একইভাবে বিজয় নগরের আগোরার শাখাতেও বোতলজাত তেল সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মাওলা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা ড্রামে (লুজ) তেল সরবরাহ করি। ড্রামের সয়াবিন তেল সব জায়গায় পাবেন। কোনো সংকট নাই।
“জাহাজে আরও তেল আসতাছে। নতুন তেলও বাজারে যাবে। তবে বোতলের তেল নিয়ে ডিলাররা বলতে পারবে।”
তেল নিয়ে ঢাকার বাইরেও একই চিত্র
নারায়ণগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি ও খুচরা বাজার দিগুবাবুর বাজার। এ বাজারে সয়াবিন তেলের বোতলের সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকটি দোকানে তেল বিক্রি হলেও দাম নেওয়া হচ্ছে বেশি।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ বাজারের অন্তত ১২টি দোকানে সয়াবিন তেলের খোঁজ করলে নয়জনই জানান, তাদের কাছে বোতলের সয়াবিন নেই। বাকি তিনটি দোকানে লিটারপ্রতি অন্তত ২০ টাকা বেশি দলে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ বাজারের বিক্রেতাদের ভাষ্য, কোম্পানির ডিলাররা কয়েক দিন ধরেই সয়াবিন তেল সরবরাহ করছে না। ফলে তাদের দোকানে তেল নেই।
রোজার আগ মুহূর্তে চট্টগ্রামের বাজারেও খেজুর, চিনি, ছোলা আর সবজির সরবরাহ স্থিতিশীল থাকলেও ‘উধাও’ সয়াবিন তেল।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা গেছে।
বিক্রেতাদের দাবি, প্রায় এক মাস ধরে সয়াবিন তেলের সংকট চলেছে। গত কয়েক দিন ধরে এ সংকট আরও প্রকট হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান তেল সরবরাহ করছে না।
শুক্রবার নগরীর বৃহত্তর রেয়াজউদ্দিন বাজারে বিভিন্ন দোকান ঘুরে কোথাও সয়াবিন তেল পাওয়া যায়নি।
রেয়াজউদ্দিন বাজারের তামিম জেনারেল স্টোরের দোকানি কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত এক মাস ধরে সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে প্রতিষ্ঠানগুলো তেল দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
আরও পড়ুন-
রোজার আগে চট্টগ্রামে 'উধাও' সয়াবিন তেল
বাজারে সয়াবিনের 'বোতল নেই', সবজির 'স্বস্তিও' শেষ দিকে